1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলবে পানির পাম্প

ক্লাউডিয়া লাসচাক / এআই১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪

জার্মানির একটি কয়লা খনি শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে৷ তবে বিপত্তি বেধেছে সেখানকার পানীয় জল নিয়ে৷ সুপেয় পানি পাওয়ার স্বার্থে খনির পাম্পগুলো চালু রাখতে হবে৷ কতদিন? সম্ভবত অনন্তকাল৷

https://p.dw.com/p/1DAbo
RWE-Braunkohlekraftwerk Niederaußem
ছবি: picture-alliance/dpa

সুপেয় পানির স্বার্থে বন্ধ খনি চালু

জার্মানির আর মাত্র চারটি খনি চালু আছে৷ শওনা যাচ্ছে, আগামী চার বছরের মধ্যে এসেন শহরের কাছের খনিটিও বন্ধ হয়ে যাবে৷ তবে রুয়র অঞ্চলে ৬০ মিলিয়ন টনের মতো কয়লা আছে৷

সমস্যা হচ্ছে গত কয়েক দশক ধরে কয়লা উৎপাদনে ভরতুকি দিয়েছে সরকার৷ কিন্তু এখন খনি আর লাভজনক নয়৷ তার চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া – এমনকি অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা আমদানি করলে খরচ কম হয়৷

খনি বন্ধের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা

খনি বা টানেল বন্ধের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হচ্ছে পানির অন্তঃপ্রবাহ৷ এসেনের খনিটির মধ্যে থাকা কয়েক হাজার পাম্প টানেলের মধ্যে বন্যা রোধ করে৷ এগুলো কয়েকশত কিলোমিটার লম্বা৷ কারণ ভূ-পৃষ্ঠের নীচে পাথরের ফাটলে পানি জমতে থাকে৷ খনিটির কর্মকর্তা ইওয়াখিম বক এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমাদের চারপাশে পানি রয়েছে৷ আর পাম্পগুলো সুড়ঙ্গ শুষ্ক রাখে৷ প্রক্রিয়াজাত পানিও আমরা বের করে ফেলি৷ আমরা যদি এই প্রক্রিয়া বন্ধ করি, তাহলে সব পানি আবারও ফিরে আসবে৷''

তিনি বলেন, ‘‘এখানকার পানি লবণাক্ত৷ কারণ শিলাগুলো প্রাচীন এক সমুদ্র থেকে সৃষ্টি হয়েছে৷ এতে লবণ রয়েছে৷ আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে এমন পানি যেনো আমাদের ভূগর্ভস্থ পানীয় জলের আধারে পৌঁছাতে না পারে৷''

খনির পাম্পগুলো পানির স্তর নীচে রাখে৷ এগুলো বন্ধ হলে ২০ বছরের মধ্যে সেখানে বড় লেক তৈরি হবে৷ তবে পাম্পগুলো চালু রাখতে কোটি কোটি ইউরো প্রয়োজন৷ কিন্তু কে সেই টাকা দেবে? জার্মানির সাবেক অর্থমন্ত্রী ও জার্মানির বৃহত্তম খনি কোম্পানির প্রধান ভ্যার্নার ম্যুলার-এর উদ্যোগে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হয়৷ রুয়র অঞ্চল চিরকাল শুষ্ক রাখতে চান তিনি৷
পাম্প চলবে

ভ্যার্নার ম্যুলার বলেন, ‘‘এই অঞ্চলে যতদিন মানুষ বসবাস করবে, আমরা ততদিন পানি পাম্প করবো৷ আমি বিশ্বাস করি মানুষ এখানে চিরকাল বসবাস করবে৷ তাই আমরাও চিরকাল পাম্প করে যাবো৷''

বর্তমানে তাঁর আরএজি-ফাউন্ডেশনের দুই বিলিয়ন ইউরোর মতো সম্পদ রয়েছে৷ মূলত ‘রিয়েল এস্টেট' বিক্রি এবং স্টক বিনিয়োগ থেকে অর্থ আয় করে এটি৷ যতক্ষণ পর্যন্ত সূচক উপরের দিকে উঠছে, ততক্ষণ এটি সফল বিজনেস মডেল৷ কাগজে-কলমে ম্যুলারের পরিকল্পনা কাজ করতে পারে৷ তবে ভবিষ্যতের ঝুঁকি এখনই ধারণা করা কঠিন৷ যদি টাকা শেষ হয়ে যায়, তখন কী হবে?

ভ্যার্নার ম্যুলার বলেন, ‘‘আমাদের ধারণা আগামী ছয় বছরে আমাদের আয় হবে সাড়ে তিনশো থেকে চারশো মিলিয়ন ইউরোর মতো৷ আমাদের জানা মতে সব কিছু হিসেবে করলে পাম্পের পেছনে খরচ হবে ২২০ মিলিয়ন ইউরো৷ এ ভাবে হিসেব সহজ৷ তবে বিদ্যুতের পেছনে কত খরচ হবে, তা সঠিকভাবে বলতে পারছি না৷ পাম্পগুলো অনেক বিদ্যুৎ খরচ করে৷ যতটা বুঝতে পারছি আমাদের আয় হতে হবে খরচের তুলনায় অনেক বেশি৷''

খনির আশেপাশের অনেক মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত৷ স্থানীয় কৃষকরা বলছেন উপার্জন কঠিন হয়ে যাচ্ছে৷ কারণ পাম্পগুলো কাজ করলেও জমিতে পানি ওঠা ঠেকানো যাচ্ছে না৷ বছরের পর বছর ধরে খনি খননের কারণে এখানকার মাটি বসে যাচ্ছে৷

২০১৮ সাল নাগাদ বন্ধ

প্রস্পার হানিয়েল কয়লা খনিটি ২০১৮ সাল নাগাদ বন্ধ হয়ে যাবে৷ কোম্পানিটি তখন তার কর্মীদের অন্যত্র কাজ করার প্রশিক্ষণ দেবে৷ এদের কেউ ইলেকট্রিশিয়ান, কেউ মেকানিক্স কেউ বা টেকনিশিয়ান হবেন তখন৷ কেউ কেউ পাম্প পরিচালনার চাকুরি পেতে পারেন৷

তবে টানেল শুষ্ক রাখার প্রকৃত খরচ এখনো কেউ জানে না৷ তাছাড়া শত বা হাজার বছর পর এই টানেলের কী হবে? এমন প্রশ্নও অনেকের মনে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য