1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীর ইস্যুতে অনড় ভারত-পাকিস্তানের দুই আলোচক

৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হলে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে কোনো বিরোধ থাকবে না বলে মনে করেন পাকিস্তানি সিনিয়র সাংবাদিক৷ অন্যদিকে পাকিস্তান নিজেদের স্বার্থেই এই ইস্যু জিইয়ে রাখছে বলে মত পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতার৷

https://p.dw.com/p/3i1aB
কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হলে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে কোনো বিরোধ থাকবে না বলে মনে করেন পাকিস্তানি সিনিয়র সাংবাদিক৷ অন্যদিকে পাকিস্তান নিজেদের স্বার্থেই এই ইস্যু জিইয়ে রাখছে বলে মত পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতার৷
ছবি: DW

‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ ইউটিউব টকশোতে ভারত-পাকিস্তান বিরোধ নিয়ে এভাবেই নিজেদের অভিমত প্রকাশ করেছেন তারা৷ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ এ নিয়ে বহু বিতর্ক এরই মধ্যে হয়ে গেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীর ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে৷ সারা পৃথিবীও এই স্বীকৃতি দিয়েছে৷’’ তার অভিযোগ,  কাশ্মীর ইস্যু না থাকলে পাকিস্তানে আর কোন ইস্যু থাকবে না৷ এই জন্যই তারা ইস্যুটি জমিয়ে রাখছে৷

অন্যদিকে ড. মনির আহমেদ বলেন, কাশ্মীরের মালিকানা নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে সেটি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু নিজেই উল্লেখ করেছেন৷ ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মূল সমস্যাও এটি৷ তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীর সমস্যা না থাকলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, আসা যাওয়া  সবকিছুই চলতো৷’’ কাশ্মীরই যে দুই দেশের মধ্যে প্রধান সমস্যা তা নিয়ে খোলা মনে আলোচনার জন্য ভারতকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি৷

তবে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কিছু নেই বলে মনে করেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির রাজনীতিবিদ৷ দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির জন্য তিনি পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে দায়ী করে বলেন, ‘‘পাকিস্তান নিয়ে অভিযোগ শুধু আমাদের নয়৷ যেখানেই সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে সেখানেই পাকিস্তানের নাম পাওয়া যাচ্ছে৷ টেররিস্ট লিস্টে পাকিস্তানের নাগরিকদেরই খুঁজে পাওয়া যায়৷’’ তার অভিযোগ, ভারত বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেও পাকিস্তান তার বরখেলাপ করেছে৷ জবাবে ড. মনির আহমেদ বলেন, পাকিস্তানের সরকার সন্ত্রাসে মদত দেয় না৷ দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক চান৷

ভারত ক্রমশ হিন্দু রাষ্ট্র হয়ে উঠছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সরকার গরিবদের জন্য যত প্রকল্প করছে সেখানে ধর্মীয় পরিচয় বিবেচনা করা হচ্ছে না৷ মুসলমানসহ অন্য সংখ্যালঘুরা ভারতে তাদের নাগরিক অধিকার নিয়ে বাস করছে এমন দাবি করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘পাকিস্তানের মতো কিছু দেশ তাদের উস্কানি দিচ্ছে কিছু কিছু সম্প্রদায়ের লোককে৷ তাতে করে আমাদের এখানে যে শান্তির অবস্থান আছে, হিন্দু-মুসলিম ভাই-ভাই, সেটা তারা ভাংতে পারছে না তাই তারা বারবার কাশ্মীর দেখাচ্ছে৷’’ তিনি দাবি করেন, ভারতের সংখ্যাগুরুরা যদি মনে করতো বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির করবে তাহলে আগেই করত৷ কিন্তু আইন আদালতের প্রতি সরকার শ্রদ্ধা রেখেছে৷

অন্যদিকে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরাও নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশটি ছেড়ে যাচ্ছেন- এমন অভিযোগের জবাবে ড. মনির বলেন, সরকারের কারণে কাউকে পাকিস্তান ছাড়তে হয়নি৷ তাদের উপর কোনো জবরদস্তি করা হয়নি৷

এফএস/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান