1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উইগুর মেয়েদের ধর্ষণের রিপোর্টে উদ্বিগ্ন অ্যামেরিকা, ব্রিটেন

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

চীনে উইগুর মেয়েদের ধর্ষণ করার রিপোর্টে রীতিমতো উদ্বিগ্ন অ্যামেরিকা ও যুক্তরাজ্য। একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে প্রথম চীনের শিবিরে উইগুর মেয়েদের ধর্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

https://p.dw.com/p/3ouRY
চীনে উইঘুর শিবির। ২০১৯ সালে নেয়া ছবি। ছবি: AFP/G. Baker

চীনে উইগুর মুসলিমদের অবস্থা নিয়ে এর আগেও অনেকগুলি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, উইগুরদের কার্যত বন্দি শিবিরে রাখা হয়, তাঁদের জোর করে তুলো চাষ করানো হয়, তাঁদের মানবাধিকার নেই। কিন্তু এই বার বিবিসি-তে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, শিনজিয়াং প্রদেশের শিবিরে উইগুর মেয়েদের নিয়মিত ও পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও যৌন অত্যাচার করা হয়। একজন নারী বিবিসি-কে বলেছেন, প্রতি রাতে এক বা একাধিক চীনা পুরুষ তাঁকে ধর্ষণ করতেন। তিনি ওই শিবির থেকে পালিয়েছিলেন। এখন অ্যামেরিকায় আছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনবার তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল।  

রিপোর্টে বলা হয়েছে, একজন কাজাখ নারী ওই শিবিরে ১৮ মাস ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে দিয়ে জোর করে উইগুর নারীদের বিবস্ত্র করানো হতো। তারপর হাতকড়া পরিয়ে চীনা পুরুষদের সঙ্গে রেখে দিতে হতো। তারপর তাঁকে ঘর থেকে চলে যেতে বলা হতো। শিবিরের এক সাবেক রক্ষীও এই অত্যাচার ও কম খাবার দেয়ার কথা জানিয়েছেন। 

এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই অ্যামেরিকার সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, ''এই অত্যাচার বিবেককে নাড়িয়ে দেয়ার মতো। এর প্রতিক্রিয়া তীব্র হতে বাধ্য।'' 

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী নাইজেল অ্যাডামস পার্লামেন্টে বলেছেন, ''রিপোর্টে যা বলা হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, এটা হলো শয়তানের কাজ।'' অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, এই শিবিরে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের যেতে দিতে হবে। 

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের থেকে বিবিসির রিপোর্টকে পুরোপুরি মিথ্যা বলা হয়েছে। মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, ''উইগুর শিবিরে ধর্ষণ বা যৌন নিগ্রহের কোনো ঘটনা ঘটে না। মানবাধিকারের গাইডলাইন পুরোপুরি মেনে চলা হয়। তাঁদের সব ধরনের সুবিধা দেয়া হয়। চীন আইন মেনে চলা দেশ। এখানে সংবিধানে মানবাধিকারকে নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। চীনে আইনি-ব্যবস্থা আছে। সরকার তার ভিতরে থেকে কাজ করে।''

জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স, বিবিসি)