1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনার থাবায় পুঁজিবাজার, অর্থনীতি

১২ মার্চ ২০২০

ভ্রমণ, পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্র করোনা ভাইরাসের প্রসারের ফলে চরম সংকটে পড়েছে৷ বিচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক স্টিমুলাস সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন দেখা যাচ্ছে৷ পেট্রোলিয়ামের মূল্য আরও কমছে৷

https://p.dw.com/p/3ZGS0
করোনার ধাক্কায় বেসামাল পুঁজিবাজার
ছবি: AFP/K. Nogi

আপাতত গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে ব্যস্ত৷ ভাইরাসের প্রসারের গতি কমাতে একের পর এক দেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করছে৷ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্য ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা নিশ্চিত করতেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ বড় জমায়েত এড়িয়ে মানুষজন নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন৷ এমন জরুরি পরিস্থিতির নেপথ্যে আরও এক সংকট প্রকট হয়ে উঠছে৷  পর্যটন, বেসামরিক বিমান চলাচল থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্র মন্দার কবলে পড়ছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতির উপর এমন অনিশ্চয়তার কুপ্রভাবের প্রকৃত মাত্রা সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিভিন্ন প্রান্তে সরকার একের পর এক কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করছে৷ ইটালির মতো গোটা দেশের ‘লকডাউন' আর ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত থাকবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এমন প্রেক্ষাপটে পুঁজিবাজার বার বার কেঁপে উঠছে৷ সেইসঙ্গে কমে চলেছে পেট্রোলিয়ামের মূল্য৷ ফলে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে৷ বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণার পর আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকটের হাতছানি দেখা দিচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার সকালে এশিয়ার পুঁজিবাজারে এই আশঙ্কার প্রতিফলন দেখা গেছে৷ বুধবার অ্যামেরিকার পুঁজিবাজারেও ব্যাপক দরপনতন ঘটেছিল৷

করোনা ভাইরাসকে ঘিরে সংকটের ফলে প্রায় সব অর্থনৈতিক ক্ষেত্রই লোকসানের মুখ দেখছে৷ এর মধ্যে সৌদি আরব রাশিয়াকে শিক্ষা দিতে পেট্রোলিয়ামের মূল্য কমানোর ফলে সংকট আরও ঘনিভূত হচ্ছে৷ কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের প্রসার রুখতে পদক্ষেপের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কারণেও পুঁজিবাজার অস্থির হয়ে উঠেছে৷ স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনীতির সহায়তা করতে সরকারি পর্যায়ে কিছু পদক্ষেপের ফলে কিছু সুবিধা হলেও বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার জন্য তা সহায়ক হচ্ছে না৷এখনো পর্যন্ত অর্থনীতি চাঙ্গা করতে প্রায় ১৫,০০০ কোটি ডলার মূল্যের সরকারি সহায়তার ঘোষণা করা হয়েছে৷ বর্তমান সংকটের মেয়াদ সম্পর্কেও এই মুহূর্তে কোনো ধারণা না থাকায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সম্পর্কে পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে না৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে চরম বেকারত্ব ও ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবার আশঙ্কাও রয়েছে৷

কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির উপরেও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবার জন্য চাপ বাড়ছে৷ যদিও বেশ কিছুকাল ধরে সুদের হার প্রায় তলানিতে এসে ঠেকার ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির পদক্ষেপ নেবার ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়েছে৷ বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক জরুরি বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনায় বসছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এপি)