1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তদন্তের মুখে ট্রাম্প

২ মে ২০১৮

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাশিয়া-কেলেঙ্কারির জের ধরে চাপের মুখে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তথ্য ফাঁস হবার পর ওয়াশিংটনে অস্থিরতা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/2wzQB
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তদন্তকারী রবার্ট মালার
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Walsh/J. Scott Applewhite

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, ট্রাম্প-টিমের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই তদন্তে বাধা দিয়েছেন কিনা, এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত করছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর প্রাক্তন প্রধান রবার্ট মালার৷ সংবাদ মাধ্যমের আঁচ থেকে দূরে নীরবে কাজ করে চলেছেন তিনি৷ কিন্তু ট্রাম্প নিজে বিষয়টি নিয়ে যে চরম অস্বস্তিতে ভুগছেন, থেকে থেকে সেই ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে৷ মঙ্গলবার তাঁর টুইট বার্তায় আবার তা স্পষ্ট হয়ে গেল৷ তথ্য ফাঁসের নিন্দা করে ট্রাম্প লিখেছেন, যে অপরাধ ঘটেই নি তার তদন্তে বাধা সৃষ্টি করার প্রশ্নই ওঠে না৷

তদন্ত সম্পর্কে তথ্য ফাঁস হয়ে যাবার কারণে ট্রাম্প এবার বেজায় চটেছেন৷ ট্রাম্প-এর প্রাক্তন আইনজীবী জন ডোড সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন৷ তাঁর দাবি, গত মার্চ মাসে ট্রাম্প-এর আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনার সময়ে মালার বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট স্বেচ্ছায় জেরার মুখে পড়তে না চাইলে তিনি প্রেসিডেন্টকে আদালতে হাজির হতে বাধ্য করবেন৷

শুধু জন ডোড নয়, ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও ৪ জনকে উদ্ধৃত করে আগেই এমন দাবি করেছিল৷ তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালার-এর সঙ্গে ট্রাম্প টিমের দরকষাকষি চলছিল৷ শেষ পর্যন্ত মালার-এর টিম ট্রাম্প-কে জেরার বিষয়গুলি আরও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে৷ তার ভিত্তিতে ট্রাম্প-এর আরেক আইনজীবী ভেবেচিন্তে মোট ৪৯টি সম্ভাব্য প্রশ্নের খসড়া তৈরি করেন বলে দাবি করা হচ্ছে৷

নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্রও সোমবার সেই মর্মে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ ট্রাম্প-এর আইনজীবীদের টিমের বাইরের কোনো ব্যক্তি তাদের এই খবর দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷

শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরার মুখোমুখি হয়ে এই সব প্রশ্নের জবাব দেবেন কিনা, হোয়াইট হাউস সে বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি৷ ট্রাম্প নিজে বিভিন্ন সাক্ষাৎকার ও টুইট বার্তায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি সম্পর্কে এত পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রাখছেন, মালার সেগুলোর ভিত্তিতেও প্রশ্ন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নগুলির বাইরেও তিনি ট্রাম্প-কে অন্য বিষয়েও জেরা করতে চান কিনা, তাও স্পষ্ট নয়৷ মালার-এর দপ্তর গোটা বিষয়টি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করে নি৷

তদন্তের মুখে ট্রাম্প এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার ফলে তাঁর নিজের অবস্থান বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত তাঁর সহযোগীদের অনেককেই দূরে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি৷ আইনজীবীদের টিমেও বার বার রদবদল করে অনেকের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প৷ এই অবস্থায় তাঁর সরাসরি প্রভাব থেকে দূরে চলে গিয়ে অনেকে বিভিন্ন বিষয়ে মুখ খুলছেন, তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন৷

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)