1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা মোকাবিলায় জার্মানিতে কারফিউ

২৩ এপ্রিল ২০২১

সংসদের উভয় কক্ষে যুক্তিতর্কের পর জার্মানিতে ‘এমারজেন্সি ব্রেক' অনুমোদিত হয়েছে৷ ফলে সংক্রমণ বাড়লেই রাতে কারফিউসহ একাধিক পদক্ষেপ কার্যকর করতে হবে৷

https://p.dw.com/p/3sSde
ছবি: Markus Schreiber/AP Photo/picture alliance

বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চ কক্ষ ও প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের পর করোনা সংকটের তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করতে শনিবার থেকে জার্মানিতে ‘এমারজেন্সি ব্রেক' কার্যকর হচ্ছে৷ ফলে ফেডারেল সরকার পরিস্থিতি সামলাতে বাড়তি ক্ষমতা পাবে৷ রাজ্য, আঞ্চলিক বা স্থানীয় প্রশাসনকে সেই আইন অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে৷ গোটা দেশের জন্য একই বিধিনিয়ম চালু হওয়ায় বিভ্রান্তি ও সংশয়ও কমে যাবে বলে সরকার আশা করছে৷

প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণের গড় সাপ্তাহিক হার নির্দিষ্ট মাত্রা পেরোলেই সংক্রমণ সংক্রান্ত সংশোধিত আইনটি কার্যকর হবে৷ যেমন পর পর তিন দিন সেই সংখ্যা ১০০ ছুঁলেই রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ জারি করতে হবে৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন জিনিসপত্র কিনতে দোকানবাজারে অবাধে প্রবেশ করা যাবে না৷ হয় করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেতিবাচক ফলাফল দেখাতে হবে৷ অথবা আগে থেকে অর্ডার দিয়ে দোকান থেকে সেগুলি সংগ্রহ করা যাবে৷ মানুষের মধ্যে দেখাসাক্ষাতও কমিয়ে আনতে হবে৷ সংখ্যাটি ১৬৫ পেরোলে স্কুলে উপস্থিতি বন্ধের মতো আরও কড়া পদক্ষেপ কার্যকর করতে হবে৷ পর পর পাঁচ দিন সেই হার একশোর নীচে থাকলে ফেডারেল আইন প্রত্যাহার করা হবে৷

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল শেষ পর্যন্ত রাজ্যের কিছু ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে দেশজুড়ে এমন একক আইন অনুমোদন করাতে পারলেও এমনকি তাঁর নিজের দলের মধ্যেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷ কিছু রাজ্য সরকারের মতে এই সিদ্ধান্ত জার্মানির ফেডারেল সংস্কৃতি খর্ব করছে৷ সংবিধানের মর্যাদাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেন৷ তবে ফেডারেল সরকারের সমালোচনা করেও মুখ্যমন্ত্রীরা আইনটি অনুমোদন করেন৷ সাংবিধানিক আদালতে এই আইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের মাধ্যমে আইনটি কার্যকর হয়েছে৷

এতকাল জার্মানির রাজ্য সরকারগুলি বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করতে পারেন নি৷ শুক্রবারের হিসেব অনুযায়ী দেশজুড়ে সংক্রমণের দৈনিক হার ছিল সাড়ে সাতাশ হাজারেরও বেশি৷ তার আগের দিন সংখ্যাটি প্রায় ৩০,০০০ ছুঁয়েছিল৷

জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান বলেছেন, টিকাদানের গতি আরও বেড়ে চলায় জুন মাসের মধ্যেই দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ করোনা টিকা নেবার সুযোগ খুলে যাবে৷ সে ক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালের মধ্যেই সব ইচ্ছুক মানুষ টিকা পেতে পারেন৷ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জার্মানিতে ২১ শতাংশের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন৷ কয়েকটি রাজ্য সবার জন্য অ্যাস্ট্রাজেনিকা কোম্পানির টিকা নেবার সুযোগ করে দিচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)