1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজচীন

করোনা: শেনজেনে বন্ধ কারখানা, যানবাহন

১৫ মার্চ ২০২২

ওমিক্রন দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে ২০ মার্চ পর্যন্ত চীনের শেনজেনে লকডাউন। সব কারখানা বন্ধ।

https://p.dw.com/p/48Ty3
চীনে আবার করোনা প্রবলভাবে ছড়াচ্ছে। ছবি: Xinhua/Li Ziheng/picture alliance

২০২১ সাল জুড়ে চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন আট হাজার ৩৭৮ জন। কিন্তু ২০২২-এর প্রথম আড়াই মাসে চীনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে। তাই শেনজেন শহরে সম্পূর্ণ লকআউট ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে শুধু এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ থাকেন তাই নয়, এই শহরকে বলা হয় চীনের সিলিকন ভ্যালি। তথ্যপ্রযুক্তি সহ প্রচুর শিল্প-কারখানা আছে এই শহরে।

লকডাউনের জেরে সেই সব কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। গাড়ি প্রস্তুতকারক ফক্সভাগেনের তিনটি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ। অ্যাপলকে যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী দুইটি সংস্থায় কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তার মধ্যে একটি সংস্থা ফক্সকন অন্য কারখানায় উৎপাদন বাড়িয়ে ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করবে জানিয়েছে।

China - COVID Lockdown in Shenzhen
লকডাউনের পর শুনশান শেনজেন। ছবি: picture alliance/AP

শেনজেনের অবস্থা

আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত শেনজেনে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো সরকারি যানবাহন চলছে না। মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। শহরজুড়ে মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ওমিক্রন যাতে না ছড়ায় তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন সরকারি কর্মকর্তারা।

এর ফলে প্রচুর কারখানা বন্ধ থাকছে। ফক্সভাগেনের এক মুখপাত্র বেজিংয়ে জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে বুধবার পর্যন্ত তাদের কারখানা বন্ধ থাকবে। তার দাবি, এর বড় কোনো প্রভাব উৎপাদনের ক্ষেত্রে পড়বে না। কারণ, যেটুকু ক্ষতি হবে, তা পরে পূরণ করা সম্ভব হবে। জাপানের গাড়িপ্রস্তুতকারক সংস্থা টয়োটাও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 হংকংয়েও করোনার প্রকোপ

হংকংয়ে সোমবার ২৬ হাডার ৯০৮জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৪৯ জন। তবে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই সেখানে করোনা-কড়াকড়ি রয়েছে। দুইজনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ, স্কুল বন্ধ। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। বাইরে ব্যায়াম করতে গেলেও মাস্ক পরতে হয়। সামাজিক দূরত্বের উপর সরকার খুবই জোর দিচ্ছে।

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর করোনা

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস করোনায় আক্রান্ত। তিনি বাড়িতে নিভৃতবাস করছেন এবং বাড়ি থেকেই কাজকর্ম করছেন। প্রধানমন্ত্রীর আবেদন, মানুষ যেন টিকা নেন। কারণ, করোনা শেষ হয়ে যায়নি।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)