1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের সিনজিয়াং থেকে বহু উইঘুর উধাও

২২ অক্টোবর ২০০৯

এ-কথা বলেছে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের একটি রিপোর্টে৷ জুলাই-এর দাঙ্গা যাবৎ অন্তত ৪৩ জন উইঘুর পুরুষ এবং কিশোরের নিখোঁজ হবার ঘটনা নথিবদ্ধ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷

https://p.dw.com/p/KCWi
জাপানে পৌঁছনোর পর উইঘুর নেত্রী রেবিয়া কাদিরছবি: AP

উইঘুররা মধ্য এশিয়ার একটি তুর্কিচ ভাষাভাষী জাতি৷ উত্তর-পশ্চিম চীনের সিনজিয়াং এলাকায় তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ৷ গত জুলাই মাসের পাঁচ তারিখে সেখানে উইঘুর এবং চীনে সংখ্যাগরিষ্ঠ হান চীনাদের মধ্যে যে রক্তাক্ত সঙ্ঘর্ষ বাঁধে, তা’তে প্রায় ২০০ জন মানুষ প্রাণ হারায়৷ অতঃপর চীনা নিরাপত্তা বাহিনী প্রাদেশিক রাজধানী উরুমচি’র একাধিক আবাসিক এলাকা ঘিরে ফেলে এবং যে সব পুরুষ বাসিন্দার দেহে ক্ষতের চিহ্ন আছে, অথবা যারা বিক্ষোভের সময় বাড়ি ছিল না, তাদের ধরে নিয়ে যায়৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ-কথা জেনেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ নিখোঁজদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স নাকি বিশোর্ধে, কিন্তু একজন ১২ বছরের এবং এক ১৪ বছরের কিশোরের নিখোঁজ হওয়ার কথাও জানতে পেরেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ অপরদিকে উরুমচির হান চীনা বাসিন্দাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো অনুরূপ ধরপাকড়ের কথা জানা যায়নি, বলে সংগঠনটি তার বিবরণে জানিয়েছে৷

চীনের উপর চাপ সৃষ্টির দাবী

সংগঠনের এশিয়া পরিচালক ব্র্যাড এ্যাডামস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অপরাপর বড় শক্তিদের প্রতি চীনের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বলেছেন, যা’তে চীন সিনজিয়াং-এ নিখোঁজ মানুষদের ঠিক কি হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট জবাব দেয়৷ অপরদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ উইঘুরদেরও সমালোচনা করেছে, কেননা ৫ই জুলাই-এর বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ থাকলেও, পরে তা হান চীনাদের উপর হামলায় পর্যবসিত হয়৷

নির্বাসিত উইঘুর নেত্রীর জাপান সফর

অপরদিকে নির্বাসিত উইঘুর নেত্রী রেবিয়া কাদির জাপান সফরের অবকাশে পুনরায় উল্লেখ করেছেন যে, ৫-ই জুলাই থেকে পয়লা অক্টোবরের মধ্যে প্রায় ১০,০০০ উইঘুর উধাও হয়েছে৷

চীন উরুমচির দাঙ্গার সময় হত্যা এবং অপরাপর হিংসাত্মক কার্যকলাপের জন্য আটজন উইঘুর এবং একজন হান পুরুষকে মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত করেছে৷ আরো তিনজন উইঘুরকে গত সপ্তাহে স্থগিতকৃত মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, এবং তিনজন উইঘুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়৷ রেবিয়া কাদির এই সব দণ্ডদানকে রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই