1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে উগ্র জাতীয়তাবাদের উত্থান

২৪ আগস্ট ২০১৭

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ইউরোপেও উত্থান ঘটছে উগ্র জাতীয়তাবাদের৷ এ নিয়ে আশংকায় মূলধারার রাজনীতিবিদরা৷ জনগণকে নাৎসিবাদ ও স্টালিনবাদের নিপীড়নের কথা মনে রেখে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইইউ নেতারা৷

https://p.dw.com/p/2ikKx
ছবি: AFP/Getty Images

জার্মান-সোভিয়েত অনাক্রমণ চুক্তির বার্ষিকী ছিল ২৩ আগস্ট৷ ১৯৩৯ সালে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার রাষ্ট্রনায়ক জোসেফ স্ট্যালিন এবং নাৎসি জার্মানির অ্যাডলফ হিটলারের মধ্যে এই চুক্তিকেই ধরে নেয়া হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর লক্ষণ হিসেবে৷

ইউরোপের নাগরিকদের সেই দুঃসহ স্মৃতি মনে রাখার পরামর্শ দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন৷ উগ্র জাতীয়তাবাদ, বিদেশিদের সম্পর্কে অহেতুক ভয় সৃষ্টি এবং ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য থেকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছে সংস্থাটি৷ 

নব্য-নাৎসিবাদ, যোগ্য প্রতিবাদ

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘মানুষের মর্যাদাবোধ, মৌলিক অধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন এবং উগ্র জাতীয়তাবাদের মতো মানবিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন৷ এই অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের প্রতিনয়ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে৷''

‘‘চরমপন্থা, জাতীয়তাবাদ, বিদেশিভীতি এবং ঘৃণার কথা এখনও ইউরোপে বিভিন্ন আয়োজনে শোনা যায়৷ শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই অতীত স্মৃতিচারণ নয়, বরং এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেজন্যই এই মতবাদগুলোকে প্রতিহত করা উচিত৷''

শোষণ-নির্যাতনের কোনো স্থান ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে নেই বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে৷

পোল্যান্ড দখলে সোভিয়েত-নাৎসি আঁতাত

সোভিয়েত-নাৎসি অনাক্রমণ চুক্তির এক সপ্তাহের মধ্যে পোল্যান্ড আক্রমণ করে বসে হিটলারের বাহিনী৷ অন্যদিক থেকে এগিয়ে আসে সোভিয়েত বাহিনীও৷ পূর্ব-পশ্চিম দুই দিক থেকে আক্রমণ সামলাতে পারেনি অপ্রস্তুত পোল্যান্ড৷ আক্রান্ত হওয়ার ৩৬ দিনের মাথায় পরাজয় স্বীকার করে নেয় দেশটি৷ সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং জার্মানি মিলে ভাগ করে নেয় পোল্যান্ড৷ অল্প একটু অংশ পায় স্লোভাকিয়া৷ পাঁচ বছর ধরে গণহত্যার শিকার হয় পোলিশ নাগরিকরা৷ প্রাণ হারায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ৷

এই চুক্তি দুই বছর স্থায়ী হয়৷ ১৯৪১ সালের জুনে হিটলার রাশিয়া আক্রমণ করলে ভেঙে পড়ে এই আঁতাত৷ বিভিন্ন দেশে পোলিশ দূতাবাস স্মরণ করেছে এই দিনটিকে৷

তবে রুশ গণমাধ্যমে এই বিষয়টির বদলে গুরুত্ব পেয়েছে ১৯৪৩ সালের একটি ঘটনা৷ সেই বছরের ২৩ আগস্ট কুর্স্কের যুদ্ধে সোভিয়েত বাহিনীর হাতে নাৎসি বাহিনীর পরাজয় হয়৷ কুর্স্কের যুদ্ধকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সম্মুখ যুদ্ধের একটি বলে মনে করা হয়৷

এস্তোনিয়া বিতর্ক

২৩ আগস্ট ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সমাজতান্ত্রিক শাসনের সময় সংগঠিত অপরাধের বিচার নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করে এস্তোনিয়া৷ ইউরোপের একমাত্র দেশ হিসেবে গ্রিস এই সম্মেলনে অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়৷

‘‘নাৎসিবাদের মতো সমাজতন্ত্রকে আমরা চরমপন্থি মতবাদ বলে মনে করি না'' – গ্রিক বিচারমন্ত্রীর এই বক্তব্যও বেশ গুরুত্ব পেয়েছে রুশ পত্রপত্রিকায়৷

আলস্টেয়ার ওয়ালশ/এডিকে/এসিবি (ডিপিএ)