1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কড়া নিয়মের মধ্যে খুলবে ধর্মস্থান, শপিং মল

৫ জুন ২০২০

ভারতে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে 'আনলক-১'। খুলছে শপিং মল, ধর্মস্থান। নিয়মাবলী প্রকাশ করলো সরকার। 

https://p.dw.com/p/3dHiT
ছবি: DW/R. Sharma

ভারতে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে 'আনলক-১'। খুলছে শপিং মল, ধর্মস্থান। নিয়মাবলী প্রকাশ করলো সরকার। 

ভারতে আগামী ৮ জুন থেকে ক্রমশ লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। খুলে যাবে ধর্মস্থান, শপিং মল, অফিস-কাছারি। কিন্তু সর্বত্রই মেনে চলতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে। নিয়ম ভাঙলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

করোনার কারণে ভারতে পাঁচ দফায় লকডাউন হয়েছে। ২৪ মার্চ থেকে যে লকডাউন শুরু হয়েছিল, এখনও তা কার্যকর আছে। তবে সময়ে সময়ে বদলেছে নিয়ম। শিথিল হয়েছে লকডাউন। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, আগামী ৮ মার্চ থেকে শুরু হবে আনলক প্রক্রিয়া। যাকে বলা হচ্ছে 'আনলক-১'। আগেই জানানো হয়েছিল, আনলক শুরু হলে ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে মন্দির, মসজিদ, গির্জা। খুলবে শপিং মল। রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে। কিন্তু আগের মতো নয়। প্রতিটি জায়গার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আলাদা আলাদা গাইডলাইন বা নিয়মবলী দিয়েছে।

শপিং মল

শপিং মল খুলে দেওয়া হলেও এক সঙ্গে প্রচুর লোক সেখানে ঢুকতে পারবেন না। শপিং মলের বাইরে লাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেক ব্যক্তির থার্মাল স্ক্রিনিং হবে। সামান্য সমস্যা মনে হলেই শপিং মল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যক্তির ঢোকা আটকে দিতে পারেন। যাঁরা ঢুকবেন, তাঁদের মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক। হ্যাান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে মলের গেটেই। মলের ভিতর ৬ ফুটের সামাজিক দূরত্ব থাকছে কি না, তা দেখার জন্য মল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ কর্মী নিয়োগ করতে হবে। এলিভেটরে খুব বেশি লোক এক সঙ্গে উঠতে পারবেন না। এস্কালেটরে একটি সিঁড়ি ছেড়ে ছেড়ে দাঁড়াতে হবে। কাজ ছাড়া মলের ভিতর ঘুরে বেড়ানোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা থাকছে।

ধর্মস্থানের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম জারি করা হয়েছে। মলের মতোই ধর্মস্থানের মূল ফটকেও থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মস্থানের বাইরে ৬ ফুটের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। লাইন দেখার জন্য নির্দিষ্ট লোক নিয়োগ করতে হবে। ধর্মস্থানে কোনও মূর্তি থাকলে তাতে হাত দেওয়া যাবে না। হিন্দু মন্দিরে চরনামৃত দেওয়া যাবে না। মসজিদে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। গির্জার প্রার্থনার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম পালিত হবে। ধর্মস্থানের বাইরে জুতো খোলার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট নিয়ম জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গাড়ি থাকলে তাতেই যেন জুতো খোলা হয়। নইলে ধর্মস্থানের বাইরে জুতো খোলার ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্বের নীতি বহাল রাখতে হবে। এবং তার দায়িত্ব নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

সামাজিক দূরত্ব মানতে এত বড় জুতা!

রেস্তোরাঁ এবং হোটেল

রেস্তোরাঁ খুললেও ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখতে হবে। একই টেবিলে বেশি লোক বসা যাবে না। মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম। কাপড়ের ন্যাপকিনের জায়গায় কাগজের টিশু পেপার ব্যবহার করতে হবে। মেনু কার্ডও এক বার ব্যবহার করার মতো হলে ভালো। অর্ডার নেওয়া, বিল মেটানো-- সব ক্ষেত্রেই ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সরাসরি সংযোগ কমানোর চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। টাকার বদলে কার্ডে কিংবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পেমেন্ট নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর হোটেলে ডিক্লেরেশন ফর্মে সই করে ঢুকতে হবে। ব্যাগে জীবানুনাশক দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে হোটেলে ঢোকার মুখে। কর্মীদের সঙ্গে লোকেদের সরাসরি সংযোগ হবে না।

এ ছাড়াও বলা হয়েছে, ৬৫ বছরের ওপরের ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী, অসুস্থ ব্যক্তিরা যেন বাড়িতে থাকেন। তাঁদের বাইরে না বেরনোই ভালো। রাস্তায় থুতু ফেললে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হাঁচি, কাশির ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করতে হবে। কেউ নিয়ম না মানলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই, এমএইচএ)