1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাড়ির ডিজাইন করে গিনেসে নাম উঠেছে যার

২৯ জানুয়ারি ২০২১

ব্রিটিশ নাগরিক অ্যান্ডি সন্ডার্সের শখ পুরনো গাড়ি নিজের মতো ডিজাইন করা৷ ২০০৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে চেপ্টা গাড়ি তৈরি করে অনেকের দৃষ্টি কেড়েছিলেন তিনি৷ এ কারণে গিনিজ বুকেও নাম উঠেছিল তার৷

https://p.dw.com/p/3oYTk
সন্ডার্সের ‘টিটেনাস’ গাড়ি
সন্ডার্সের ‘টিটেনাস’ গাড়িছবি: Matt Richardson

ব্রিটিশ নাগরিক অ্যান্ডি সন্ডার্সের শখ পুরনো গাড়ি নিজের মতো ডিজাইন করা৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা আমার মুখে হাসি নিয়ে আসে৷ এটাই আমার বানানো সবচেয়ে সেরা গাড়ি৷ এটা যেন একটা 'আর্ট ডেকো’ ভাস্কর্য আর প্রোটোটাইপের মিশ্রন৷ এটা আপনাকে অনেক আনন্দ দেয়, কারণ এটা এমন এক সময়ের, যেটা চলে গেছে৷ আবার অন্যদিকে, এটা নয়৷ কারণ, এটা একটা কাস্টম কার৷ সুতরাং এটা সবকিছুর একটা মিশেল৷’’

সন্ডার্সের শখ এমন সব ডিজাইনের গাড়ি তৈরি, যা আগে কেউ দেখেনি৷ সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে তিনি সেটা করেন৷

২০০৩ সালে ‘টিটেনাস’ বানানো শুরু করেন তিনি৷ এজন্য মার্কিন লাক্সারি গাড়ি ব্র্যান্ড ‘কর্ড’-এর ১৯৩৭ সালের একটি গাড়ি বেছে নিয়েছিলেন৷

অধিকাংশ সময় ভাঙা ওল্ডটাইমার দিয়ে কাজ করেন তিনি৷

বিশ্বের সবচেয়ে চ্যাপ্টা গাড়ি

যেমন ১৯৪০ এর দশকের এক ভাঙা পুজো পিকআপ ট্রাক দিয়ে সন্ডার্স ‘মেট্রোপলিস’ বানিয়েছেন৷

যখন কাজ করেন তখন সময়ের কথা ভাবেননা তিনি৷ সন্ডার্স বলেন, ‘‘যখন কাজ করি তখন যে আমার কী হয় তা আপনাকে বোঝাতে পারবো না৷ এটা নেশার মতো৷ এই সময় আপনি কিছু তৈরি করেন না, সৃষ্টি করেন৷ গাড়িটা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, তা এখানে ভাবার বিষয় নয়৷ পরিকল্পনাটা গুরুত্বপূর্ণ, অন্য কিছুর গুরুত্ব নেই৷’’

টিএনএজ বয়সে বাবার গ্যারেজে গাড়ি ঠিক করার কাজ করেছেন সন্ডার্স৷ ১৯৮৪ সালে তিনি যখন এই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছিলেন তখন ইউরোপের মিডিয়ায় খবর হয়েছিল৷ সন্ডার্স বলেন, ‘‘১৯৭০-এর দশকে সায়েন্স ফিকশন মুভিতে দেখানো গাড়ি বানাতে চেয়েছি আমি৷ জানি না কেন এমনটা মনে হয়েছিল৷ আমি করেছি, কারণ, আমার করতে হতো৷ আগেও যেমনটা বলছিলাম, যখন আমার মাথায় আইডিয়া আসে তখন সেটা শেষ না করা পর্যন্ত মাথা থেকে যায় না৷ আর যখন শেষ হয়, তখন আগ্রহও চলে যায়৷’’

গাড়ির যত রকমফের

গাড়ির কাজ শেষ হলে তিনি সেগুলো বিক্রি করেন বা নিলামে তোলেন৷

২০০৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে চেপ্টা গাড়ি তৈরি করে অনেকের দৃষ্টি কেড়েছিলেন সন্ডার্স৷ এ কারণে গিনিজ বুকেও নাম উঠেছিল তার৷

২০১০ সালে পিকাসোর ‘কিউবিজম’ আর্ট মুভমেন্ট থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে এই গাড়িটি বানিয়েছিলেন, যে কারণে মিডিয়া তাকে ‘ব্যাংকসি অফ দ্য অটোমোবাইল’ নাম দিয়েছিল৷ অ্যান্ডি সন্ডার্স বলেন, ‘‘ব্যাংকসি যত দ্রুত গ্রাফিতি আঁকতে পারেন আমি তত তাড়াতাড়ি গাড়ি বানাতে পারলে ভালো হতো৷ আপনি যখন এমন সব কাজ করেন তখন আপনি জানেন যে, আপনি সবকিছু বিরুদ্ধে যাচ্ছেন৷ আমার মনে হয়, এটা ভেবে ব্যাংকসি কাজ শুরু করেছিলেন৷ মিডিয়া তাকে আলোচনায় এনেছে বলে আমি মনে করি৷ হয়ত তিনি শুধু আনন্দের জন্য এসব করেছেন৷ যেমন আমিও শুধু আনন্দের জন্যই এসব করি৷’’

অনেক আর্ট গ্যালারিতে সন্ডার্সের গাড়ি প্রদর্শিত হয়েছে৷ ২০০১ সালে ব্রিটেনের ‘টার্নার প্রাইজ’-এর জন্য তার কয়েকটি গাড়ি মনোনীত হয়েছিল৷ ফলে একটা বিষয় পরিষ্কার, সন্ডার্সের পরবর্তী গাড়িটা সবার সেরা ও সবচেয়ে সুন্দর হবে৷

গেরহার্ড সনলাইটনার/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান