1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুজরাটে বিষাক্ত চোলাই মদ খেয়ে মৃত ১০৯

১০ জুলাই ২০০৯

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আমেদাবাদ শহরে বিষাক্ত চোলাই মদ খেয়ে মৃতের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ১০৯-এ৷ সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে৷ গুজরাটের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইস্তফা দাবি করে বিরোধী কংগ্রেস৷ বিষয়টি শুক্রবার সংসদেও ওঠে৷

https://p.dw.com/p/Il9m
ছবি: AP

গুজরাট ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে মদ খাওয়া বা বিক্রি করা নিষিদ্ধ৷ সেই গুজরাট রাজ্যেই বেআইনি চোলাই মদের এমন রমরমা কারবার কিভাবে পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় চলে আসছে দিনের পর দিন, প্রশ্ন সেটাই৷ তাতে সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল ওঠা স্বাভাবিক৷ বিজেপি শাসিত গুজরাট বিধানসভায় এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোণঠাসা করে কংগ্রেস৷ ভাংচুর চালায় বিধানসভা ভবনে৷ দাবি করে নরেন্দ্র মোদির ইস্তফা৷ বিজেপির এক কাউন্সিলার এই চোলাই মদের অবৈধ কারবারে যুক্ত বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের৷ বিষয়টি রাজনৈতিক রং নেওয়ায়, মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ এক বিবৃতিতে বলেন, দোষীরা পার পাবেনা, কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে৷ আসল কারণ খুঁজে বার করতে বসানো হয়েছে তদন্ত কমিশন৷ পাঁচজন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ বিষয়টি আজ সংসদেও ওঠে৷

রাজ্যে বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে আমেদাবাদের স্কুল কলেজ আজ বন্ধ থাকে৷ জনতার বিক্ষোভে বিভিন্ন জায়গায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়৷ এদিকে পুলিশ চোলাই মদের ঠেকগুলিতে হানা দিয়ে এক হাজার লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে৷ সমাজবিদদের মতে, যেহেতু রাজ্যে মদ খাওয়া বা বিক্রি করা বেআইনি, তাই সমাজের খেটে খাওয়া গরিব মানুষরা সস্তার চোলাই মদের সহজ শিকার হয়৷ শুধু গুজরাটই নয়, এবছরেই একই কারণে কোলকাতা, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে মারা যায় ২২৪ জন৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক