1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে ইন্টারপোল প্রধান ঘুষ নেয়ার অভিযোগে আটক

৮ অক্টোবর ২০১৮

ইন্টারপোল প্রধান মেং হোংওয়েকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চীন৷ ২৫ সেপ্টেম্বর ফ্রান্স থেকে চীন আসার পর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না৷ মেং-এর স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামীর জীবন হুমকির মুখে৷

https://p.dw.com/p/369vt
Meng Hongwei Interpol-Präsident wird in China vermisst
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Maye-E

নিখোঁজ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর সোমবার চীনের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় মেংকে আটকের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করলো৷

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘‘মেং-এর বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়া এবং আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ রয়েছে৷'' একই সাথে এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে বিবৃতিতে৷ বলা হয়েছে, মেং ‘‘নিজেই নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন৷''

ইতিহাসের প্রথম চীনাইন্টারপোল প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি চীনা সরকারের জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করছিলেন মেং৷

রোববার চীনের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা জানিয়েছিল, সম্প্রতি গঠন করা ন্যাশনাল সুপারভাইজরি কমিশন মেং-এর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে৷ কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের কথা তখন জানানো হয়নি৷

ইন্টারপোল জানিয়েছে, মেং সংস্থাটির প্রধানের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন৷ জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক কিম জং ইয়াংকে দেয়া হয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব৷

আতঙ্কে পরিবার

মেং নিখোঁজ হওয়ার পর প্রথম ফ্রান্সের লিওঁতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন মেং-এর স্ত্রী গ্রেস মেং৷স্বামীর জীবন হুমকির মুখে বলে মনে করেন গ্রেস৷

গ্রেস জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হওয়ার আগে মেং তাঁকে একটি ছুরির ছবি পাঠিয়েছেন৷ এর মাধ্যমে মেং যে বিপদে পড়েছেন, সেটিই বোঝাতে চেয়েছেন বলেও দাবি গ্রেসের৷

এর চার মিনিট পর আরেকটি মেসেজ পান গ্রেস, যাতে লেখা ছিল, ‘‘আমার কলের জন্য অপেক্ষা করো৷'' তবে এরপর মেং-এর মোবাইল ফোন থেকে আর কোনো মেসেজ বা কল আসেনি৷

নিজের ও দুই সন্তানের জীবন নিয়ে আশংকায় থাকার কথাও জানিয়েছেন গ্রেস৷ বিপদের কথা চিন্তা করে, সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তাঁর চেহারা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ না করার অনুরোধও করেন৷

চীনে ন্যাশনাল সুপারভাইজরি কমিশনকে দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারি ও তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত, এমনকি আটকের ক্ষমতাও দেয়া হয়েছে৷ এবং এ কাজে তেমন কোনো জবাবদিহিতার মুখোমুখিও হতে হয় না কমিশনকে৷

আইন অনুযায়ী, কাউকে আটক করা হলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের এ ব্যাপারে জানানোর কথা থাকলেও জাতীয় নিরাপত্তা, জঙ্গিবাদ অথবা তথ্য পাচারের অভিযোগ ইস্যুতে কমিশনের সদস্যদের ছাড় দেয়া হয়েছে৷

এই কমিশন গঠন হওয়ার পর থেকে কোনো তথ্য ছাড়াই কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক মাস পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছে অনেককেই৷ তবে ইন্টারপোলের প্রথম চীনা প্রেসিডেন্ট মেং কোন ইস্যুতে চীন সরকারের তদন্তের মুখোমুখি হতে পারেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি৷

২০১২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীনে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেন৷ তাঁর এই উদ্যোগে ছয় বছরে ১০ লাখেরও বেশি সরকারি কর্মকর্তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে৷ চীনাদের কাছে এই অভিযান বেশ জনপ্রিয় হলেও এর মাধ্যমে শি তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ঘায়েল করছেন বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা৷

এডিকে/এসিবি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য