1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা কি মানুষকে অস্থির করে তুলছে?

২৬ মার্চ ২০২০

করোনা সংকটের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য গৃহবন্দি মানুষদের অনেকের মনে নিরাপত্তাবোধের অভাব, আশঙ্কা ও উদ্বেগ বাড়ছে৷ অ্যামেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি বাড়ছে৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3a4ag
Symbolbild - Streit
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Wiedl

 

করোনা ভাইরাসের কুপ্রভাব যে শুধু স্বাস্থ্য পরিবেষা অবকাঠামোর উপর পড়ছে না, সে বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই৷ কোটি কোটি মানুষের উপার্জন অনিশ্চিত হয়ে উঠছে এবং অসংখ্য ছোট-বড় ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে৷ বিভিন্ন দেশের সরকার বিশাল অঙ্কের অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করে পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করছে৷

কিন্তু লকডাউন, কারফিউ ইত্যাদি কড়া পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষের মনে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে, তার মাত্রা ও পরিণাম সম্পর্কে এখনো কোনো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না৷ তবে কিছু ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে৷ যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত দুই সপ্তাহে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাগুলি বিক্রির প্রবণতা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে৷ একটি বন্দুক প্রস্তুতকারক কোম্পানি এমনকি ৮০০ শতাংশ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে৷ অনেকে জানিয়েছেন, করোনা সংকটের ফলে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং আত্মরক্ষার বাড়তি তাগিদ অনুভব করছেন৷ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী করোনা সংকট সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লে চুরি-ডাকাতির মতো অপরাধের মোকাবিলা করতে তাদের হাতে সময় থাকবে না বলেও অনেকে আশঙ্কা করছে৷

করোনা-সংকটের ফলে বিশ্বের অনেক দেশে কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে৷ জাতিসংঘও করোনার সংক্রমণ কমাতে এমন আবেদন করছে৷ যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, জার্মানি, ইরানসহ বেশ কিছু দেশে হাজার হাজার মানুষকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা অবকাঠামোর পক্ষে তাদের সামলানো কঠিন হয়ে উঠছে৷ যেসব কয়েদির মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এবং যাদের অপরাধের মাত্রা তেমন গুরুতর নয়, মূলত তাদেরই মুক্ত করছে অনেক দেশ৷ সেক্ষেত্রে বাকি বন্দিদের মধ্যে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রাখা কিছুটা সহজ হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে৷ কিন্তু আচমকা বন্দিদের মুক্তির ফলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে কিনা, সে বিষয়ে অনেকের মনে সংশয় রয়েছে৷

পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ঘাটতিও অস্থিরতার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ লকডাউন বা কারফিউ সত্ত্বেও খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান নিশ্চিত করতে না পারলে মানুষের ক্ষোভের মাত্রা বাড়তে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)