1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চলে গেলেন কবীর চৌধুরী

১৩ ডিসেম্বর ২০১১

জীবনভর যুক্তি আর জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে চলে গেলেন জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী৷ মঙ্গলবার ভোর ৬ টায় নয়াপল্টনে তাঁর বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ফেলেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর৷

https://p.dw.com/p/13Rhf
Das Archivbild vom 29.09.1999 zeigt den Literaturwissenschaftler Kabir Chowdhury in Dhaka. Chowdhury, der Brechts "Mutter Courage" ins Bengalische und Taslima Nasrin ins Englische übersetzte, kämpft gegen jede Fesselung der Literatur durch den Fundamentalismus. "Der Rhythmus der Poesie ist für die Menschen ein Teil des Lebens und der Arbeit", sagt der 77-jährige Chowdhury. "Die Flüsse, die grüne Natur, das Zwitschern der Vögel, all das geht ein in die Tradition der Volkslieder." dpa (zu dpa-Korr: "'Der Rhythmus der Poesie' ist in Bangladesh ein Teil der Volkskultur" vom 07.02.2000)
কবীর চৌধুরীছবি: picture-alliance/dpa

কবীর চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশে শিক্ষা এবং সাস্কৃতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে৷

মৃত্যুকে নিয়ে ভাবতেন না জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী৷ মৃত্যুর কিছু দিন আগে তিনি মৃত্যু নিয়ে এমন চিন্তার কথাই জানিয়েছিলেন৷ এই বয়সেও কাজই তাঁর কাছে ছিল মুখ্য৷ মৃত্যুর পর তাঁর মেয়ে শাহীন কবিরসহ স্বজনরাও সেকথাই জানালেন৷

মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাসায় ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী পরিষেদের সদস্য, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সর্বস্তরের মানুষ৷ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানালেন, শিক্ষানীতি প্রণয়নে তাঁর ভূমিকার কথা৷

আর আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির আন্দোলন গড়ে তোলায় তিনি ছিলেন পুরোভাগে৷

সাহিত্যিক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ঢাকা বিশ্বিদ্যালেয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন৷ ১৯৯৮ সালে তাঁকে জাতীয় অধ্যাপকের সম্মান দেয়া হয়৷ ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৯১ সালে একুশে পদক এবং ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি পদক পান তিনি৷ লেখক শাহরিয়ার কবির বলেন, সব আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন বাতিঘর৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়র উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার কাজে তিনি ছিলেন আগুয়ান৷

অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ১৯২৩ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন৷ তার পুরো নাম আবুল কালাম মোহাম্মদ কবীর৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে স্বর্ণপদকসহ স্নাতক এবং স্নতকোত্তর ডিগ্রি নেন৷ তিনি দেড়শ'রও বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক