1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা সংকট মোকাবিলায় ঐকমত্যের পথে জার্মানির নেতারা

১৯ নভেম্বর ২০২১

বৃহস্পতিবার জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ এবং চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে করোনা সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে একগুচ্ছ প্রস্তাব উঠে এসেছে৷ অবশিষ্ট মতপার্থক্য দূর করে শুক্রবার সংসদের উচ্চ কক্ষেরও অনুমোদন পাওয়া গেছে৷

https://p.dw.com/p/43DpA
বৃহস্পতিবার জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ এবং চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে করোনা সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে একগুচ্ছ প্রস্তাব উঠে এসেছে৷ অবশিষ্ট মতপার্থক্য দূর হলে শুক্রবার সংসদের উচ্চ কক্ষেরও অনুমোদন পাওয়া যাবে৷
ছবি: DW

ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মাঝে অবশেষে জার্মানির রাজনীতি জগত নড়েচড়ে বসেছে৷ সংসদের উভয় কক্ষ, ফেডারেল স্তরে বিদায়ী সরকার, সম্ভাব্য সরকার ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা মিলে পরিস্থিতি মোকাবিলার মরিয়া প্রচেষ্টা শুরু করেছেন৷ এমনকি প্রস্তাবিত পদক্ষেপে সুফল না পেলে প্রয়োজনে আরও কড়া উদ্যোগ নেবার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না শীর্ষস্থানীয় নেতারা৷ বিশেষ করে দেশের অনেক অঞ্চলে হাসপাতালে মারাত্মক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নিষ্ক্রয় থাকা যে সম্ভব নয়, দলমতনির্বিশেষে শীর্ষ নেতারা তা উপলব্ধি করছেন৷ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণের সাপ্তাহিক গড় হার শুক্রবার ৩৪০ অতিক্রম করেছে৷

সম্ভাব্য সরকারের তিন শরিক দল মিলে বৃহস্পতিবার জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগে সংক্রমণ সুরক্ষা আইনে সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন করাতে পেরেছে৷ জাতীয় স্তরে মহামারিকালীন জরুরি অবস্থার মেয়াদ আগামী সপ্তাহে শেষ হবার আগে কর্তৃপক্ষের হাতে  বিশেষ ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রাখা অত্যন্ত জরুরি ছিল, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ তবে বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবির সম্ভাব্য সরকারের উদ্যোগের বিরোধিতা করায় কিছুটা সংশয় থেকে গিয়েছিল৷ অথচ শুক্রবার সংসদের উচ্চ কক্ষে সেই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ইউনিয়ন শিবিরের সমর্থন ছিল অপরিহার্য৷

বৃহস্পতিবার বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ জার্মানির সম্ভাব্য চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও বিদায়ী সরকারের ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে সেই আলোচনায় অংশ নেন৷ সেখানে বেশ কিছু প্রশ্নে আপোশ মীমাংসা উঠে এসেছে৷ করোনা সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে গোটা দেশজুড়ে একই বিধিনিয়ম চালু করা সম্ভব না হলেও কিছু সূচকের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ সম্পর্কে ঐকমত্যে পৌঁছতে পেরেছেন নেতারা৷

বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে জার্মানির নেতারা করোনা টিকা নিতে অনিচ্ছুক মানুষের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করতে রাজি হয়েছেন৷ এর আওতায় কোনো অঞ্চলে হাসপাতালে করোনা রোগীীদের সংখ্যা নির্দিষ্ট মাত্রা পেরোলেই টিকাবিহীন মানুষদের কার্যত একঘরে করে রাখা হবে৷ কয়েকটি রাজ্যে ইতোমধ্যেই সেই নিয়ম চালু হয়ে গেছে৷ তাছাড়া কর্মক্ষেত্রে টিকাপ্রাপ্ত, করোনাজয়ী অথবা করোনা টেস্টের নেগেটিভ ফলপ্রাপ্ত মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন৷ গণপরিবহণ ব্যবস্থায়ও সেই নিয়ম কার্য হবে৷ হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রমের কর্মীদের জন্য করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করা হবে৷ এতকাল এই বিষয়টিকে ঘিরে জার্মানির রাজনৈতিক জগতে চরম অস্বস্তি কাজ করেছে৷

আঙ্গেলা ম্যার্কেল আবার জার্মানির ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, সংসদে অনুমোদিত পদক্ষেপগুলি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট নয়৷ তাই ৯ই ডিসেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে আরো কড়া পদক্ষেপের সম্ভাবনার উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীরা৷ সরাসরি ‘লকডাউন' শব্দটি ব্যবহার না করলেও মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও কমানো হতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন৷

শুক্রবার সংসদের উচ্চ কক্ষ সম্ভাব্য সরকারের প্রস্তাব অনুমোদন করবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত মতপার্থক্য সত্ত্বেও ইউনিয়ন শিবির সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে৷ নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়ার মুখ্যমন্ত্রী হেন্ডরিক ভ্যুস্ট বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীর আওতায় রাজ্য সরকার প্রয়োজনে স্কুল, দোকানবাজার অথবা হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ করার ক্ষমতা হারাবে৷ সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলি করোনা সংকট মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হতে পারে৷ তবে এই মুহূর্তে না হলেও প্রয়োজনে এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা কমে আসছে৷ সম্ভাব্য সরকারের শরিক হিসেবে উদারপন্থি এফডিপি দলও সুর নরম করতে কার্যত বাধ্য হচ্ছে৷ ফলে শেষ পর্যন্ত সব মহল আপাতত বর্তমান প্রস্তাবের ভিত্তিতে করোনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে নামতে সম্মতি দেবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান