1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খালেদা হেঁটেছেন জিয়ার পথেই: শেখ হাসিনা

৮ নভেম্বর ২০২১

সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান যা করেছিলেন খালেদা জিয়াও পরে ‘একই পথে’ হেঁটেছেন, এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনার এক ভিডিও কনফারেন্সে৷

https://p.dw.com/p/42iKV
Bangladesh Wahl  Sheikh Hasina
ছবি: PID

রোববার ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে জিয়ার উত্থানপর্বের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আজকে ৭ নভেম্বর৷ ৭৫ সালে এই ৭ নভেম্বর বাংলাদেশে ক্যু হয়েছে৷ ৭৫ সালের পর বাংলাদেশে ১৯ বার ক্যু হয়েছে৷ একেকটা ক্যু যখন হয়েছে, সেনাবাহিনীর হাজার হাজার সৈনিক, অফিসারদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে৷’’ 

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল ৭৫ এ যখন মোশতাক ক্ষমতা দখল করেছিল জিয়াউর রহমানের সহযোগিতায়, তিন মাসও যেতে পারে নাই, মোশতাককে বের করে দিয়ে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেয়৷ আর সেই ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই দেশে ১৮ বার ক্যু হয়৷’’

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনা প্রধানের দায়িত্ব আসেন জিয়াউর রহমান ৷ মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনা বাহিনীতে একটি অভ্যুত্থানে গৃহবন্দি হন জিয়া৷

৭ নভেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে যুক্ত মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়া৷ এর মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন, পরে দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং পরের বছর তিনি রাষ্ট্রপতির পদও নেন৷

জিয়া ক্ষমতা দখলের পর সামরিক বাহিনীতে অনেকগুলো বিদ্রোহ-অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়, যাতে জড়িতদের সামরিক আদালতে বিচার করে মৃত্যুদণ্ডসহ নানা সাজা দেওয়া হয়৷ ১৯৭৬ সালে এই রকম এক বিচারের পর কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷ ওই বিচারকে পরে ‘অবৈধ' বলে রায় দেয় উচ্চ আদালত৷

ভিডিও কনফারেন্সে শেখ হাসিনা আরো বলেন,  ‘‘প্রত্যেকবার ক্যুর সময় জিয়াউর রহমানের হাতে হাজার হাজার সামরিক বাহিনীর সৈনিক, অফিসার, বিমান বাহিনীর অফিসার এবং অনেক মানুষ মারা যায় ৷ কোর্ট মার্শাল দেওয়া হয়, সামারি ট্রায়াল দেওয়া হয় ৷ এইভাবে মানুষকে হত্যা করে৷ আজকে ৭ নভেম্বর প্রকৃতপক্ষে এটা সৈনিক হত্যা দিবস ৷ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের হত্যা দিবস৷''  

সে সময়ে যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের পরিবারের অনেকে এখনো তাদের আপনজনকে খুঁজে পায়নি, লাশ না পাওয়ায় কাফন-দাফনও হয়নি৷ কীভাবে তাদের প্রিয়জনেরকীভাবে মৃত্যু হয়েছে সেকথাও অনেকেই জানেন না, বলেন প্রধানমন্ত্রী ৷

জাতির পিতাকে হত্যার পর তার খুনিদের পথ রুদ্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির কথা মনে করিয়ে দেন এবং খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে দেশের পরিস্থিতি কেমন ছিল সে কথাও বলেন৷ 

 ‘‘বিদ্যুত দাবি করায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে ১৯জন মানুষকে হত্যা করেছিল খালেদা জিয়া৷ সারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল বলে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করেছিল৷ হত্যা করাটাই তাদের কাজ ৷ জিয়াউর রহমান যেমন শত শত মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক অফিসারকে হত্যা করেছে, জওয়ানদের হত্যা করেছে, সৈনিকদের হত্যা করেছে, তার স্ত্রীও একই পথ অবলম্বন করেছে৷’’ 

দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার এবং গ্রেনেড মামলায় তার ছেলে তারেক রহমানের দাণ্ডিত হওয়ার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, "খালেদা জিয়ার ছেলেদের দুর্নীতি আমেরিকার এফবিআই খুঁজে বের করেছে এবং সিঙ্গাপুরে ধরা পড়েছে৷ বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া কিছু টাকা সরকার ফেরত আনতেও সক্ষম হয়েছে ৷’’ 

যাবজ্জীবন সাজা মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা তারেক রহমানের প্রসঙ্গ ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ‘‘আপনারাই এখন দেখতে পারেন, প্রবাসে থেকেও কীভাবে তারা চলে৷ তাদের সোর্স অব ইনকাম কী? জনগণের সম্পদ লুট করে তারা বিলাসিতা করে৷     

জাতির পিতা হত্যার পর ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ‘‘সত্যকে কখনো ধামাচাপা দেওয়া যায় না৷’’

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

বাংলাদেশের পাঁচ দশকের রাজনীতি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান