1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এএফডি-র সমর্থন কি কমবে?

১৫ মার্চ ২০১৮

চতুর্থবার চ্যান্সেলরের দায়িত্ব নেবার পর জার্মান সরকার প্রধান আঙ্গেলা ম্যার্কেল প্রথম সাক্ষাৎকারেই তাঁর এই মিশনের ঘোষণা দেন৷ 

https://p.dw.com/p/2uMmw
	
Deutschland Bundestag Angela Merkel
ছবি: Getty Images/AFP/T. Schwarz

জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবার অংশ নিয়েই এবার জার্মানির কট্টর ডানপন্থি দল অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড বা এএফডি ১২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পায়, যা তৃতীয় সর্বোচ্চ৷ অন্যদিকে, আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ ও জোটভুক্ত মধ্য-বামপন্থি দল এসপিডি বেশ জনসমর্থন হারিয়েছে৷

এএফডি বরাবরই ম্যার্কেলের কড়া সমালোচক৷ অনেক আগে থেকেই তারা ম্যার্কেলকে চ্যান্সেলরের পদ থেকে হটানোর দাবি করে আসছে৷

চতুর্থবার দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের সেই কড়া সমালোচনার জবাব দিলেন আঙ্গেলা৷

বুধবার জার্মানির রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম এআরডি'কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে, তাঁর দল যেটুকু জনসমর্থন হারিয়েছে, তা ফের জিততে হবে৷ 

‘‘যারা প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঐ দলটিকে ভোট দিয়েছেন, তাদের সমস্যা সমাধান করতে হবে৷'' বলেন ম্যার্কেল৷ ‘‘এর অর্থ হলো, আমাদের লক্ষ্য জার্মান পার্লামেন্ট থেকে এই দলের প্রতিনিধিদের সংখ্যা কমানো৷''

অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে মহাজোট সরকার গঠনের পথ পরিষ্কার করার পরও মাত্র নয় ভোটের ব্যবধানে চতুর্থবার চ্যান্সেলর নির্বাচিত হয়েছেন ম্যার্কেল৷

যদিও কে তাঁকে ভোট দিয়েছেন, কে দেননি তা জানা সম্ভব নয়, তারপরও বোঝাই যায়, তাঁর ক্রিস্টিয়ান ব্লক ও মধ্যবামপন্থি এসপিডি'র জোটের বাইরের সংসদ সদস্যরাই তাঁর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন৷

জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগে এএফডি'ই এখন সবচেয়ে বড় বিরোধী দল৷ এই দলটির প্রধান সমস্যা হলো, ম্যার্কেলের শরণার্থী নীতি৷ নির্বাচনের আগেও প্রচারণার সময় তারা ম্যার্কেলকে গদি থেকে নামানোর ডাকই দিয়েছিলেন৷

বুধবার সংসদে চ্যান্সেলর নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবার সময় এএফডির এক নেতার সহকারী দর্শনার্থীদের জন্য নির্ধারিত স্থান থেকে একটি প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে ধরেন, যাতে লেখা ছিল, ‘‘ম্যার্কেলের বিদায় হোক''৷পরে অবশ্য তাকে সরিয়ে নেয়া হয়৷

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ম্যার্কেলের বিপক্ষে ভোট দেবেন উল্লেখ করায় এএফডি'র আরেক সংসদ সদস্যও জরিমানা গুনেছেন৷ এএফডি'র সমর্থকদের অনেককেই ‘নিও নাৎসি' বলে ২০১৬ সালে এএফডি'র লাইপসিশ শাখার প্রধানের গাড়ির নাম্বার নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷ তাঁর গাড়ির নাম্বার ছিল এএইচ১৮১৮৷ ‘এএইচ' হলো অ্যাডলফ হিটলারের নামের আদ্যাক্ষর৷ আর সংখ্যাগুলো হলো প্রথম ও অষ্টম বর্ণ৷ বলা হয়ে থাকে, এই দু'টি বর্ণ নব্য নাৎসিদের একটি কোড৷

জেডএ/এসিবি (এএফডি, রয়টার্স)