1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঞ্জালের উপাদান দিয়ে অভিনব শিল্পসৃষ্টি

২৯ মার্চ ২০১৯

শুধু জঞ্জাল থেকে শিল্পসৃষ্টির কাজ করেই সন্তুষ্ট নন পর্তুগালের এক শিল্পী৷ পরিবেশ দূষণ ও প্রাণিজগতের দুর্দশা সম্পর্কেও সচেতনতা সৃষ্টি করতে চান তিনি৷ একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে তিনি অনেক মানুষের মনে প্রভাব সৃষ্টি করতে পেরেছেন৷

https://p.dw.com/p/3FqV6
Bordalo II street sculptures expo - Paris
ছবি: Getty Images/AFP/C. Archambault

পর্তুগিজ শিল্পী আর্তুর বর্দালু বিভিন্ন পশুর আদলে ভাস্কর্য সৃষ্টি করেন৷ তাকে ভাস্কর্যের সঙ্গে স্ট্রিট আর্টের মেলবন্ধন বলা চলে৷ আবর্জনাই তাঁর উপাদান৷ বাস্তব প্রেক্ষাপটে কল্পনির্ভর তাঁর ‘আপসাইক্লিং' শিল্প৷ আর্তুর নিজে মনে করেন, ‘‘প্রাণীদের মাধ্যমে আমরা সহজেই মানুষের অভিব্যক্তির কাছাকাছি রূপ পেতে পারি৷ জঞ্জালের কারণে প্রকৃতি নষ্ট হচ্ছে, এই গ্রহ ধ্বংসের পথে চলেছে৷ দূষণ ও জঞ্জালের কারণে যারা এই প্রক্রিয়ার শিকার হচ্ছে, এই সব উপাদান দিয়ে তাদের চিত্র সৃষ্টি করা হচ্ছে৷''

পুরানো পুতুল, গাড়ির টায়ার, মোবাইল ফোন অথবা পাইপ – মানুষ যা কিছু ফেলে দেয়, বর্দালো সে সব শিল্পে পরিণত করেন৷ জঞ্জাল দিয়ে তৈরি তাঁর ৩০টি ভাস্কর্য প্যারিসের এক সংগ্রহশালায় প্রদর্শিত হচ্ছে৷ আর্তুর বর্দালু বলেন, ‘‘শিল্পকর্মের সাহায্যে আমি সবার জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি৷ শুধু হাতে গোনা শিল্পবোদ্ধা নয়, জনসাধারণের কাছে আনতে চেয়েছি৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের জন্য এটা করেছি৷ কারণ তারাই তো সবকিছু বদলানোর ক্ষমতা রাখে৷'’

Bordalo II street sculptures expo - Paris
বর্দালু বিভিন্ন পশুর আদলে ভাস্কর্য সৃষ্টি করেনছবি: picture-alliance/abaca/P. Benegas

২০১৪ সালে নিজের শহর লিসবনে তিনি প্রথম ‘বিগ ট্র্যাশ অ্যানিম্যাল্স' গড়ে তোলেন৷ রাজপথ বা জঞ্জালের স্তূপে তিনি সৃষ্টির উপাদান খুঁজে পান৷ আবর্জনা দিয়ে ভাস্কর্য সৃষ্টি করে প্রাক্তন এই গ্রাফিটি শিল্পী স্ট্রিট আর্ট জগতে দ্রুত খ্যাতি অর্জন করেছেন৷ রোম, বার্লিন, লন্ডন, তাহিতি অথবা লাস ভেগাস – সব জায়গায় তিনি পরিচিতি পেয়েছেন৷

প্যারিসে প্রদর্শনীর জন্য বর্দালো ঠিক সময়ে দুটি নতুন সৃষ্টির কাজ শেষ করেছেন৷ গ্যালারির খুব কাছেই সে দু'টি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে৷ ফ্রান্সের রাজধানীতে একক প্রদর্শনীর জন্য এর চেয়ে ভালো বিজ্ঞাপন আর হতে পারে না৷ প্রায় ৭০০ বর্গমিটার জুড়ে তাঁর সৃষ্টিকর্ম শোভা পাচ্ছে৷ অনেক দর্শক তা দেখে মুগ্ধ৷ কেউ বলেন, ‘‘সত্যি চমকপ্রদ! আমি কখনো শিল্পের এমন রূপ দেখিনি৷ খুবই বুদ্ধিমত্তা ও চাতুর্যের সঙ্গে প্লাস্টিক ও জঞ্জাল মিশিয়ে আসল বাস্তবসম্মত প্রাণী সৃষ্টি করা হয়েছে৷ তিনি আমার অন্যতম প্রিয় শিল্পী৷'' আরেক জন বলেন, ‘‘পরিবেশের ক্ষতি বন্ধ করতে আমরা কী করছি, তিনি মানুষকে সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে বাধ্য করছেন৷ যেমন না জেনেই আমরা কীভাবে প্রাণীদের ক্ষতি করছি৷ ফলে আমরা ভাবতে বাধ্য হচ্ছি৷''

‘প্যারিস জলবায়ু চুক্তি' শিরোনামে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বর্দালো জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বোঝাপড়ার প্রতি সচেতন করতে চেয়েছেন৷ তাঁর কাছে এই উদ্যোগ যথেষ্ট নয়৷ আর্তুর বলেন, ‘‘২০ বছর পর আজকের শিশুরা ক্ষমতার দায়িত্ব নেবে৷ আমি যে সব বার্তা পাঠাতে চাইছি, তারা সে সব পেলে হয়ত আমরা আরও ভালো এক পৃথিবীতে থাকতে পারবো৷''

বর্দালো-র ‘বিগ ট্র্যাশ অ্যানিম্যাল্স' মনে দাগ কাটে বৈকি৷ সেই প্রভাব শুধু প্যারিসে প্রদর্শনীর দর্শকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না৷

ইয়োসেফিন গ্যুন্টার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান