1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিপকার্ডে স্টে পার্মিট

২ সেপ্টেম্বর ২০১১

পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে জার্মানিতে থাকা বিদেশিদের জন্য চালু হল ইলেকট্রনিক স্টে পার্মিট ব্যবস্থা৷ এখন থেকে আর পাসপোর্টের ছাপ নয়৷ ক্রেডিট কার্ড আকারের একটি চিপকার্ডে থাকবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি, পরিচয় ও এদেশে থাকার অনুমোদন৷

https://p.dw.com/p/12RfA
এই ধরনের চিপকার্ড পাবেন বিদেশিরাছবি: Bundesministerium des Inneren/DW-Fotomontage

এই ইলেকট্রনিক স্টে পার্মিটের সংক্ষিপ্ত নাম ইএটি৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে এদেশে আসা মানুষরা এই চিপকার্ড পাবেন৷ চিপকার্ডে থাকবে বায়োমেট্রিক ছবি, আঙুলের ছাপ, এদেশে বাস করার অনুমতি৷ এই কার্ড যাতে আর কেউ ব্যবহার করতে না পারে তার জন্য থাকছে বিশেষ পিন-কোড৷ চিপকার্ডের আবেদনপত্র দাখিল করার সময় দিতে হবে ১১০ ইউরোর মত ফি৷ কার্ড পেতে সময় লাগবে প্রায় ছয় সপ্তাহ৷ কেননা এই প্লাস্টিক কার্ড আসবে বার্লিনের ফেডারেল জার্মান মুদ্রণ দপ্তর থেকে৷

স্টে পার্মিট পাওয়া বা তার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করবেন যিনি তাঁকে ইএটি চিপকার্ড গ্রহণ করার সময় সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে৷ এটা আবেদনকারীদের ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷ ছয় বছরের কম বয়সিদেরও আঙুলের ছাপ দিতে হবে৷ দশ বছর হয়ে গেলে ইএটি কার্ডের আবেদনপত্রে সই করতে হবে নিজেদেরই৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে যে আবেদনকারীর সন্তান আছে৷ একথা জানিয়েছেন জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ স্পাউশুস৷ যার অর্থ হতে পারে, ছেলে বা মেয়েকে, তাদের বয়স কম হলেও, সংশ্লিষ্ট বিদেশি বিষয়ক দপ্তরে উপস্থিত হতে হবে৷

আঙুলের ছাপ দেয়া এবং ইলেকট্রনিক স্টে পার্মিট চালু করা - এগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিধিনিয়ম মেনেই ঘটছে৷ জার্মান অভিবাসন ও শরণার্থী দপ্তররের দেয়া তথ্য জানাচ্ছে, কার্ডে বায়োমেট্রিক তথ্য-উপাত্ত ধরে রাখার ব্যাপারটা কার্ডের মালিক ও তথ্যধারণকারী কার্ড-এর মধ্যকার সংযোগটি বৃদ্ধি করবে এবং কার্ডের অপব্যবহারও রোধ করবে বলে বলা হচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ভিতরে স্টে পার্মিটের বিষয়টি এই ইএটি-র মাধ্যমে একটা অভিন্ন রূপ পাবে৷ এই নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে সেই সব বিদেশিদের ক্ষেত্রে যারা ইইউ'র বাইরের কোন দেশ থেকে জার্মানিতে এসেছে৷ এবং যাদের এদেশে সীমিত সময় বা স্থায়ীভাবে থাকার অনুমোদন আছে৷

জার্মান নাগরিকদের জন্যও ইতোমধ্যেই ইলেকট্রনিক পরিচয়পত্র চালু হয়েছে৷ এই কার্ডের মত ইএটি দিয়েও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইন্টারনেট মারফত যোগাযোগ করা সম্ভব হবে৷ তবে এই সুবিধা গ্রহণ করার জন্য আবেদনকারীর বয়স হতে হবে অন্তত ১৬ বছর৷ চিপ কার্ডে ধরা ইলেকট্রনিক সই-এর মাধ্যমে কার্ডধারী ব্যক্তি অনলাইনে সহজেই তার পরিচয় দিতে পারবে এবং প্রশাসন বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে৷ প্রয়োজনীয় আবেদনপত্র পাঠাতে পারবে৷ তবে এই সুবিধা ভোগ করার জন্য দরকার হবে একটি ইলেকট্রনিক রিডার মেশিন৷

জার্মান অভিবাসন ও শরণার্থী দপ্তর তার হোমপেজে জোর দিয়ে জানিয়েছে, ইএটি কার্ডে ধরা একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্তগুলিতে তৃতীয় কেউ কোনক্রমেই প্রবেশাধিকার পাবেনা৷ কেউ যদি নিরাপত্তার ব্যাপারে আরো বেশি নিশ্চিত হতে চান তাহলে তিনি অনলাইন সুবিধা বন্ধ রাখতে পারেন৷ তবে যাদের পাসপোর্টের পাতায় স্টে পার্মিটের ছাপ দেয়া আছে, তার বৈধতা কিন্তু এখন নষ্ট হবেনা৷ বর্তমান মেয়াদ শেষ হবার পরেই চিপকার্ডের আবেদন করতে হবে৷

উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০০৮ সালের ১৮ই এপ্রিল সব সদস্য দেশগুলিতে ইলেকট্রনিক স্টে পার্মিট চালু করার বিধি ঘোষণা করে৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক/আনা আপেলরাঠ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন