1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

কিয়েভে ভারতীয় ছাত্র গুলিবিদ্ধ

৪ মার্চ ২০২২

কিয়েভে এক ভারতীয় ছাত্রের গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

https://p.dw.com/p/47z4L
ইউক্রেন
ছবি: Maksim Levin/REUTERS

ইউক্রেনে এখনো আটক বহু ভারতীয়। এর মধ্যে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনেক। কিয়েভ এবং খারকিভ থেকে বের হতে পারেননি বহু ছাত্র। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একাধিক বিবৃতি দিয়ে ছাত্রদের কিয়েভ এবং খারকিভ ছাড়তে বলেছিল। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই সে চেষ্টা করেছে। পালানোর সময়েই এক ছাত্রের গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল ভি কে সিং ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধার করতে বিশেষ অভিযানে এখন ইউরোপে। অপারেশন গঙ্গায় যে চার মন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে, জেনারেল ভি কে সিং তার অন্যতম। সংবাদমাধ্যমকে ভি কে সিং জানিয়েছেন, ''আমরা খবর পেয়েছি, এক ছাত্রের গুলি লেগেছে। আহত হলেও সে বেঁচে আছে। তাকে কিয়েভের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'' ওই ছাত্রের নাম, পরিচয় কিছুই এখনো পর্যন্ত সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয়নি। তবে ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, ওই ছাত্র কিয়েভ চেড়ে পালানোর সময় লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে যায়। তখনই তার গুলি লাগে। ঘটনাস্থল থেকে তাকে ফের কিয়েভের হাসপাতালের দিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

রোমানিয়া, হাঙ্গেরি এবং পোল্যান্ডের সীমান্তে পৌঁছে গেছে ভারতের একাধিক বিমান। এয়ার ইন্ডিয়ার পাশাপাশি ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানও সেখানে পৌঁছেছে। ছাত্রছাত্রীদের যেভাবেই হোক সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছানোর কথা বলা হচ্ছে। বস্তুত, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দুইটি বিবৃতি প্রকাশ করেছিল ভারত। সেখানে বলা হয়েছিল, ট্রেন না পেলে পায়ে হেঁটে সীমান্তে পৌঁছাতে হবে। খারকিভের ছাত্রদের জন্য এই নির্দেশিকা জারি হয়েছিল।

খারকিভ এবং কিয়েভ থেকে যে ছাত্ররা এখনো পর্যন্ত এসে পৌঁছাতে পেরেছে, তারা জানিয়েছে, পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে আছে। ইউক্রেনের সেনাও ভারতীয় ছাত্রদের সঙ্গে সহায়তা করছে না। বহু পথ হেঁটে সীমান্তে পৌঁছানোর পরেও সবসময় ভারতীয় কর্মকর্তাদের দেখা যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার ভারত অবশ্য জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ফোনে কথা হয়েছে। রাশিয়া ভারতীয় ছাত্রদের সেফ প্যাসেজ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তারপরেই এক ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর জানা গেল।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)