1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাঁদে জলের খোঁজ পেয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-১

২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯

ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযান চন্দ্রযান-১ চাঁদের বুকে জলের সন্ধান পেয়েছে৷ চন্দ্রযানে বসানো মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার দেওয়া খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানকারী এম-৩ যন্ত্রের সাহায্যে এই যুগান্তকারী সাফল্য সম্ভব হয়৷

https://p.dw.com/p/JoHH
ফাইল ফটোছবি: AP

ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযান চন্দ্রযান-১-এর অকাল মৃত্যু হলেও আসল কাজটি সে করে গেছে৷ চাঁদের বুকে জলের সন্ধান দিয়ে গেছে৷ এটাই ছিল চন্দ্রযান-১-এর মূল লক্ষ্য৷ যে যন্ত্রের সাহায্যে চাঁদের বুকে জলের অস্তিত্ব ধরা পড়ে, তার নাম মুন মিনারোলজি ম্যাপিং সংক্ষেপে এম-৩৷ দিয়েছিল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ জানা ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠ অসমতল,খানাখন্দে ভরা ও শুষ্ক৷ নতুন আবিষ্কারে জানা গেল, চাঁদের বুকে শুধু জলকণিকাই নয়, জলকণিকার এক পাতলা আস্তরণ রয়েছে চাঁদের মেরু অঞ্চলে বরফের আকারে৷ এ সম্পর্কে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রাক্তন প্রধান ড কস্তুরিরঙ্গন বলেন, কোটি কোটি বছর ধরে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়া ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষ বাহিত খনিজ পদার্থের রাসায়নিক ক্রিয়ায় হয়ত হাইড্রোক্সিল মানে একটি অক্সিজেন ও একটি হাইড্রোজেন অণুর মিলনে তৈরি হয়েছে এই জলকণিকা৷ সেটা হয়, চাঁদের মেরু অঞ্চলে, যেখানে সূর্যের আলো কখনও পৌঁছোতে পারেনি৷

কথা হলো, চাঁদের বুকে জল থাকলে কী হতে পারে৷ পুঁথিগতভাবে বলা যায়, জল ও জ্বালানি আহরণ সম্ভব হবে৷ সেটা হলে মনুষ্য বসতিও সম্ভব হবে৷ তবে বর্তমান আবিষ্কারে যতটুকু জানা গেছে, তাতে বলা যায়, চাঁদের কয়েক কিলো মাটি নিংড়ে হয়ত এক ফোঁটা জল পাওয়া যেতে পারে এই প্রসঙ্গে আরেক ভারতীয় বিজ্ঞানী বলেছেন, চাঁদের জলকণিকাকে ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে হলে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা বাকি এবং সেটা চাঁদের বুকে করলেই ভাল৷ ৪০০ কোটি টাকার চন্দ্রযান-১ মহাকাশে পাঠানো হয় গত বছর অক্টোবরে৷ বৈজ্ঞানিক মহলের মতে, এই সাফল্য ভারতের ভবিষ্যত মহাকাশ কর্মসূচির দিকে এক বড় পদক্ষেপ৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার