1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঈগল', ‘ট্রাক' না সেই পুরোনো জাতীয় পার্টি? কে হবেন বিরোধী দল?

যুবায়ের আহমেদ, ডয়চে ভেলের সাংবাদিক
যুবায়ের আহমেদ
৫ জানুয়ারি ২০২৪

সবাই বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি বিষয় নিশ্চিত, তা হলো, আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়৷ কিন্তু যে প্রশ্নের উত্তর কেউ শতভাগ দিতে পারছেন না, তা হলো, বিরোধী দলে কে থাকবে?

https://p.dw.com/p/4atwC
আওয়ামী লীগের যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন, তারা হয়তো জাতীয় পার্টির চেয়ে বেশি আসন পেয়ে যেতে পারেন।
আওয়ামী লীগের যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন, তারা হয়তো জাতীয় পার্টির চেয়ে বেশি আসন পেয়ে যেতে পারেন।ছবি: MOHAMMAD P. HOSSAIN/REUTERS

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন৷ প্রশ্ন হল কেন? জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন নেতা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন না তারা৷ এর বাইরে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয় আছে৷ আছে ভোটের মাঠে হুমকি-চাপের অভিযোগ৷

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৬ জন জাপা প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ নির্বাচনে শুরুতে জাতীয় পার্টি ২৮৩টি আসনে প্রার্থী দেয়৷ এর মধ্যে ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হয়৷ সে আসনগুলো ছেড়ে দেয় ক্ষমতাসীন দল৷

কিন্তু এই আসনগুলোর কয়েকটিতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দাঁড়ান৷ অভিযোগ রয়েছে, তারা জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সহযোগিতা করছে না৷ এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদেরের আসন ঢাকা-১৮৷ সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএস তোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজ করছেন বলে পত্রিকায় বক্তব্য দিয়েছেন শেরীফা কাদের৷

এছাড়া এই ২৬টি বাদে যেসব আসনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী দিয়েছে, সেখানে সরকারি দলের নানা রকমের হুমকি ও চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বলে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন জাপা প্রার্থীরা৷ এছাড়া দলের শীর্ষ প্রার্থীদের ওপরও অসন্তোষ দেখা গেছে৷ অনেকে মনে করছেন, ঠিকমত সমঝোতা হয়নি৷ এতে দল হিসেবে জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে৷

এমন যখন অবস্থা তখন প্রশ্ন হলো, বিরোধী দলে কে যাবে?

২০০৮ সালে জাতীয় পার্টি ২৭টি আসন পায়৷ মহাজোটের শরিক দল ছিল তারা৷ ২০১৪ সালে পায় ৩৪টি এবং ২০১৮ সালে ২৬টি৷ ২০১৪ সালে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচন বর্জন করায় জাতীয় পার্টি সরকারি দলের সঙ্গে সমঝোতায় একইসঙ্গে সরকারে ও বিরোধী দলে অবস্থান করে৷ মন্ত্রির পদমর্যাদায় সরকারের উপদেষ্টা হন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ৷ তার স্ত্রী রওশন এরশাদ ছিলেন বিরোধী দলের নেত্রী৷

২০১৮ সালেও তারা বিরোধী দলে যান৷ কিন্তু সেবার কেউ মন্ত্রিত্ব পাননি৷ এমন অবস্থায় ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা৷ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের কেউ কেউ সমঝোতামূলক আসন পাননি৷ যারা পেয়েছেন সেখানে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের চাপে রেখেছেন৷

দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন, তারা হয়তো জাতীয় পার্টির চেয়ে বেশি আসন পেয়ে যেতে পারেন৷ যেমন, ১০৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ‘ঈগল' মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছেন, ৭৩ জন করছেন ‘ট্রাক' মার্কা নিয়ে৷ এসব মার্কায় রয়েছের আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট অনেক প্রার্থী৷ এদের মধ্যে অনেকে আওয়ামী লীগের বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য যেমন রয়েছেন, রয়েছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা৷ ফলে যদি এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংসদে বিরোধী দল হিসেবে দেখা যায়, তাহলে অবাক হবার কিছু থাকবে না৷ এমনকি এই আলোচনা বেশ জোরেশোরেই চলছে৷ এতে আইনগতভাবেও কোন বাধা নেই৷

তবে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী দল গড়বে কি না তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না৷ বাংলাদেশে যেহেতু বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু আছে, সেটি কায়েম রাখতেই হয়তো জাতীয় পার্টিকেই বিরোধী দলে রাখা হবে৷ এছাড়া কিংস পার্টি খ্যাত নতুন চারটি দলের প্রার্থীরাও আছেন৷ এমনকি কেউ কেউ বিরোধী মোর্চার কথাও বলছেন৷

সব মিলিয়ে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে যে বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত তা হলো বিরোধী দল কে হবেন৷ ভোটের পরই বোঝা যাবে সেটি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য