1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলে গেলেন আজম খান

৫ জুন ২০১১

চলে গেলেন পপগুরু আজম খান৷ রোববার সকালে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/11UdB
Symbolbild Konzert
প্রতীকী ছবিছবি: Fotolia/photocreo

‘‘চুপ চুপ চুপ, অনামিকা চুপ'' গানের মধ্যদিয়ে একসময় যিনি তাঁর অনামিকাকে চুপ থাকতে বলেছিলেন আজ তিনিই চুপ, নিথর হয়ে গেছেন৷ মুক্তিযোদ্ধা এবং পপ সংগীত শিল্পী মাহবুবুল হক খান৷ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন আজম খান নামে৷ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে মারা গেলেন ৬১ বছর বয়সে৷ রেখে গেলেন দুই মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য ভক্তদের৷

আজম খানের বন্ধু জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ফকীর আলমগীর বলেন, ‘‘আজ আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বড় এক বন্ধুকে হারালাম৷ আমাদের জাতীয় জীবনের এটি একটি অপূরণীয় ক্ষতি৷''

২০১০ সালে মুখ গহবরের ক্যান্সার ধরা পড়ে আজম খানের৷ এর পর চিকিৎসার জন্য তাকে দু'দফায় নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরে৷ কিন্তু নয় দিন আগে আজম খানের অবস্থার অবনতি ঘটে৷ সে দিন থেকেই স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে৷ এরপর সেখান থেকে নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে৷ রোববার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন তাকে৷

ফকীর আলমগীর জানিয়েছেন, সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজম খানের মরদেহ সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে৷ শহীদ মিনার থেকে মরদেহ নেওয়া হবে আজিমপুরে শিল্পীর বাড়িতে৷ জোহরের নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে জানাজা হবে৷ এরপর বিকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে প্রয়াত শিল্পীকে সমাহিত করা হবে৷

ব্যান্ড দল ‘উচ্চারণ' গড়ার মধ্য দিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করেন আজম খান৷ ২১ বছর বয়সে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে৷ ১৯৭৪-৭৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে 'রেললাইনের ওই বস্তিতে' গেয়ে স্থান করে নেন বাংলার মানুষর হৃদয়ে৷ আর তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠে পপ সংগীত৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম