1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুন্নি সাহা

৫ জুলাই ২০১২

বাংলাদেশের প্রথিতযশা নারী সাংবাদিকদের একজন মুন্নি সাহা৷ জার্মানির বন শহরে ডয়চে ভেলের গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে উড়ে এসেছিলেন৷ তারই ফাঁকে ডয়চে ভেলের স্টুডিওতে কিছু সময়ের জন্য আলাপচারিতা হয় তাঁর সাথে৷

https://p.dw.com/p/15RG8
ছবি: DW/Hai

প্রথমেই তাঁর বাল্যকাল ও শিক্ষা জীবনের কথা জানতে চাইলে মুন্নি সাহা বলেন, ‘‘আমার ছোটবেলা কেটেছে মুন্সীগঞ্জে৷ আমি এসএসসি পাস করেছি সেখান থেকেই৷ মুন্সীগঞ্জ আগে বৃহত্তর ঢাকার মধ্যেই ছিল৷ তবে এখন সেটি পৃথক জেলা৷ ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ডুবে থাকতাম৷ কচিকাচার আসর, ছবি আঁকা এরকম অনেককিছুই করতাম৷ আর লেখালেখিরও ঝোঁক ছিল তখন থেকেই৷ তবে তখনও ভাবিনি যে বড় হয়ে আমি সাংবাদিক হবো৷ বরং ছোটবেলায় আমি যখন রচনা লিখতাম, তখন নাকি আমি বলতাম বড় হয়ে ডাক্তার হবো৷ কিন্তু সেসময় ডাক্তার জিনিসটা কী - সেটাও আসলে আমি ভালো করে জানতাম না অথবা ভালোবাসতাম কি না সেটাও আজ আর আমি মনে করতে পারি না৷ কিন্তু আসলে এটা ছিল বই থেকে শেখা একটি বিষয়, বলেই হয়তো এমনটি বলতাম৷ পরে যেটা হয় আর কি৷ মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তির সুযোগ পেলাম না৷ ফলে সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হই৷ তবে তার আগে থেকেই আমি লেখালেখি করি৷ এছাড়া আমার বড় ভাই ফটোসাংবাদিক ছিল৷ ফলে ভাই-বোন দু'জন মিলে ঘরে বসে ফটো ডেভেলপ করছি, ছবি তুলছি, ছবির শিরোনাম-আখ্যান লিখছি৷ এরকম করতে করতে বাড়িতে যে বাইরের পত্রিকা আসতো, সেখান থেকে কিছু লেখা অনুবাদ করতাম৷ ফিচার লিখতাম৷ সেগুলো পত্রিকায় ছাপা হতো৷ এগুলো সবই কিন্তু আমার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়ের ঘটনা৷ তখনই আমার নামটা বিখ্যাত হয়ে গেছে৷ যদিও সেসময় আমি সাপ্তাহিক পত্রিকাতে লিখতাম৷ এরপর সাংবাদিকতায় ভর্তি হওয়ার পর থেকে আসলে পুরোদমে সাংবাদিকতা শুরু হয়ে যায়৷''

Deutsche Welle Global Media Forum 2012
ছবি: DW/Danetzki

তাঁর সাংবাদিক জীবনের শুরুর দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশের এই তারকা সাংবাদিক জানান, ‘‘দৈনিক আজকের কাগজ দিয়ে আমার সাংবাদিকতার শুরু৷ তখন আজকের কাগজ পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন নাইমুল ইসলাম খান৷ বলতে গেলে সেই পত্রিকা দিয়ে আমার কাজ শুরুটা উনার কারণেই৷ উনি কোনো এক পত্রিকায় আমার একটি লেখা দেখেছিলেন৷ ১৯৯১ সালে তখন আজকের কাগজ পত্রিকার বয়স মাত্র দু'মাস৷ আমিও তাঁকে চিনি না৷ উনিও আমাকে চেনেন না৷ কিন্তু আমার লেখাটা দেখার পর উনি আমাদের বিভাগের দপ্তরে একটি কার্ড রেখে গেছেন এবং বলে গেছেন যে, মুন্নি সাহা আসলে দেখা করতে বলবেন৷ কার্ডটি পেয়ে আমি টেলিফোন করলাম৷ উনি বললেন, তুমি এখনই এসো৷ আমি গেলাম৷ কিন্তু উনাকে দেখে সম্পাদক মনে হলো না৷ আসলে আমার বয়সও তখন খুব অল্প৷ এর আগে কোনো পত্রিকা কার্যালয়ে যাইনি৷ ফলে সাংবাদিক বলতেই আমার মনে হতো যে, সাংবাদিক হবে মোটা, কালো, ভুড়িওয়ালা এবং সাদা-পাকা চুল ইত্যাদি৷ সাংবাদিক তরুণ হতে পারে এবং আমাদের মতো করে কথা বলে এটা আমার ধারণার মধ্যে ছিল না৷ গিয়ে দেখি একজন অল্প বয়সি লোক৷ তিনি আবার সম্পাদকের চেয়ারে৷ সবচেয়ে আশ্চর্য কথা হলো, আমার এখনও মনে আছে যে আমি যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন নাইমুল ইসলাম খান লুঙ্গি পরে বসেছিলেন৷ তারপরে যেদিকেই তাকাই, দেখি সবাই আমার বয়সি৷ আবার দেখি কেউ গান করছে৷ সঞ্জীব দা'র কথা আমি মনে করতে পারি৷ আসলে এক কোনায় ছিল ফিচার বিভাগ৷ সেখানে দেখি একজন টেবিলের উপর বসে আছে৷ আবার আরেকজন তবলা বাজাচ্ছে, গান করছে৷ আমার মনে হলো, বাহ! এটাতো মজার জায়গা৷ নাইমুল ইসলাম খান তখন আমাকে বললেন, তোমার লেখা খুব ভালো৷ তুমি কালকে থেকে নিয়মিত আসা শুরু করো৷ আমি খুব গর্বিত যে, নাইম ভাই আমাকে পুলক দা'র হাতে দিয়েছিলেন৷ পুলক গুপ্ত সবার পরিচিত৷ বিবিসি'র সাংবাদিক৷ উনার কাছে আমার সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি৷ সাংবাদিকতার যে ভাষা, সূচনা, সুন্দর করে বাক্য গঠন - সবকিছুই আমি তাঁর কাছে শিখেছি৷ একেবারে ভালো শিক্ষকের মতো তিনি আমাকে শিখিয়েছেন৷''

Week 27/12 Women 2 Munni Saha Part 1 - MP3-Mono

দৈনিক আজকের কাগজের পর ‘ভোরের কাগজ' পত্রিকায় কাজ করেন মুন্নি সাহা৷ এরপর ১৯৯৯ সালে একুশে টেলিভিশন তথা ইটিভি'তে যোগ দেন তিনি৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য