1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এলার্জিতে ভোগে অতিরিক্ত মোটা শিশু-কিশোররা

১১ মে ২০০৯

অতিরিক্ত মোটা শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের শতকরা ২৬ ভাগই কোন না কোন এলার্জিতে ভোগে৷ আর এর বেশিরভাগই হয়, খাবার থেকে৷ গত ৪মে মার্কিন গবেষকরা এই কথা বলেছেন৷

https://p.dw.com/p/HnrT
ছবি: AP

তবে অতিরিক্ত মেদই এই এলার্জির কারণ কিনা তা পরিষ্কার নয়৷ গবেষকরা এই কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি অল্প বয়সে মেদ নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়েছেন৷ তাঁরা বলেন, এতে শৈশবে এলার্জি এবং শ্বাসকষ্টের মাত্রা কমতে পারে৷

ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব এনভাইরনমেন্টাল হেল্থ সায়েন্সের ভারপ্রাপ্ত ক্লিনিক্যাল পরিচালক ড.ডেরিল জেলডিন বলেছেন, মেদ এবং এলার্জির মধ্যে আমরা একটা ইতিবাচক সংযোগ পেয়েছি৷

একই সংস্থার গবেষক ড. স্টেফানি লন্ডন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এলার্জিগুলো বেশিরভাগই, খাবারের এলার্জি থেকেই আসে বলে দেখা গেছে৷ তিনি বলেন, মেদবহুল শিশুদের খাবার থেকে এলার্জির হার দেখা গেছে সর্বোচ্চ, যা শতকরা ৫৯ ভাগ৷ ২ থেকে ১৯ বছর বয়সের ৪ হাজার শিশু এবং তরুণের ওপর বিশ্লেষকরা সমীক্ষা চালিয়েছেন৷ যার মধ্যে এলার্জি এবং শ্বাস কষ্ট সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে৷ মেদবহুল অথবা মাত্রাধিক ওজনের শিশুদের গবেষকরা বিশেষ ধরনের এলার্জির এ্যান্টিবডির উচ্চমাত্রা দেখেছেন৷ শৈশব এবং পরিণত বয়সের অতিরিক্ত মেদ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সমস্যা নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সমস্যা রয়েছে৷ জেলডিন বলেন, এই সমীক্ষার ফলাফল যথেষ্ট আগ্রউদ্দীপক হলেও অতিরিক্ত মেদ এলার্জির কারণ, এর অভ্রান্ত প্রমাণ তাঁরা দেননি৷ এই সম্ভাব্য সংযোগটির আরো তদন্তের জন্যে আরো বেশি গবেষণা প্রয়োজন৷

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে ২ থেকে ১৯ বছর বয়সের প্রায় শতকরা ১৬ ভাগ মার্কিন শিশু এবং তরুণই মেদবহুল বলে বিবেচনা করা হয়৷ অতিরিক্ত মেদ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং শ্বাস কষ্টের ঝুঁকি বাড়ায়৷

গত ২৭-শে এপ্রিল জার্মানির বন শহরের জাতিসংঘ দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ৪ দিন ব্যাপী একটি সম্মেলন৷ ''সেভেনথ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন হিউম্যান ডাইমেনশন অব গ্লোবালএনভাইরনমেন্টাল চেঞ্জ ''– শীর্ষক এই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যারা জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন এই সম্মেলনে তারা যোগ দেন৷ বাংলাদেশ থেকে আসেন ড. জুলফিকার আলী ইসলাম, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক৷ ভারত থেকে এসেছেন ড. ঝর্ণা চক্রবর্তী৷ তিনি অরুণাচল প্রদেশের রাজিব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রধান৷ তিনি গবেষণা করছেন অরুণাচল প্রদেশের উপজাতী গোষ্ঠীর খাদ্যাভ্যাসের ওপর৷ আর ড. জুলফিকার আলী ইসলাম গবেষণা করছেন বাংলাদেশে নদীর ভাঙ্গনে বাস্তুহারা জনগোষ্ঠীর পরিবেশের সঙ্গে খাপখাওয়ানোর নিজস্ব কৌশল নিয়ে৷ এই দুই অতিথিকে ডয়চেভেলের বন স্টুডিওতে স্বাগত জানানো হয়েছিল৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক