1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জর্জিয়া পেতে ট্রাম্পের অভূতপূর্ব ফোন

৪ জানুয়ারি ২০২১

জর্জিয়ায় জিতেছেন বাইডেন। কিন্তু সেই ফল তাঁর দিকে ঘোরাতে জর্জিয়ার প্রশাসনিক কর্তাদের ফোন করেছিলেন ট্রাম্প। ফোন কলের টেপ প্রকাশিত।

https://p.dw.com/p/3nTqN
ডনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Erin Schaff/Zuma Wire/Imago Images

অ্যামেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ফোন কলের রেকর্ডিং প্রকাশ করল ওয়াশিংটন পোস্ট। ফোনে জর্জিয়ার রিপাবলিকান সচিব ব্র্যাড রাফেনসপার্জারের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। ব্র্যাডকে তিনি বলেছেন, জর্জিয়ায় জেতার মতো ভোট খুঁজে বের করতে। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন না, জর্জিয়ায় জো বাইডেনের কাছে তিনি হেরেছেন।

এই প্রথম জর্জিয়ায় কোনো ডেমোক্র্যাট প্রার্থী রিপাবলিকানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। জর্জিয়ার ইতিহাস এ ঘটনা অভূতপূর্ব। নির্বাচনের আগে জর্জিয়া জেতার ব্যাপারে ট্রাম্প যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। ১১ হাজার ৭৭৯টি ইলেকটোরাল ভোট বেশি পেয়েছেন বাইডেন। আর তাতেই চটেছেন ট্রাম্প। প্রাথমিক ভাবে তিনি দাবি করেছিলেন ডেমোক্র্যাটরা ভোটে কারচুপি করেছেন। কিন্তু সেই দাবি ধোপে না টেকায়, জর্জিয়ার রাজ্য সরকারের উপর চোটপাট করতে শুরু করেন তিনি। ওই ফোন কল তারই প্রমাণ।

ফোন কলে শোনা যাচ্ছে, ব্র্যাড এবং তাঁর আইনজীবীকে রীতিমতো হুমকি দিচ্ছেন ট্রাম্প। বলছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না, জর্জিয়ায় তিনি হেরেছেন। যে ভাবেই হোক তার জন্য ভোট জোগাড় করে দিতে হবে। প্রয়োজনে আবার গণনা করতে হবে। জর্জিয়া স্টেট তাঁর চাই।

ব্র্যাড এবং তাঁর আইনজীবী একাধিকবার ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, ওই ভাবে ভোট জোগাড় করা সম্ভব নয়। ট্রাম্প যে কারচুপির কথা বলছেন, তার কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু শেষপর্যন্ত ট্রাম্প কোনো কথাই মানতে রাজি হননি।

ট্রাম্পের এই ফোন কল রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে অ্যামেরিকায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বিষয়টিকে ছেলেমানুষি বলে উড়িয়ে দিলেও, অন্যপক্ষের বক্তব্য, ট্রাম্প নিজেই আসলে কারচুপির চেষ্টা করেছেন। যেভাবে ব্র্যাডকে তিনি হুমকি দিয়েছেন, তা অভূতপূর্ব।

জর্জিয়া জিতলেও অবশ্য ট্রাম্প জিততে পারবেন না। জর্জিয়ায় ১৬টি ইলেকটোরাল ভোট। ওই ভোট ট্রাম্পের পক্ষে গেলেও বাইডেন এগিয়ে থাকবেন। আগামী ২০ তারিখ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের শপথ নেওয়ার কথা। তার আগে ট্রাম্পের এই ফোন কল শেষ মুহূর্তের মরিয়া চেষ্টা বলেই ব্যাখ্যা করছেন সাংবাদিকরা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)