1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চীনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাড়ছে মৃত্যুও। জার্মানিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২।

https://p.dw.com/p/3XEUL
ছবি: Getty Images/K. Frayer

বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের দাপট আরও ছড়িয়ে পড়েছে। জার্মানির পরে এ বার অ্যামেরিকাতেও ২ জন করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে। অন্য দিকে, চীনে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪২৫। আক্রান্ত ২০ হাজার ৪০০। এ দিকে সোমবার রাতে জার্মান স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কেবল বাভারিয়াতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০। এ ছাড়াও জার্মান সেনা ছাউনিতে আরও দু'জন আক্রান্তকে রাখা হয়েছে। চীন থেকে তাঁদের উড়িয়ে আনা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের প্রকোপে চীনে কার্যত মহামারি শুরু হয়েছে। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সেখানে করোনা ভাইরাসের দাপট অব্যাহত। শুরু হয়েছিল উহান থেকে। ক্রমশ তা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশেই। সম্প্রতি হংকং থেকেও করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই নিয়ে বৃহত্তর চীন থেকে দু'জনের মৃত্যুর খবর মিলল। চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, উহান প্রদেশ থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। সাম্প্রতিক হিসেব বলছে, এই মুহূর্তে হুবেই প্রদেশে সব চেয়ে বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত কয়েক দিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৪৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪১৪ জনের।

করোনার সঙ্গে লড়াই করার জন্য মাত্র ১০ দিনে চীন সরকার একটি এক হাজার শয্যার মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছে। সেখানে চিকিৎসাও শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু দিনের মধ্যে আরও একটি দেড় হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরি করা হবে। গোটা দেশ জুড়ে এখনও কার্যত জরুরি অবস্থা চলছে। শহরগুলিতে বনধের চেহারা। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, চীনে এখন মাস্ক কম পড়ে গিয়েছে৷

এ দিকে জার্মানির বাভারিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। গত সপ্তাহে সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫ জন। এ সপ্তাহের গোড়ায় সংখ্যাটি পৌঁছে গিয়েছে ১০-এ। তবে জার্মান স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওই ১০ জন একই সংস্থায় কাজ করতেন। কিছু দিন আগে সংস্থার সদর দফতরে একটি কর্মশালায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন অনেকে। সেখানে চীন থেকে একজন এসেছিলেন। তাঁর থেকেই রোগের সংক্রমণ হয়েছে। অন্য দিকে চীন থেকে জার্মান ছাত্র এবং পেশাদারদের নিজের দেশে উড়িয়ে এনেছে জার্মানি। তাঁদের রাখা হয়েছে একটি জার্মান সেনা ছাউনিতে। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, সেখানে ২ জন ছাত্র করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন। অ্যামেরিকাতেও দু'জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

করোনার সঙ্গে লড়াই করার জন্য এক জোট হয়েছে জি সেভেন দেশগুলিও। সম্প্রতি টেলিফোনে কনফারেন্স কল করে প্রতিটি দেশের প্রতিনিধিরা ঠিক করেছেন, করোনা মোকাবিলায় একযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু করোনার কথা মাথায় রেখে বিশ্বস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। তবে তার পরেও হু জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা ঘোষণা হলেও বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।

ভারতে এখনও পর্যন্ত তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যেকেই কেরালায়। সেখানকার সরকার করোনা নিয়ে রাজ্য স্তরে বিপর্যয় ঘোষণা করেছে। দিল্লি, রাজস্থান এবং কলকাতায় করোনা সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। কলকাতায় এর মধ্যে কয়েকজনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। চীন থেকে বহু মানুষকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে দেশে ফিরিয়ে এনেছে ভারত। তার মধ্যে কয়েকজন আছেন কলকাতায়।

বাংলাদেশও চীন থেকে নিজের দেশের বহু নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেখানে করোনা আক্রান্ত পাওয়া যায়নি।

এসজি/জিএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স, এনডিটিভি)