1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনাজয়ী ট্রাম্পের ফ্লোরিডা সভা নিয়ে বিতর্ক

১৩ অক্টোবর ২০২০

ডনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডায় সভা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ, করোনা কালে এত মানুষকে নিয়ে সভার আয়োজন ঠিক নয়।

https://p.dw.com/p/3jpTD
ছবি: Joe Raedle/Getty Images

দুই সপ্তাহ পর নির্বাচন। তারই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর প্রথম নির্বাচনী সভা করলেন তিনি। ফ্লোরিডার ওই সভা নিয়ে অবশ্য নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, এত দ্রুত সভা করা ঠিক হয়নি ট্রাম্পের। তা ছাড়া যে ভাবে ফ্লোরিডায় করোনার হার বাড়ছে, তাতে এত লোককে এক জায়গায় এনে সভা করাও অনুচিত হয়েছে।

 ট্রাম্প অবশ্য এ সব কথায় কান দিচ্ছেন না। রোববারই টুইট করে ট্রাম্প বলে দিয়েছিলেন তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। তাঁর আর করোনা হবে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও টুইটার কর্তৃপক্ষ সেই টুইট ডিলিট করে দিয়েছিলেন ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য। সোমবার ট্রাম্পের চিকিৎসক সকলকে জানিয়ে দেন, প্রেসিডেন্ট এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। তাঁর একাধিক টেস্ট হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষাতেই করোনা নেগেটিভ এসেছে।

চিকিৎসকের ঘোষণার পরে আর সময় নষ্ট করেননি ট্রাম্প। ফ্লোরিডায় সভা করতে চলে যান। মাস্ক ছাড়াই ঢুকে পড়েন সভাকক্ষে। সেখানে তিনি বলেন, করোনার পরে এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। তাঁর আর কোনোদিন করোনা হবে না। সভায় উপস্থিত নারী-পুরুষদের জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে ইচ্ছে করছে তাঁর। সমর্থকরা ট্রাম্পের এই কথায় খুশি হলেও অনেকেই ট্রাম্পের এই বক্তব্য মেনে নিতে পারছেন না। শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রেসিডেন্ট হয়ে ট্রাম্প ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ। করোনা যে বার বার হতে পারে, সে কথা এখন প্রায় সমস্ত বিশেষজ্ঞই মেনে নিয়েছেন। দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প কী করে বলছেন, তাঁর আর করোনা হবে না?

ট্রাম্প বলেছেন ভ্যাকসিন দ্রুত সাধারণ মানুষের হাতে আসবে। শুধু তাই নয়, তাঁর দাবি, অ্যামেরিকায় করোনা আক্রান্তরা দ্রুত সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। অন্য দেশের তুলনায় অ্যামেরিকায় সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বেশি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এখানেও মিথ্যে বলেছেন ট্রাম্প। আগামী বছরের আগে ভ্যাকসিন পাওয়া প্রায় অসম্ভব। আর অ্যামেরিকায় করোনা-মৃত্যুর সংখ্যা অন্য অনেক দেশের তুলনায় বেশি। ফলে প্রেসিডেন্ট যা বলছেন তা ঠিক নয়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)