1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাগজ দিয়ে অভিনব শিল্পসৃষ্টি

৩১ আগস্ট ২০১৮

অরিগামিসহ কাগজ দিয়ে শিল্পের নানা দৃষ্টান্ত রয়েছে৷ রুশ বংশোদ্ভূত এক শিল্পী কাগজ ব্যবহার করে অভিনব শিল্পকর্ম সৃষ্টি করে চলেছেন৷ বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপনেও তাঁর সৃষ্টি কাজে লাগানো হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/344my
ছবি: Yulia Brodskaya

প্রথম দর্শনে এই শিল্পকর্মের মর্ম বোঝা যায় না৷ কয়েকশ' কাগজের টুকরো জুড়ে গোটা চিত্রটি সৃষ্টি করা হয়েছে৷ রং ও আকারের সমাহার লক্ষ্য করলে পোর্ট্রেটের গভীরতা টের পাওয়া যায়৷ প্রায় ১০ বছর ধরে কাগজ-শিল্পী ইয়ুলিয়া ব্রডস্কায়া এমন ত্রিমাত্রিক ছবি সৃষ্টি করে চলেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘কাগজ সত্যি অসাধারণ মাধ্যম৷ অত্যন্ত নমনীয়, নানাবিধ প্রয়োগ সম্ভব৷ অনেক কিছু করা যায়৷ ভাঁজ করা অথবা কাটা যায়৷ ব্যবহার করতে দারুণ লাগে৷'' 

কাগজই যখন শিল্পমাধ্যম

নিজের সই নিয়ে পরীক্ষার সময় ইয়ুলিয়ার মাথায় কাগজ দিয়ে ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্ম সৃষ্টির আইডিয়া আসে৷ গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে তিনি সেই কাজে হাত দেন৷ তারপর মোটিফগুলি আরো জটিল হতে থাকে৷

লন্ডনের উত্তরে সেন্ট অ্যালবান্স শহরে নিজের স্টুডিওতে রুশ বংশোদ্ভূত এই শিল্পী কাজ করেন৷ তিনি তথাকথিত ‘কুয়িলিং' প্রযুক্তি ব্যবহার করেন৷ ভিত্তি হিসেবে ভাঁজ করা, পাকানো অথবা বাঁকানো কাগজ থাকে৷ তারপর সেগুলি আঠা দিয়ে লাগানো হয়৷ খুঁটিনাটি বিষয়গুলি খেয়াল রেখে তিলে তিলে কাজ করতে হয়৷ ইয়ুলিয়া বলেন, ‘‘এই কৌশল অথবা কাগজ নিয়ে কাজ করার মূল চ্যালেঞ্জ হলো সময়৷ অনেক সময় লাগে, বেশ পরিশ্রম করতে হয়৷ অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের শিল্পকর্ম সৃষ্টি করতেই কয়েক দিন বা সপ্তাহ সময় লাগে৷ কারণ, অনেক খুঁটিনাটি বিষয় খেয়াল রাখতে হয়৷ তাই অনেক ধৈর্য লাগে৷'' 

ইয়ুলিয়া ব্রডস্কায়া উদ্ভিদ জগত থেকে প্রেরণা পান৷ প্রত্যেক শিল্পকর্মের সূচনা ঘটে একটা স্কেচের মাধ্যমে৷ তারপর খুঁটিনাটি বিষয়গুলি নিয়ে কাজ শুরু হয়৷ বিশেষ ধরনের ছুরির সাহায্যে তিনি কাগজ কাটেন৷ তারপর সেই অংশগুলি দিয়ে শিল্পকর্মের উপকরণ সৃষ্টি করেন৷

নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তিনি শিল্পকর্মগুলি তুলে ধরেন৷ বিজ্ঞাপন শিল্পও ইয়ুলিয়া-র শিল্পকর্ম সম্পর্কে সচেতন হয়ে পড়েছে৷ তিনি এক মার্কিন বিমান সংস্থার জন্য কাজ করেছেন৷ যেমন, জাপানের এক সুগন্ধী প্রস্তুতকারক সংস্থার জন্যও শিল্প সৃষ্টি করেছেন তিনি৷ এক মার্কিন গাড়ি কোম্পানিও তাঁর গ্রাহক৷ এমনকি ডাকটিকিটেও তাঁর মোটিফ স্থান পেয়েছে

কিছুকাল আগে লন্ডন শহরের কেন্দ্রস্থলে তাঁর একটি শিল্পকর্মের অতিকায় সংস্করণ প্রদর্শিত হয়েছে৷ এক পোশাকের দোকানের শোকেসে সেটি দেখা গেছে৷ সেটি ছিল পরবর্তী দিশায় প্রথম পদক্ষেপ৷ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ইয়ুলিয়া ব্রডস্কায়া বলেন, ‘‘আরেকটু বড় আকারে আমি কাজ করতে চাই৷ কারণ, কমপ্যাক্ট বা নিবিড় শিল্পশৈলি হিসেবে আরো বড় আকারে প্রভাব রাখতে পারে৷ তাই বড় মাত্রায় সৃষ্টি করা আমার পরবর্তী লক্ষ্য৷''

অন্য কোনো মাধ্যম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চান না ইয়ুলিয়া৷ তিনি তাঁর পছন্দের উপকরণ পেয়ে গেছেন৷ কাগজের মাধ্যমেই নিজের সৃজনশীল সত্তা সবচেয়ে ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারেন তিনি৷

ডানিয়েলা স্পেট/এসবি