1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন নিয়ে আলোচনা, ভারতে আসছেন মাইক পম্পেও

২১ অক্টোবর ২০২০

চীনের বিরুদ্ধে স্ট্র্যাটেজি সাজাতে ভারতে আসছেন মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও। সঙ্গে আসবেন মার্কিন সামরিক সচিবও।

https://p.dw.com/p/3kDik
ছবি: Giannis Papanikos/Reuters

আগামী সপ্তাহেই ভারতে আসবেন মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও। বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল অ্যামেরিকা। পম্পেও-র সঙ্গে আসার কথা অ্যামেরিকার সামরিক সচিব মার্ক এসপারেরও। মঙ্গলবার এসপারই বিবৃতি জারি করেছেন। চীনের সঙ্গে ভারতের চলতি সংঘাত এবং এশিয়া প্যাসিফিকে ভারত এবং অ্যামেরিকার যৌথ শক্তিবৃদ্ধির বিষয়ে তাঁরা ভারতীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে এসপার বিবৃতিতে জানিয়েছেন।

করোনা পরিস্থিতিতেচীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। অন্য দিকে গত এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে চীনের লাদাখ সংঘাত চলছে। এখনো পর্যন্ত কোনো দেশই নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে রাজি হয়নি। বরং বিতর্ক আরও বেড়েছে। চীন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশকে তারা ভারতের অংশ বলেই মনে করে না। অন্য দিকে কাশ্মীর প্রসঙ্গে চীন এবং পাকিস্তান একজোট হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের সরকার বরাবরই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। লাদাখ সংঘাতে অ্যামেরিকা ঘোষিত ভাবে ভারতকে সমর্থন করেছে। কিন্তু মঙ্গলবার এসপার যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা নজিরবিহীন। এসপার বলেছেন, চীনের স্ট্র্যাটেজিক চ্যালেঞ্জ রুখতে ভারত এবং অ্যামেরিকা আলোচনা করবে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের শক্তি কী ভাবে ক্ষয় করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে। অর্থাৎ, চীন নিয়ে আলোচনা করতেই যে পম্পেও এবং এসপার ভারতে আসছেন, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

এসপারের বক্তব্য, উপমহাদেশ এবং এশিয়া প্যাসিফিকে ভারত অ্যামেরিকার স্ট্র্যাটেজিক বন্ধু। দুই দেশ সামরিক স্তরে অনেক কিছু বিনিময়ও করে। ভারতীয় প্রশাসন সূত্র জানাচ্ছে, এ বার পম্পেও এবং এসপারের সঙ্গে বৈঠকের পর ইনটেলিজেন্স শেয়ারিংয়ের ব্যবস্থা হতে পারে। অর্থাৎ, ভারতীয় গোয়েন্দারা মার্কিন গোয়েন্দাদের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করবে। বোঝাই যাচ্ছে, চীন সম্পর্কিত তথ্যের জন্যই দ্রুত এই ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়াও সামরিক পোশাক এবং সরঞ্জামের ক্ষেত্রেও ভারত এবং অ্যামেরিকার চুক্তি রয়েছে। লাদাখ সংঘাতের জন্য এক সপ্তাহ আগেই অ্যামেরিকার কাছ থেকে বিশেষ ধরনের শীতের সরঞ্জাম আনিয়েছিল ভারত।

সম্প্রতি জাপানে চীন নিয়েই অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া বৈঠক করেছে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং অ্যামেরিকা ভারতের মালাবার উপকূলে নভেম্বরে নৌ মহড়া করবে। সব মিলিয়ে দক্ষিণ চীন সমুদ্র এবং লাদাখে চীনের উপর যৌথ ভাবে চাপ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে হংকং এবং তাইওয়ান নিয়েও চীনের উপর ক্রমশ চাপ তৈরি করা হচ্ছে।

সৈন্য হস্তান্তর

এ দিকে সোমবার পূর্ব লাদাখে এক চীনের সেনাকে আটক করেছিল ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনা সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, মেষপালকদের সাহায্য করতে গিয়ে চীনের ওই সেনা ভুল করে এলএসি পার করে ফেলেছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করে ভারতীয় সেনা। সোমবার রাতেই চীন ভারতকে জানায়, তাদের একজন সেনা অফিসার ভারতে ঢুকে পড়েছেন। মঙ্গলবার রাতে প্রোটোকল মেনে ভারতীয় সেনা ওই চীনা সেনাকে চীনের হাতে তুলে দিয়েছে। ওই সেনাকে খাবার, গরম জামা দেওয়া হয়েছে বলেও ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে। প্রোটোকল মেনে সেনা হস্তান্তর হলেও দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতের অবসান হয়নি। এখনো পর্যন্ত একটি বৈঠকেও সমাধানসূত্র মেলেনি।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)