1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়েমেন বিমানবন্দরে সৌদি জোটের বিমান হামলা

২১ ডিসেম্বর ২০২১

ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দরে সৌদি জোটের বিমান হামলা। তার আগে সরে যেতে বলা হলো জাতিসংঘের কর্মী ও সাধারণ মানুষকে।

https://p.dw.com/p/44bsl
২০১৫ থেকে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করছে সৌদি আরব।ছবি: Rob Edgcumbe/StockTrek Images/imago images

ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দর হুতি বিদ্রোহীরা দখল করে রেখেছে। সেখানেই বিমান হামলা করলো সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট। সৌদ সংবাদসংস্থা আল আরাবিয়া সোমবার এই বিমান হামলার কথা জানিয়েছে।

এখনো পর্যন্ত যা জানা গেছে

জোটের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বিমানবন্দরে সামরিক জায়গাগুলিতে আক্রমণ চালিয়েছে। কারণ, এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে হুতি বিদ্রোহীরা। এখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে তারা আক্রমণ চালায়।

বিমান হামলার আগে জোটের তরফ থেকে জাতিসংঘ ও সাধারণ মানুষকে বিমানবন্দর ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল বলে আল আরাবিয়া দাবি করেছে। এই বিমান হামলায় বিমানবন্দরের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। কোনো মৃত্যুর খবরও এখনো পর্যন্ত নেই।

সৌদির নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র তুর্কি আল-মালিকি জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে মোট ছয়টি জায়গায় আক্রমণ করা হয়েছে। তবে সেই জায়গাগুলিতে আক্রমণ করা হলেও বিমান চলাচলের উপর কোনো প্রভাব পড়েনি বলে তার দাবি।

এর আগে রোববার জোটের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই বিমানবন্দর থেকে একটি ড্রোন সৌদির এলাকায় পাঠানো হয়েছিল। সেই ড্রোন ধ্বংস করা হয়।

সৌদির দাবি, বিমানবন্দরটি ইরানের মদতপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। কয়েক বছর ধরে হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে। তবে তাতে সৌদির বড়সড় কোনো ক্ষতি হয়নি।

মানবিক সংকট

এই বিমানবন্দরটি জাতিসংঘ ত্রাণ পৌঁছনোর কাজে ব্যবহার করে।

ইয়েমেন হলো আরব দুনিয়ার সবচেয়ে গরিব দেশগুলির মধ্যে একটি। ২০১৪ সালের গৃহযুদ্ধের পর থেকে সেখানে মানবিক সংকট তীব্র হয়েছে।

২০১৪ সাল থেকেই হুতি সানা বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করে। ২০১৫ সালে সৌদি আরব এই সংঘাতে হস্তক্ষেপ করে। তাদের ভয় ছিল, হুতি এই অঞ্চলে বড় শক্তি হিসেবে উঠে আসতে চলেছে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, পিটিআই)