1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ: জার্মানির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট

৩০ জুন ২০১০

জার্মানির নতুন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ ছিলেন লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের কোয়ালিশন সরকারের শরিক দল সিডিইউ-সিএসইউ ও উদারপন্থি এফডিপি দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন ভুল্ফ৷

https://p.dw.com/p/O6Oz
Christian Wulff
নির্বাচনের পর নতুন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফকে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের অভিনন্দনছবি: picture alliance/dpa

এক মাস আগে হর্স্ট ক্যোয়েলারের আকস্মিক পদত্যাগে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে হয়েছে জার্মানিকে৷ অবশ্য সরাসরি ভোটে নন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সংসদের নিম্ন কক্ষের সদস্য এবং রাজ্যগুলোর প্রতিনিধিদের ভোটে৷ এক্ষেত্রে ৫১ বছর বয়সি ভুল্ফকে মূলত লড়তে হয় বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রী ও সবুজ দলের মনোনীত ইওয়াখিম গাউকের সঙ্গে৷

ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ ২০০৩ সাল থেকে জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন৷ তবে আইনবিদ ও সফল রাজনীতিক হিসেবে তাঁর আবির্ভাব কুসুমাস্তীর্ণ পথে ঘটেনি৷ তাঁর বয়স যখন ১৪ বছর তাঁর সৎ বাবা পরিবার ছেড়ে চলে যান৷ কিশোর ভুল্ফ স্কুলের পড়া করেছেন৷ একই সাথে গুরুতর অসুস্থ মায়ের সেবা করেছেন৷ ছোটবোনের দেখভাল করেছেন৷ স্কুলে পড়ার সময়ই খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী ইউনিয়ন সিডিইউ দলের সঙ্গে তাঁর যোগ৷ সাবেক জার্মন চ্যান্সেলর হেলমুট কোল-এর হাত ধরেই রাজনীতিক হিসেবে তাঁর বিকাশ৷ শেষ পর্যন্ত লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রিত্ব৷ গত এপ্রিল মাসে মুখ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ তাঁর ক্যাবিনেটে তুর্কি বংশোদ্ভূত একজন মহিলা আইনবিদকে অন্তর্ভুক্ত করে সারা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷ জার্মানিতে তিনিই হলেন প্রথম মুসলিম মহিলা মন্ত্রী ৷

নির্বাচনের দু'দিন আগে সোমবার জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভুল্ফ তুলে ধরেন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তাঁর পরিকল্পনার কথা৷ ভুল্ফ জানালেন, পূর্বসূরি ক্যোয়েলারের মতোই আফ্রিকার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে যাবেন তিনি৷ তবে সেই সঙ্গে গুরুত্ব দেবেন অন্য দেশগুলোকেও৷ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে, এটা মানছেন তিনি৷ তবে ভুল্ফ বিশেষ নজর দিতে চান এশিয়ার জনবহুল দুই দেশ ভারত ও চীনের দিকে৷ সেইসঙ্গে জাপানের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর৷ তিনি বলেন, অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এশিয়ার সবচেয়ে সফল দেশ হলো জাপান৷

ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির ঐতিহাসিক দায়িত্বের বিষয়টি মাথায় রাখার কথা জানালেন ভুল্ফ৷ তবে একইসঙ্গে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার গুরুত্বও তুলে ধরলেন তিনি৷ জার্মানিতে অভিবাসীদের মধ্যে তুর্কিদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি৷ অন্যদিকে সম্প্রতি ইসরায়েল ও তুরস্ক- এই দু'দেশের মধ্যে তিক্ততা চলছে৷

প্রেসিডেন্ট হলে প্রথম সফরে বেলজিয়াম যাবেন ভুল্ফ৷ ওই দেশের রাজধানী ব্রাসেলসেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর৷ ভুল্ফ বলেন, এর মধ্য দিয়ে এই বিষয়টি স্পষ্ট করতে চাই জার্মানি ইউরোপে নিজেদের ভূমিকা সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন৷ আর আমরাও জানি, ইউরোপ আমাদের কাছে কী চায়৷

জার্মানির শাসন কাঠামোয় প্রেসিডেন্ট প্রায় আলঙ্কারিক একটি পদ৷ তবে এর মধ্য থেকেও কিছু কাজ করে যেতে চান ভুল্ফ৷ বৈদেশিক নীতির বিষয়ে অনেক কথা বললেও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক এজেন্ডা ঠিক করার বিষয়ে এখনি কিছু বলতে নারাজ ভুল্ফ৷ তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আগামী অক্টোবরে প্রথম ভাষণ দেওয়ার এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে৷ আর নিজের জয়ের বিষয়ে ব্যাপক আশাবাদী ভুল্ফ৷ বলেন, বুধবারই আমি প্রেসিডেন্ট হচ্ছি৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক