1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উইগুরদের হত্যাকে গণহত্যা বলতে নারাজ নিউজিল্যান্ড

৬ মে ২০২১

চীনকে গণহত্যার জন্য দায়ী করা একটি সংসদীয় প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্নের লেবার পার্টি। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় এক্ষেত্রে নমনীয় অবস্থানে দেশটি।

https://p.dw.com/p/3t1TU
China Jacinda Ardern und Li Keqiang
ছবি: picture-alliance/AP Photo/N. Hatta

জিনিজিয়াং প্রদেশে উইগুরদের উপর চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বুধবার ভোটাভুটি হয় নিউজিল্যান্ডে পার্লামেন্টে। একে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করার প্রস্তাব করা হলেও সেটি বাতিল হয়ে যায়। জাসিন্ডা আর্ডার্নের লেবার পার্টির আপত্তিতে ‘গণহত্যার’ বদলে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’ শব্দটি যুক্ত করা হয়।

উইগুর মুসলিমদের সঙ্গে চীনের আচরণকে সরাসরি গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করে আসছে গোয়েন্দা সংক্রান্ত নেটওয়ার্ক ‘ফাইভ আইস’ এর তিন মিত্র রাষ্ট্র ক্যানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন । তবে এক্ষেত্রে বাকি দুইদেশ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ভিন্ন পথে হাঁটছে। উভয় দেশের সঙ্গেই চীনের রয়েছে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক। এই কারণেই গণহত্যা শব্দটি ব্যবহারে সরকারে অনীহা বলে উল্লেখ করেছেন সংসদে প্রস্তাব উত্থাপনকারী নিউজিল্যান্ডের বিরোধী দল এটিসি পার্টির উপ প্রধান ব্রুক ভ্যান ভেলডেন।

বিষয়টিকে অগ্রহণযোগ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তার মতে এই বিষয়ে মুখ খুললে যত না ক্ষতি হবে তার চেয়েও বেশি হবে না বললে। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে গ্রিন পার্টির সংসদ সদস্য গ্লোরিৎস ঘাহরাম্যান বলেন, এমন পদক্ষেপ নৈতিকভাবে অসমর্থনযোগ্য এবং নিউজিল্যান্ডের আইনের লংঘন।

অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, জিনজিয়াংয়ে ঘটে চলা ঘটনায় চীনের কাছে একাধিকবার উদ্বেগ তুলে ধরেছে নিউজিল্যান্ড। কিন্ত গণহত্যা শব্দটি সরকার ব্যবহার করতে চায় না কারণ এটি গুরুতর আইনী অভিযোগের মধ্যে পড়ে। তার মতে, গণহত্যা আন্তর্জাতিক অপরাধগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর এবং আইনের ভিত্তিতে চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমেই এর আনুষ্ঠানিক ফয়সালা হতে পারে।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্দোলনকর্মীদের হিসাবে উইগুর মুসলিমসহ অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর ১০ লাখ মানুষকে ২০১৭ সাল থেকে বন্দিশিবিরে আটক রেখেছে চীনের সরকার। যদিও তাদের দিয়ে জোরপূর্বক শ্রম ও গণহত্যার বিষয়টি চীন বিরোধীদের প্রপাগান্ডা বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন নিউজিল্যান্ডে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত উ জি। 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য