1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাদ্দাফি’র কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে চেয়েছিল চীন!

৫ সেপ্টেম্বর ২০১১

গাদ্দাফি সরকারের সঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ব্রিটিশ এমআই৬’এর সম্পর্ক নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে৷ এদিকে গাদ্দাফি প্রশাসনের কাছে চীনের অস্ত্র বিক্রির খবর নিয়েও চলছে সমালোচনা, বিতর্ক৷

https://p.dw.com/p/12TPF
ছবি: picture alliance/dpa

চীনের অস্ত্র বিক্রি

ক্যানাডার একটি সংবাদপত্রে এ সংক্রান্ত খবর বেরিয়েছে৷ ত্রিপোলির একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ডকুমেন্টের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলছে লিবিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে গাদ্দাফির কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে চেয়েছিল চীন৷ এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রকেট লঞ্চার, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ও অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট ক্ষেপণাস্ত্র৷ অর্থের হিসেব করলে সেটা দাঁড়াবে প্রায় ১৪১ মিলিয়ন ইউরোতে৷

বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার!

কেউ কেউ বলছেন অস্ত্র কেনা হয়ে গিয়েছিল এবং তা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারও করা হয়েছে৷ তবে ক্যানাডার ঐ পত্রিকাটি অস্ত্র কিনে ফেলার ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি৷ এদিকে চীনও বলছে লিবিয়ার কাছে কোনো অস্ত্র বিক্রি করা হয়নি৷ তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে জুলাই মাসে লিবিয়া সরকারের এক প্রতিনিধি চীন সফর করেছিলেন৷ এদিকে বিদ্রোহীদের সংগঠন, যারা এখন লিবিয়া চালাচ্ছে, সেই এনটিসি বলছে তারা প্রাপ্ত ডকুমেন্ট পরীক্ষা করে দেখছেন৷ উল্লেখ্য, চীন শুরু থেকেই লিবিয়ায় ন্যাটোর অভিযানের বিপক্ষে ছিল এবং এখনো এনটিসিকে পুরোপুরি স্বীকৃতি দেয়নি৷

Ausschreitungen in Großbritannien Rede von Premier Cameron
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনছবি: dapd

সিআইএ ও এমআই৬

গাদ্দাফি সরকারের বিরুদ্ধবাদীদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে ছিলেন তাদের সম্পর্কে লিবিয়ার গোয়েন্দাদের তথ্য সরবরাহ করতো সিআইএ এবং এমআই৬৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের ধরে লিবিয়া পাঠানো হতো৷ এমনই একজন বিরুদ্ধবাদী হলে বর্তমানে এনটিসি'র এক কম্যান্ডার আবদেল হাকিম বেলহাজ৷ তিনি বলছেন ২০০৪ সালে সিআইএ তাঁকে ধরে লিবিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছিল৷ পরে গাদ্দাফির সেনারা তাঁকে কারাগারে নির্যাতন করে৷ এসব অভিযোগের ব্যাপারে স্বাধীন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷

সবশেষ পরিস্থিতি

গাদ্দাফির সমর্থকদের দখলে থাকা বানি ওয়ালিদ শহরে এখনো যায়নি বিদ্রোহীরা৷ তবে গাদ্দাফির সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনা যে ভেস্তে গেছে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে৷ এখন বিদ্রোহীরা ঐ শহরে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ এদিকে গাদ্দাফির এক ছেলে শাদি গাদ্দাফি, যিনি বানি ওয়ালিদের আশেপাশে রয়েছেন, তিনি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য তার ভাই সাইফ আল ইসলামকে দায়ী করেছেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন