1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষমা চাইলেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

৩০ মে ২০১৮

জার্মানির শরণার্থী সংস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার এই প্রক্রিয়ায় সংস্কারের প্রস্তাব দিলেন৷ দুর্নীতির তদন্তের জেরে আশ্রয়প্রার্থীদের তদন্তের প্রক্রিয়া আরও শ্লথ হয়ে পড়তে পারে৷

https://p.dw.com/p/2yaTE
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার (মাঝে)ছবি: picture-alliance/dpa/W. Kumm

জার্মান অভিবাসন ও শরণার্থী দপ্তরের দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে৷ এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটিতে ৫ ঘন্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়৷ সেখানে সেহোফার সরকারের পক্ষ থেকে এই দুর্নীতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন৷ তিনি কমিটিকে বলেন, জার্মানিতে আশ্রয় প্রার্থনার আবেদনের প্রক্রিয়ায় তিনি সংস্কার চান৷ তিনি এর আগে বলেছিলেন, আবেদন করার পর যত দিন এই প্রক্রিয়া চলে, তত দিন আশ্রয়প্রার্থীদের জার্মানির বিভিন্ন শিবিরে থাকার সুযোগ দেওয়া হোক৷ তদন্তকারীরা বলছেন, জার্মানিতে বাসের আর্জিতে অনুমোদন পাওয়ার জন্য বিপুল টাকা উৎকোচ নেওয়া হয়েছে, যার সঙ্গে জড়িয়েছে জার্মান সরকারের নাম৷

নয়া তদন্ত

ব্রেমেনের অভিবাসন ও শরণার্থী দপ্তরেই মূলত দুর্নীতি হয়েছে৷ জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, ব্রেমেনের দপ্তরের ১৮ হাজার আবেদন ফের খতিয়ে দেখা হবে৷ এখান থেকে অবৈধভাবে হাজার খানেক আবেদনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ৷ মন্ত্রী ঘোষিত তদন্তের কাজে নিযুক্ত থাকবেন ৭০ জন৷ দপ্তরের একাংশের আধিকারিকদের যেহেতু তদন্তের কাজে লাগানো হবে, তাই আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদনের পাহাড় জমবে৷ বহু আবেদন সময় মতো নিষ্পত্তি করার মতো পর্যাপ্ত কর্মী পাওয়া যাবে না৷ দপ্তরের অধিকর্তা জুট্টা কর্ড্ট জানান, এ ধরনের আবেদনের সংখ্যা ৮০ হাজার পর্যন্ত যেতে পারে৷ এখন এই সংখ্যা ৫০ হাজার৷ সংসদীয় কমিটিকে জুট্টা বলেছেন, তদন্ত হবে স্বচ্ছ৷ সবদিকই খতিয়ে দেখা হবে৷

তদন্তের মুখে ক্ষোভ জানিয়েছেন দপ্তরের নিম্নপদস্থ কর্মীরা৷ জার্মান সংবাদপত্রে অভিবাসন ও শরণার্থী দপ্তরের কর্মী পরিষদের একটি খোলা চিঠি প্রকাশিত হয়েছে৷ পরিষদের বক্তব্য, দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করেন৷ পরিষদের চেয়ারম্যান রুডলফ চেইনোস্ট ও ডেপুটি চেয়ারম্যান পল মুলার খোলা চিঠিতে লিখেছেন, নীচুতলার কর্মীরা নন, তদন্ত হওয়া উচিত উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে৷

শরণার্থী সঙ্কট

২০১৫ সাল থেকে জার্মানিতে অভিবাসন বিতর্কের কেন্দ্রে৷ সেই বছর চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল শরণার্থীদের জন্য জার্মানির দরজা খুলে দেন৷ সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব মানুষ নিজেদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে, তাদের জন্যই এই নীতি নেন ম্যার্কেল৷

কিন্তু, ম্যার্কেলের এই নীতির বিরোধিতা হয়েছে৷ সেহোফার নিজেই এই নীতির সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বলেছিলেন, জার্মানি ও ইউরোপে অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে হবে৷ ২০১৫ সালের পর থেকে শরণার্থী সঙ্কট ক্রমশ বাড়তে থাকায় ৯ লক্ষ আশ্রয়প্রার্থী বেআইনিভাবে জার্মানিতে প্রবেশ করেছে৷    

পিএস/এসিবি