1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ব্রিটেন?

১৫ জানুয়ারি ২০১৯

মঙ্গলবার ব্রিটেনের সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটি হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী চুক্তির পক্ষে সওয়াল করলেও প্রয়োজনীয় সমর্থনের সম্ভাবনা ক্ষীণ৷ এ অবস্থায় ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না৷

https://p.dw.com/p/3BYlp
ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে বিভক্ত ব্রিটেনের মানুষ
ছবি: Reuters/H. Nicholls

মঙ্গলবার ব্রিটেনের সংসদ সদস্যদের এমন এক সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, যার পরিণতি দেশের জন্য সুদূরপ্রসারী হতে চলেছে৷ দলের নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করেও তাঁরা ভোট দিতে চলেছেন৷ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে নিজের দলের সব সংসদ সদস্যের সমর্থন পাবেন না বলে ধরে নিচ্ছেন৷ তবে পরাজয়ের ব্যবধান কম হলে তিনি দ্বিতীয়বার এই চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটির পথে যেতে পারেন৷ কিন্তু এমনটা না হলে ব্রিটেন চরম অনিশ্চয়তার পথে এগিয়ে যাবে৷ সে-ক্ষেত্রে সংসদের নির্দেশ অনুযায়ী মাত্র ৩ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ‘প্ল্যান বি' বা বিকল্প পথ তুলে ধরতে পারবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ সংসদ সদস্যদের মধ্যেও চুক্তির কোনো বিকল্প সম্পর্কে ঐকমত্য নেই৷

সোমবারও প্রধানমন্ত্রী মে সংসদে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদ সংক্রান্ত চুক্তির পক্ষে সমর্থন আদায় করার চেষ্টা করেন৷ ২০১৬ সালে গণভোটের রায় কোনো বিলম্ব ছাড়াই কার্যকর করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি৷ ব্রেক্সিট চুক্তি ‘নিখুঁত' না হলেও এটাই একমাত্র পথ বলে মনে করেন তিনি৷ অর্থাৎ, দ্বিতীয় গণভোট, বিচ্ছেদের দিন পিছিয়ে দেওয়া, নতুন করে ইইউ-র সঙ্গে আলোচনার প্রচেষ্টার মতো প্রস্তাব উড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি৷ ব্রেক্সিট চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা কার্যত অপরিবর্তিত থাকবে৷ এই সময়কালে ব্রিটেন ও ইইউ-র মধ্যে স্থায়ী ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে নতুন চুক্তির প্রস্তুতি নিতে হবে৷ এক রাজনৈতিক ঘোষণাপত্রে তারও এক রূপরেখা স্থির করা হয়েছে৷

এই অবস্থায় একাধিক সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে৷ মঙ্গলবার ব্রিটেনের সংসদ ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন না করলে ২০১৯ সালের ২৯শে মার্চ ব্রিটেন চুক্তি ছাড়াই ইইউ ত্যাগ করতে পারে৷ এমন এক বিচ্ছেদ ব্রিটেনের অর্থনীতি ও জনজীবনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, বেসামরিক বিমান চলাচল থেকে শুরু করে ওষুধ সরবরাহের মতো অসংখ্য ক্ষেত্রে চলমান কাঠামোর বিকল্প গড়ে তুলতে ব্রিটেনের অনেক সময় লাগবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও কিছু ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে৷ ব্রিটেনের বেশিরভাগ সংসদ সদস্য এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে চান৷

ব্রিটিশ সংসদে প্রথম প্রচেষ্টায় ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করা সম্ভব না হলে এবং সরকার দ্বিতীয় বার সেই প্রচেষ্টা চালানোর উদ্যোগ না নিলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘সদিচ্ছা' দেখাতে কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা, সে বিষয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে৷ ইউরোপীয় কমিশন উত্তর আয়ারল্যান্ডের সীমান্তে ‘ব্যাকস্টপ' ব্যবস্থাসহ চুক্তির বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে বটে, কিন্তু মূল চুক্তিতে কোনো রদবদল সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে৷ ২৯শে মার্চের সময়সীমায় বিলম্ব ঘটাতে হলে ইইউ-র সব সদস্য দেশের অনুমোদনের প্রয়োজন৷ মঙ্গলবারের ভোটাভুটির পর সেই অবস্থানে কোনো পরিবর্তন ঘটে কিনা, তা-ও স্পষ্ট নয়৷ বিচ্ছেদে বিলম্ব ঘটলে বিষয়টি নিয়ে ব্রিটেনে ঐকমত্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, রয়াটার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য