1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গালিগালাজের কাহিনি শোনালেন সাদিক খান

২১ মার্চ ২০১৮

তিন মিনিটের ভিডিওটি নিজেই তাঁর ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান৷ পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই লেবার রাজনীতিক পরে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত একটি সম্মেলনে অনলাইন হেট স্পিচের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন৷

https://p.dw.com/p/2ufdb
ছবি: Reuters/P. Nicholls

একটির পর একটি টুইট, একটির পর একটি গালাগালি৷

‘‘পায়রার মতো দেখতে৷’’

‘‘হোসে মুরিনিও-র স্টান্ট ডাবল৷’’

‘‘লন্ডনের মেয়রকে মেরে ফেলো, তাহলে একটি মুসলিম সন্ত্রাসী কমবে৷’’

‘‘মুসলিমদের গুলি করা অথবা ফাঁসি দেওয়া উচিত৷’’

‘‘সব মুসলিমকে বহিষ্কার করো৷’’

‘‘মুসলিমদের কোনো মর্যাদা নেই৷ আমি চাই যে, বাকিদের মতো সাদিক খানও নিজেকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেবেন৷’’ এ’টি আবার পোস্ট করেছেন এক অজ্ঞাতনামা৷ <iframe src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2Fsadiqforlondon%2Fvideos%2F619480235064804%2F&show_text=0&width=560" width="560" height="315" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true" allowFullScreen="true"></iframe>

ভিডিও-র শেষে সাদিক খান বলছেন, ‘‘আমি শুধু ভুক্তভোগী হিসেবে পরিচিত হবার জন্য (এই টুইটগুলি) পড়ে শোনাচ্ছি না, বরং সংখ্যালঘু পটভূমির কমবয়সি ছেলেমেয়েরা যে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া টাইমলাইনে এ ধরনের জিনিস দেখে অথবা নিজেরাই অভিজ্ঞতা করে, সে বিষয়ে আমি উদ্বিগ্ন৷’’

তাঁর আরেকটি চিন্তা হলো, অনলাইন হেট স্পিচ সংখ্যালঘু পটভূমির তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতি বিমুখ করে তুলছে৷

হেট স্পিচ ছাড়া ফেক নিউজ ও চরমপন্থি অপপ্রচার বৃদ্ধির কথাও বলেন সাদিক খান৷ তাঁর মতে, সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি, সরকার, রাজনীতিকসহ সকলকেই এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে৷

#এন্ডদ্যহেট হ্যাশট্যাগের সমর্থক সাদিক খান তাঁর ভিডিও সমাপ্ত করেন এই আবেদনটুকু রেখে, ‘‘চলুন আমরা সকলে মিলে বিদ্বেষের অন্ত ঘটানোর জন্য কাজ করি৷’’

এসি/এসিবি