1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

কিয়েভ ঘিরে ফেলছে রাশিয়া

২ মার্চ ২০২২

কিয়েভের টিভি টাওয়ারে আক্রমণ রাশিয়ার। নিহত পাঁচ। কিয়েভ ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সেনা কনভয়।

https://p.dw.com/p/47r6R
ইউক্রেন
ছবি: Carlos Barria/REUTERS

মঙ্গলবার উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছিল, ৪০ মাইল লম্বা রাশিয়ার সেনা কনভয় কিয়েভের দিকে এগোচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে কিয়েভের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে রাশিয়ার বাহিনী। শহরজুড়ে একের পর এক শেলিং করছে তারা। কিয়েভের টেলিভিশন টাওয়ার লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়েছে। তাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রশাসন। শুধু কিয়েভ নয়, খারকিভ, ওখতিরকা, মারিউপলে লাগাতার লড়াই চলছে।

একদিকে লড়াই, অন্যদিকে খাদ্য সংকট-- জোড়া সমস্যার মধ্যে পড়েছেন কিয়েভের সাধারণ মানুষ। লড়াই শুরুর পরেই শহর জুড়ে কড়া কারফিউ জারি করা হয়েছে। ফলে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ। সাধারণ মানুষ কার্যত বাঙ্কারে জীবন কাটাচ্ছেন। মঙ্গলবার বেশ কিছু দোকানের বাইরে তাদের লম্বা লাইন দিতে দেখা যায়। কারণ, খাবার ফুরিয়ে যাচ্ছে। ওষুধ নেই, রুটি নেই, শুকনো খাবার নেই। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি সাধারণ মানুষ। তারই মধ্যে রাশিয়ার সেনা আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েই চলেছে। একের পর এক বিস্ফোরণ হচ্ছে শহরে। ইউক্রেনের সেনাও পাল্টা জবাব দিচ্ছে। কিয়েভের মানুষকে শহর ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে রাশিয়ার সেনা।

মার্কিন গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্ট অবশ্য বলছে, ৪০ মাইলের রাশিয়ার কনভয় মঙ্গলবার খুব বেশি এগোতে পারেনি। শুধু তা-ই নয়, তাদের দাবি, বহু জায়গায় বিনা যুদ্ধে রাশিয়ার সেনা অস্ত্র ফেলে দিচ্ছে। যদিও মার্কিন গোয়েন্দাদের এই দাবির কোনো সমর্থন মেলেনি ইউক্রেন বা রাশিয়ার তরফ থেকে।

এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে বক্তৃতা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দেশকে রক্ষা করার কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি ক্ষমতাধর দেশগুলিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার অ্যামেরিকার কাছে সরাসরি সাহায্যের দাবি করেছেন তিনি। বলেছেন, 'রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধ করতে অ্যামেরিকা যেন দ্রুত সাহায্য নয়। হাতে আর সময় নেই।'

জার্মানির বক্তব্য

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক রাশিয়ার কড়া নিন্দা করেছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে 'যুদ্ধের আগ্রাসনে'র অভিযোগ তুলে বেয়ারবক বলেছেন, এখুনি এই লড়াই বন্ধ হওয়া দরকার।

বুধবারই আন্তর্জাতিক আদালতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শুনানি শুরু হওয়ার কথা। যেভাবে খারকিভে রাশিয়া আক্রমণ চালিয়েছে, তা যুদ্ধপরাধ বলে মনে করছেন অনেকে। অ্যামেরিকা প্রকাশ্যে এর নিন্দা করেছে।

অন্যদিকে কিয়েভে ৮০ বছরের পুরনো হলোকস্ট মেমোরিয়ালও রাশিয়ার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলেনস্কি বলেছেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হলো। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আগামী দুই দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার সেনা সত্যিই কিয়েভ দখল করে নেয় কি না, সেটাই দেখার।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)