1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এর্দোয়ানের কবিতা নিয়ে ইরান-তুরস্ক বাকযুদ্ধ

১৪ ডিসেম্বর ২০২০

আজারবাইজানের বিজয়োৎসবে যোগ দিয়ে বিতর্কের মুখে এর্দোয়ান। একটি কবিতা নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3mfdo
এর্দোয়ান
ছবি: Turkish Presidency/AP Photo/picture alliance

আজারবাইজানের বিজয়োৎসবে যোগ দিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। তাঁর সেই কবিতা নিয়েই এ বার তুমুল বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে তুরস্ক এবং ইরানের। ইরানের দাবি, আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন এর্দোয়ান। অন্য দিকে, তুরস্কের বক্তব্য, দেশের প্রেসিডেন্টকে অন্যায় ভাবে আক্রমণ করছে ইরান।

গত বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকু গিয়েছিলেন এর্দোয়ান। সম্প্রতি আর্মেনিয়ার সঙ্গে নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধ হয়েছে আজারবাইজানের। যুদ্ধে লাভবান হয়েছে আজারবাইজান। তারই প্রেক্ষিতে বিজয়োৎসবের আয়োজন করেছিল আজারবাইজান। সেই উৎসবে ডাকা হয়েছিল দেশের বন্ধু প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সেই উৎসবে যোগ দিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। যেখানে সমস্ত তুর্কির এক হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কবিতায় বলা হয়েছে, আরাস নদীতে পাথর ফেলে তুর্কি জনগণকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। এই আরাস নদীই আজারবাইজান এবং ইরানের মাঝে সীমান্ত তৈরি করেছে। ইরানে বিপুল পরিমাণ তুর্কি থাকেন। ইরানের দাবি, কবিতাটি বলে ইরানের তুর্কিদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদ উসকে দিয়েছেন এর্দোয়ান। আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন।

বস্তুত, ২০০ বছর আগে এই সীমান্ত নিয়ে একটি চুক্তি হয়েছিল। এর্দোয়ানের কবিতা সেই চুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেয় বলে ইরানের বক্তব্য। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ টুইট করে এর্দোয়ানের সমালোচনা করেছেন। ইরানে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে ডেকেও আপত্তি জানানো হয়েছে।

তুরস্ক অবশ্য ইরানের আপত্তির কড়া জবাব দিয়েছে। বলা হয়েছে, এর্দোয়ান জানতেন না সামান্য একটি কবিতা এই ধরনের বিতর্কের কারণ হবে। শুধু তাই নয়, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, যে ভাষায় ইরান তাঁকে আক্রমণ করেছেন তা অনভিপ্রেত। ইরান যেন তাদের বক্তব্য পুনর্বিবেচনা করে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)