1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘চ্যান্সেলর থাকছেন ম্যার্কেলই'

৯ ডিসেম্বর ২০১৮

জার্মানির খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল- সিডিইউর নতুন প্রধান আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি চান আঙ্গেলা ম্যার্কেল চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর মেয়াদের বাকি তিন বছর শেষ করুন৷

https://p.dw.com/p/39lP3
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Schreiber

রোববার দলের সম্মেলন পরপরই ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের একটি ফেডারেল সরকার রয়েছে৷ এই সরকার একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছে৷ দলের সম্মেলনেও সবার একই মনোভাব উঠে এসেছে, আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছাও তাই৷''

তিনি বলেন, ‘‘সরকারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণের ব্যবস্থা করে দেয়াও ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব৷''

আগামী বছর জার্মানিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ উগ্র জাতীয়তাবাদী এবং শরণার্থী-বিরোধী হিসেবে পরিচিত অলটারনেটিভ ফর জার্মানি- এএফডি এই অঞ্চলে আগের নির্বাচনগুলিতে বেশ সাফল্য দেখিয়েছে৷ ফলে সিডিইউয়ের নতুন প্রধানের কাছে স্বভাবতই প্রশ্ন ছিল, ‘এই ভোটারদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা কী?'

উত্তরে কারেনবাউয়ার বলেন, ‘‘নিজেদের শক্তিতে৷ প্রথমত, অন্যসব দল কী করছে, তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না৷ আমরা জানি, রাজ্য নির্বাচনগুলোর প্রচারণা খুব কঠিন হবে৷ কিন্তু আমরা সিডিইউয়ের নিজস্ব শক্তি তৈরি করতে চাই৷''

তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় অনেক ইস্যু রয়েছে, অনেক অঞ্চলে আমাদের অবস্থান ভালো৷ যেসব রাজ্যে আমরা বিরোধী দলে রয়েছি, সেখানেও সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের যৌক্তিক সমালোচনা রয়েছে৷ এছাড়া, সামাজিক বিভিন্ন ইস্যু ও পেনশনের মতো সাধারণ ইস্যুও রয়েছে৷ আমাদের নিজেদের সুসংগঠিত হতে হবে৷ তবে আগে যেমনটি বলেছি, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হবে নিজেদের শক্তিতে এমনভাবে মানুষের মন জয় করা, যাতে ভোট আমরাই পাই৷''

স্বল্প ব্যবধানের জয়

শুক্রবার হামবুর্গে রান-অফ ভোটে কারেনবাউয়ার ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসকে হারান৷

এর আগে প্রথম রাউন্ড ভোটে ৯৯৯ ভোটের মধ্যে ৪৫০ ভোট পেয়েছিলেন কারেনবাউয়ার৷ ম্যার্ৎস পেয়েছিলেন ৩৯২ ভোট৷ আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান পেয়েছিলেন ১৫৭ ভোট৷

পরে কারেনবাউয়ার আর ম্যার্ৎসের মধ্যে রান-অফ হলে কারেনবাউয়ার পান ৫১৭ ভোট আর ম্যার্ৎস ৪৮৭ ভোট৷

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ম্যার্কেল তাঁর উত্তরসূরি বিবেচনা করে কারেনবাউয়ারকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে আসেন৷ ম্যার্কেলের নীতির প্রতি কারেনবাউয়ারের সমর্থনের কারণে মাঝেমধ্যে তাঁকে ‘মিনি-ম্যার্কেল' হিসেবেও উল্লেখ করা হয়৷

কট্টর নাকি উদার, কোন পথে সিডিইউ?

দলের অনেকেই চাচ্ছিলেন পপুলিজমের উত্থান ঠেকাতে সিডিইউ আরো রক্ষণশীল ভূমিকা নিক৷ কিন্তু দলীয় প্রধানের পদে ‘ম্যার্কেলের শিষ্য' কারেনবাউয়ারের জয়ে সে পথ অনেকটাই রুদ্ধ হয়ে গেছে৷

তবে তিনি বলছেন, ‘‘ব্যক্তিগত পর্যায়ে দলের সম্মেলন বিভক্ত হয়ে পড়েছিল সত্যি৷ কিন্তু ভোটাভোটির আগেই এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের চিন্তাভাবনায় অনেক মিলও রয়েছে৷''

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস এবং ইয়েন্স স্পানের মতো আমিও মনে করি, রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷ আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময়েই এটা উপলব্ধি করতে পেরেছি৷ আসছে বসন্তে আমরা অভিবাসন এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা শুরু করতে চাই৷''

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘‘আমি মনে করি জার্মানি (অন্য দেশের চেয়ে) একটি অন্যরকম পরিস্থিতিতে রয়েছে৷ আমাদের সোশাল মার্কেট ইকোনমি এবং সোশাল পার্টনারশিপের কারণে আমাদের এমন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে, যেখানে সব সমস্যা ও বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা যায়৷ আমি আশা করি, আমরা এই শান্তি বজায় রাখতে পারবো৷''

কারেনবাউয়ার বলেন, ‘‘ফ্রান্স বা অন্যান্য দেশে দেখবেন, একমত হওয়া সত্ত্বেও যখন কোনো নিয়ম ভেঙে পড়ে, তখন বিরোধ অবশ্যম্ভাবী হলেও তা খুব দ্রুত সহিংসতায় রূপ নেয়৷''

গত বছর সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে চরম ডানপন্থি অলটারনেটিভ ফর জার্মানির উত্থানে ব্যাপক সমর্থন হারায় সিডিইউ৷ বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, সিডিইউয়ের পরের অবস্থানে থাকা গ্রিন পার্টির দিকেও ঝুঁকেছেন দলটির অনেক সমর্থক৷

অক্টোবরে হেসে রাজ্যের ভোটে ১০ শতাংশেরও বেশি সমর্থন হারায় সিডিইউ৷ এরপরই আঙ্গেলা ম্যার্কেল ঘোষণা দেন দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর৷

এডিকে/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান