1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ার ওপর মার্কিন অবরোধ

৯ আগস্ট ২০১৮

সাবেক রুশ গুপ্তচর হত্যাচেষ্টায় রাসায়নিক এজেন্ট ব্যবহার করেছে রাশিয়া, এমন অভিযোগ তুলে দেশটির বিরুদ্ধে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ রাশিয়া এর উপযুক্ত ব্যাখ্যা না দিলে আরো কঠোর অবরোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে দেশটি৷

https://p.dw.com/p/32smH
ছবি: Reuters/H. Nicholls

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হেথার নয়ার্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে রাসায়নিক বা জৈব অস্ত্র ব্যবহার করায় রাশিয়ার ওপর এ অবরোধ আরোপ করা হবে৷''

রাশিয়ার স্পর্শকাতর জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পণ্য থাকবে এ অবরোধের আওতায়৷ এর মধ্যে কিছু পণ্য রয়েছে যা রাশিয়া সামরিক ও বেসামরিক, উভয় মাধ্যমেই ব্যবহার করতে পারে৷ এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু এখনও জানায়নি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর৷ তবে মহাকাশযাত্রা ও বাণিজ্যিক ফ্লাইটের কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ অবরোধ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছে তাঁরা৷

২২ আগস্টের কাছাকাছি সময়ে এ অবরোধ কার্যকর করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷

এদিকে, রাশিয়া যদি ৯০ দিনের মধ্যে আর কখনও রাসায়নিক বা জৈব অস্ত্র ব্যবহার না করার অঙ্গীকার না করে এবং জাতিসংঘকে এ বিষয়ে তদন্তের সুযোগ না দেয়, তাহলে আরো কঠোর অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷

মার্চে সাবেক রুশ গোয়েন্দা, বর্তমানে ব্রিটিশ নাগরিক সের্গেই স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালকে একটি পার্কে হত্যার চেষ্টা করা হয়৷ এ হত্যাচেষ্টায় রাশিয়াকেই দায়ী করে আসছে যুক্তরাজ্য, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র৷ গোয়ান্দারা বলছেন, এ হামলায় ব্যবহার হয়েছে মস্কোয় তৈরি ‘নোভিচক' নামের নার্ভ এজেন্ট৷

রাশিয়া অবশ্য বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে৷ মস্কোর পালটা অভিযোগ, রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খাটো করতেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে৷

রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণকে পুলিশি রাষ্ট্রের সাথে তুলনা করেছেন রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের পররাষ্ট্র কমিটির প্রধান কনস্টানটিন কোশাচেভ৷ ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সিকে তিনি বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র আবারও পুলিশি রাষ্ট্রের ভূমিকা নিচ্ছে, সন্দেহভাজনদের মারধর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে৷''

রাশিয়ার ওয়াশিংটন দূতাবাস এক বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র স্ক্রিপালকে বিষপ্রয়োগের ঘটনায় কোনো তথ্য-প্রমণের ধার ধারে না, এবং রুশ দূতাবাস এখন এ ব্যাপারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে৷''

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘‘অ্যামেরিকা আমাদের পাঠানো কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে বরাবরই ‘ক্লাসিফায়েড' বলে অস্বীকৃতি জানিয়েছে৷ অথচ আমাদের বারবার বলা হচ্ছে রাশিয়াই যে দায়ী, এ ব্যাপারে তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে৷''

রুশ দূতাবাস বলছে, লিখিত এক বক্তব্যে এই ইস্যুতে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছিল, কিন্তু ‘মেলেনি সে চিঠির উত্তরও'৷

এডিকে/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)