1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এই না হলে ব্রাজিলের সমর্থক!

২৫ মার্চ ২০১৮

আগামী জুনে রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে৷ তখন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে শুরু হবে তর্কযুদ্ধ৷ কে কতবড় সমর্থক তা প্রমাণের চেষ্টাও শুরু হবে৷ কিন্তু কারও পক্ষে কি ব্রাজিলের নেলসন পাভিওত্তিকে হারানো সম্ভব?

https://p.dw.com/p/2uqau
ছবি: FIFA Museum

১৯৯৪ সালের পর থেকে পেশায় আইনজীবী পাভিওত্তির জীবন শুধু হলুদ আর সবুজময়৷ তখন থেকে এখন পর্যন্ত যে পোশাকই তিনি পরেছেন, পায়ে যে জুতাটি লাগিয়েছেন, সবগুলোর রংয়েই ছিল সবুজ আর হলুদের ছোঁয়া৷ এমনকি খাবারও খাচ্ছেন ব্রাজিলের পতাকার রংয়ের৷ সবুজ-হলুদ ফলমূল, এই দুই রংয়ের জেলি, বাদাম, অর্থাৎ যা কিছু সবুজ আর হলুদ শুধু সেগুলোই খাচ্ছেন পাভিওত্তি৷

শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সময় তাঁর বিছানার চাদর, গাড়ি, অফিসের আসবাবপত্র সবই ছিল সবুজ আর হলুদ রংয়ের৷ বাড়ির সামনের রাস্তায় ছিল ব্রাজিলের পতাকা৷ বাড়ির সদর দরজার গ্রিলেও ছিল এই দুই রংয়ের স্পর্শ৷

পায়ে যে জুতাটি লাগিয়েছেন, সবগুলোর রংয়েই ছিল সবুজ আর হলুদের ছোঁয়া
পায়ে যে জুতাটি লাগিয়েছেন, সবগুলোর রংয়েই ছিল সবুজ আর হলুদের ছোঁয়াছবি: FIFA Museum/Daniel Hurter

পাঠক এতক্ষণে নিশ্চয়্ই ভাবছেন, ঘটনা কী? কেন পাভিওত্তি এমন করছেন? উত্তর, প্রিয় দলের সমর্থনে একসময় যে অঙ্গীকার তিনি করেছিলেন, তা রক্ষা করা৷

১৯৯৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের সময় পাভিওত্তি অঙ্গীকার করেছিলেন, যদি সেবার ব্রাজিল বিশ্বকাপ জেতে তাহলে সারা জীবন জাতীয় পতাকার রংয়ে কাটিয়ে দেবেন তিনি৷ এখন সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন তিনি৷

পাভিওত্তির এই অদ্ভুত আচরণ ফিফাসহ অনেকের নজর কেড়েছে৷ তাইতো তাঁকে নিয়ে নির্মিত একটি ভিডিও রাখা হয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে অবস্থিত ফিফার জাদুঘরে৷ সম্প্রতি সেই জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন পাভিওত্তি৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)