1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমালোচনা

২১ আগস্ট ২০১৮

একদিকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অন্যদিকে চীন ও ইউরোপের সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে তাঁর উদ্যোগের পক্ষেও জোরালো সওয়াল করলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/33SCE
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফেডের প্রধান জেরোম পাওয়েল
ছবি: Getty Images/D. Angerer

প্রেসিডেন্ট হিসেবে গণতন্ত্রের রীতি উপেক্ষা করে মার্কিন বিচার বিভাগ ও সংসদের নিরপেক্ষতা বার বার খর্ব করার চেষ্টা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সব জায়গায় নিজের পছন্দের মানুষ পাঠিয়ে তিনি নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে চান৷ এবার তিনি তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়ে দিলেন, ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তিনি মোটেই খুশি নন৷ তাঁর মতে, মার্কিন অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করতে তিনি যে উদ্যোগ নিচ্ছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সে কাজে সাহায্য করা উচিত৷ ট্রাম্প বলেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করতে তাঁর প্রশাসন শক্ত হাতে বাকি বিশ্বের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে৷ এই উদ্যোগে জয় সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত৷ কিন্তু সেই সময়কালে ফেড অ্যামেরিকাকে সাহায্য করছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতার বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না করলেও ট্রাম্প বলেন, ফেড দেশের ভালোর জন্যই কাজ করছে বলে তাঁর বিশ্বাস৷

শুধু দেশের মধ্যে নয়, বাকি বিশ্বের সঙ্গেও আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংঘাতের পথে চলেছেন ট্রাম্প৷ শাস্তিমূলক শুল্ক চাপিয়ে তিনি পালটা পদক্ষেপেরও শিকার হচ্ছেন৷ ফলে বাকি বিশ্বের সঙ্গে তাঁর প্রশাসনের বাণিজ্য নিয়ে সংঘাত চলছে৷ কিন্তু ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতির দোহাই দিয়ে তিনি সেই পথেই চলতে বদ্ধপরিকর৷ ট্রাম্প চীন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে মুদ্রার বিনিময় হার বিকৃত করার অভিযোগ আনেন৷

সাম্প্রতিক কালে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমালোচনা করেননি৷ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে ফেডের নিরপেক্ষতা খর্ব করতে চাননি তাঁরা৷ ট্রাম্প অবশ্য রীতিনীতির পরোয়া করেন না৷ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবেই তিনি ফেডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়েছিলেন৷ তিনি গত জুলাই মাসেও আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে কড়াকড়ির জন্য ফেডের সমালোচনা করেছিলেন৷ অথচ তিনি নিজেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে জেরোম পাওয়েলকে মনোনীত করেছিলেন৷ তাঁর নেতৃত্বে ফেড চলতি বছরেই দু-দুবার সুদের হার বাড়িয়েছে৷ মূল্যস্ফীতি বাড়ার ফলে সেপ্টেম্বর মাসে আরও একবার সুদের হার বাড়াতে পারে ফেড৷ গত ৬ বছরে সুদের হার এই মাত্রায় বাড়েনি৷ অন্যদিকে বেকারত্বের হার গত ২০ বছরে সবচেয়ে কম মাত্রা ছুঁয়েছে৷

ট্রাম্পের মন্তব্যের ফলে অ্যামেরিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে পুঁজিবাজারে প্রভাব দেখা যাচ্ছে৷ মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য কিছুটা কমে গেছে৷ বিশেষ করে এশিয়ার পুঁজিবাজারে দরপতন ঘটেছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য