1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এখনো আশার আলো দেখাচ্ছেন জনসন

১৬ জুন ২০২০

সোমবার ইইউ ও ব্রিটেনের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে রাজনৈতিক সদিচ্ছা সত্ত্বেও ব্রেক্সিট-পরবর্তী চুক্তির কোনো স্পষ্ট রূপরেখা উঠে এলো না৷ বোঝাপড়া সম্ভব না হলে ২০২১ সালে ‘হার্ড ব্রেক্সিট' অনিবার্য হয়ে উঠবে৷

https://p.dw.com/p/3dpvQ
ছবি: Reuters/10 Downing Street/A. Parsons

গত জানুয়ারি মাসের শেষে ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা চলছে৷ কিন্তু এখনো ঐকমত্যের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না৷ অথচ ছয় মাসের মধ্যে কোনো বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত না হলে ২০২১ সালে ব্রিটেন আর ইইউ-র অভ্যন্তরীণ বাজারের নাগাল পাবে না৷ ইইউ দেশগুলিও আর ব্রিটেনে বাজারে বিনা বাধায় পণ্য ও পরিষেবা বিক্রি করতে পারবে না৷

এবার সেই আলোচনায় গতি আনতে আসরে নেমেছেন শীর্ষ নেতারা৷ সোমবার প্রায় এক ঘণ্টার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইইউ-র তিন শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক হয়েছে৷ ফলে আগামী মাসের শেষেই নীতিগতভাবে ঐকমত্য সম্ভব বলে মনে করছেন জনসন৷ তবে সেটা সম্ভব না হলেও তিনি কোনোমতে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থার মেয়াদ বাড়াতে প্রস্তুত নন৷ সে ক্ষেত্রে ২০২১ সাল থেকে শুল্ক ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হবে৷

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন, ইইউ সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রধান ডাভিড সাসোলি জনসনের কাছ থেকে অবিলম্বে কোনো ছাড় আদায় করতে না পারলেও এক বিরল যৌথ বিবৃতিতে দুই পক্ষই আলোচনায় ‘নতুন গতি’ আনার অঙ্গীকার করেছে৷ এর আওতায় দুই পক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা জুলাই মাসে টানা পাঁচ সপ্তাহ ধরে আরও ঘনঘন আলোচনা করবেন৷

রাজনৈতিক স্তরে আশার আলো দেখা দিলেও দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ কাটার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ ইইউ ত্যাগ করার পর ব্রিটেন সেই রাষ্ট্রজোটের কোনো বিধিনিয়ম মানতে প্রস্তুত নয়৷ অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারে অবাধ প্রবেশের পূর্বশর্ত হিসেবে ইইউ ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ন্যায্য পরিস্থিতির প্রশ্নে অনড় রয়েছে৷ এছাড়া মাছ ধরা, পুলিশ ও বিচার বিভাগের মধ্যে সহযোগিতার মতো বিষয়েও মতপার্থক্য বজায় রয়েছে৷

বরিস জনসন ব্রেক্সিট সংক্রান্ত আলোচনায় অনড় থেকে শেষ মুহূর্তে চুক্তি মেনে নিতে পারেন বলে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ গত বছর ব্রেক্সিট চুক্তির ক্ষেত্রে তিনি এমনটাই করেছিলেন৷ তবে চুক্তির পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে রাজনৈতিক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেও বর্তমানে তিনি সেটি উপেক্ষা করছেন৷ তাই বোঝাপড়ার আশার পাশাপাশি চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের প্রস্তুতিও পুরোপুরি চালু রয়েছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)