1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইহুদি ‘রাজাকার’ উপন্যাস নিয়ে বিতর্ক

১৭ জানুয়ারি ২০১৯

সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে এক ইহুদি নারীর গল্প, যিনি ইহুদিদেরই ধরিয়ে দিতেন নাৎসি বাহিনীর কাছে৷ টাকিস ভ্যুর্গারের লেখা স্টেলা নামের উপন্যাসটি এ সপ্তাহে জার্মানিতে প্রকাশের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক৷

https://p.dw.com/p/3BimY
ছবি: Carl Hanser Verlag GmbH & Co. KG

লেখক টাকিস ভ্যুর্গার একজন সাংবাদিক, যিনি বিভিন্ন সময়ে অনেকগুলো যুদ্ধ কভার করেছেন৷ তাঁর এই উপন্যাসের রিভিউ লিখতে গিয়ে ডি ভেল্ট পত্রিকার হান্নাহ ল্যুহমান বলেছেন, ‘‘আমাদের সামনে সাহিত্যের এক নতুন বিতর্ক চলে এসেছে৷’’

জানুয়ারির ১১ তারিখ এ উপন্যাস প্রকাশ হয় স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা হানসার ফেরলাগ থেকে৷ উপন্যাসে স্টেলা ক্যুবলারের গল্প তুলে ধরা হয়েছে৷ এই স্টেলা পরিচিত ছিলেন ‘ক্যাচার’ নামে, যার কাজ ছিল আত্মগোপনে থাকা ইহুদিদের হিটলারের গোপন পুলিশ গেস্টাপোর কাছে ধরিয়ে দেয়া৷

তীব্র সমালোচনা

এটি ভ্যুর্গারের লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস৷ নাৎসি বাহিনী নিয়ে এই পদকজয়ী সাংবাদিকের আগ্রহ দীর্ঘদিনের৷ স্টেলাকে নিয়ে এর আগে লেখা বইগুলোর তুলনায় এই উপন্যাস সমালোচকদের নজর কেড়েছে বেশি৷

উপন্যাস প্রকাশের দিনই একে ‘অবমাননাকর, অপমানকর ও অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে রিভিউ প্রকাশ করেছে স্যুডডয়চে সাইটুং৷ এছাড়া, প্রকাশক সব ধরনের ‘নৈতিক মানদণ্ড হারিয়েছেন’ বলেও সমালোচনা করা হয়েছে৷ লেখককেও শিক্ষা ও ইতিহাস বিষয়ে ‘অসচেতন’ বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে৷

উপন্যাসটিকে ‘বমি উদ্রেককারী’ বেল উল্লেখ করেছে ডি সাইট৷ এর মাধ্যমে হলোকাস্টের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার চেষ্টার অভিযোগও করা হয়েছে৷

Stella Kübler
স্টেলা ক্যুবলারছবি: Imago

প্রকাশকের প্রতিবাদ

উপন্যাসের প্রকাশক সংস্থা হানসার ফেরলাগের সম্পাদক ও সংস্কৃতি সাংবাদিক ফ্লোরিয়ান কেসলার সামাজিক য়োগাযোগ মাধ্যমে এই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন৷ ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি  বলেছেন, ‘‘এই সমালোচনা সেই ১৯৪৫ সাল থেকেই চলে আসছে৷’’

বার্নহার্ড শ্লিঙ্কের উপন্যাস দ্য রিডারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৯০ সালে এই বইয়ের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে৷ কিন্তু কয়েক বছর পরই তা নাৎসি জার্মানি কেমন ছিল, সে ধারণা দিতে স্কুলে পাঠ্য হিসেবে পড়ানো শুরু হয়৷

পাঠকই সিদ্ধান্ত নিক

ডি ভেল্টের হানাহ ল্যুহমান অবশ্য বলছেন, এই তীব্র সমালোচনায় তিনি বিস্মিত৷ সার্বিকভাবে উপন্যাসটির পক্ষে কথা বললেও, এমন একটা ইস্যু নিয়ে জার্মানদের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশও করেন ল্যুহমান৷

তবে ল্যুহমান তাঁর ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, লেখক এখনই এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে যোগ দিতে চান না৷ বরং পাঠকদের ওপরই ছেড়ে দিতে চান সাহিত্যের বিচার৷ বইটি নিয়ে এরই মধ্যে পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে৷ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছে বইটি৷ নয়টি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে লাইসেন্স৷ ইংরেজি ছাড়াও স্প্যানিশ, চাইনিজ ভাষাতেও প্রকাশ হতে যাচ্ছে উপন্যাসটি৷

পেট্রা লাম্বেক/এডিকে

২০১৭ সালের জুন মাসের ছবিঘরটি দেখুন..

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য