1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্য

খুব শিগগিরই ‘দায়িত্বশীল' স্বাভাবিক অবস্থা দেখা যাবে

১৩ এপ্রিল ২০২০

জার্মানিতে খুব শিগগিরই জনগণ কিছুটা স্বাভাবিক জীবনযাপন দেখতে পাবেন, তবে তা হতে হবে দায়িত্বশীল৷ ইস্টার উপলক্ষে দেয়া বক্তব্যে আশা প্রকাশ করেন জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেট৷

https://p.dw.com/p/3apbi
Deutschland | Armin Laschet zur aktuellen Lage zum Corona Virus | Düsseldorf
ছবি: picture-alliance/dpa/Flashpic

ইস্টার সানডে উপলক্ষে এই বক্তব্য দেন লাশেট৷ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ডাব্লিউডিআর রোববার সন্ধ্যায় এই সিডিইউ (ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন) নেতার বক্তব্য সম্প্রচার করে৷ চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় গেল কিছুদিনের পরিসংখ্যানকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন লাশেট৷

‘‘দিনকে দিন ভাইরাসের সংক্রমণের হার কমে আসছে, কারণ আপনারা দূরত্ব বজায় রেখেছেন এবং সহযোগিতা করেছেন,'' বলেন তিনি৷

তিনি ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, উদ্ধারকর্মী, পুলিশ ও বিক্রয় প্রতিনিধি সবাইকে ধন্যবাদ জানান৷

জার্মানির ১৬টি রাজ্যের আট কোটি জনসংখ্যার প্রায় ২২ ভাগ লোক থাকেন (১.৮ কোটি) শুধু এনআরডাব্লিউ রাজ্যেই৷ রোববার পর্যন্ত এখানে ২৪ হাজার ২৬৭ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন৷ মারা গেছেন ৪৯৫ জন৷ আর পুরো জার্মানিতে এদিন পর্যন্ত এক লাখ ২০ হাজার ৪৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২,৬৭৩ জন মারা গেছেন৷

অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, করোনা মোকাবেলায় যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় তার সার্বিক প্রভাব থাকবে৷ ‘‘আমি হাজার হাজার মানুষের কথা চিন্তা করছি যাদের কর্মঘন্টা কমে গেছে, বেকার হয়ে গেছেন, যারা বিষণ্ণতা ও একাকীত্ব ভুগছেন, যাদের সার্জারি পিছিয়ে গেছে, কিংবা এ সময়ে যারা সহিংসতা বা হুমকির শিকারও হয়েছেন, বিশেষ করে শিশুদের কথা বলা যেতে পারে,'' বলেন লাশেট৷ 

সবকিছু আবার স্বাভাবিক হবার আশা করছেন তিনি৷ সিডিইউ নেতা বলেন, ‘‘আমাদের একটা রোডম্যাপ প্রয়োজন, যা আমাদের দায়িত্বশীল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে৷ একবারে পুরোটা সম্ভব নয়৷ অনেকগুলো ছোট ছোট সতর্ক ধাপ পেরুতে হবে আমাদের৷''

এই কঠিন সময়ে সরকার একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাইছে বলে জানান তিনি৷

১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কাউন্সিল

করোনা মোকাবেলায় ভবিষ্যত পদক্ষেপ বিষয়ে আগামী বুধবার জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বসবেন৷ এনআরডাব্লিউ-র জন্য এরই মধ্যে লকডাউন থেকে বেরুনোর একটি খসড়া চিত্র তুলে ধরেছেন বারো সদস্যের বিশেষজ্ঞ কাউন্সিল৷

যেহেতু রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখনো খুব চাপে পড়েনি, তাই জীবনযাত্রায় আস্তে আস্তে একটু শিথিলতা আনা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন তারা৷ এর মধ্যে খুবই ‘কড়া প্রতিরোধ ব্যবস্থাসহ' শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আস্তে আস্তে খুলে দেয়া যেতে পারে মত তাদের৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিজিটাল অনলাইন কোর্স চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা৷ কনসার্ট বা থিয়েটারগুলোতে সীমিত সংখ্যক লোকের উপস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করা যেতে পারে৷

বিশেষজ্ঞরা করোনার পরীক্ষা আরো বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন৷ দিনে পাঁচ লাখ পরীক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে চাইছেন তারা৷ এছাড়া যাদের মধ্যে লক্ষ্মণ দেখা গেছে, কিংবা যারা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের নিয়মিত পরীক্ষা করার পরামর্শ তাদের৷ নার্সিং হোমের মত ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় রয়েছেন যারা, তাদেরও নিয়মিত পরীক্ষার ওপর জোর দেয়া হয়েছে৷ সপ্তাহে এখন প্রায় পাঁচ লাখ পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে৷ রোববার পর্যন্ত জার্মানিতে মোট ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৮৭ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে জানিয়েছে পরিসংখ্যান ভিত্তিক অনলাইন প্লাটফর্ম ওয়ার্ল্ডোমিটার্স৷

এদিকে, বিশ্লেষকরা এ বলেও সতর্ক করেছেন, ‘‘সংক্রমণের হার আবারো বাড়তে পারে৷''

জেডএ/কেএম (ইপিডি, জেনারেল আনসাইগার)