1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলোচনায় আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া

১৭ জুলাই ২০১৭

হামবুর্গে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে যা বলেছিলেন, দেশে ফিরেও সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়-ইন৷ জানালেন, তাঁর দেশ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত৷

https://p.dw.com/p/2gei2
Nordkorea Südkorea Konflikt DMZ UN
ছবি: Getty Images/AFP/J. Martin

দীর্ঘ দিনের বৈরি সম্পর্কে বিরল যে সুবাতাস, হঠাৎ তা-ই যেন বইয়ে দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়-ইন৷ প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ আবারও উঠে এলো তাঁর মুখে৷ দু'দেশের সম্পর্কে উত্তেজনার পারদ যখন ঊর্ধগামী, তখন সম্পর্কোন্নয়নের আগ্রহ অন্য মহল থেকেও প্রকাশিত৷ দক্ষিণ কোরিয়ার রেডক্রস বলেছে, দুই দেশের মধ্যে পারিবারিক পুনর্মিলনীকে সম্ভব করার জন্য তারাও আলোচনায় আগ্রহী৷ দক্ষিণ কোরিয়ার রেডক্রস সবুজ সংকেত পেলে উত্তর কোরিয়ার রেড ক্রস কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রস্তাবিত এ আলোচনা হতে পারে আগামী ২১ জুলাই৷ আলোচনার স্থানও নির্ধারিত৷ দু'দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে হতে পারে এই আলোচনা৷ ২০১৫ সালে সিউল ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সর্বশেষ সরকারি পর্যায়ের আলোচনাটিও হয়েছিল সেখানে৷

তাই প্রেসিডেন্ট মুন জায়-ইনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে উত্তর কোরিয়াও যদি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনায় রাজি হয়, তাহলে সেই আলোচনার সূচনাও পানজুনজমেই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোমবার সেরকমই জানিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, ‘‘দু'দেশের ভূ সীমান্তে যে সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে, তা লাঘব করার জন্য আমরা আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছি৷'' তবে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আলোচনার টেবিলে দক্ষিণ কোরিয়া কী কী বিষয় রাখবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি৷

সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করায় অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও তার মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র৷ উত্তর ও দক্ষিণের কোনো আলোচনায় এ বিষয়টি উঠে না এলে আলোচনার কার্যকারীতা এবং গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিতভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হবে৷ অন্যদিকে উত্তর কোরিয়াও দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে কড়া আপত্তি জানিয়ে আসছে৷ এ আপত্তিকে অগ্রাহ্য করলেও আলোচনায় পিয়ংইয়ংয়ের তরফ থেকে আন্তরিক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করা বাস্তবানুগ হবে না৷ দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান বদলাতে পারে কিনা – এই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ মন্ত্রী চো-মিউংগিয়নের কাছে৷ প্রশ্নটি কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি৷

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এবং রেড ক্রসের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব রাখা হলেও এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়া এখনো কোনো মন্তব্য করেনি৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য