জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আফ্রিকার সংগ্রাম

সাগরের পানি বৃদ্ধি ও অতিবৃষ্টি থেকে সৃষ্ট বন্যার কারণে মোজাম্বিকের উপকূলীয় শহর বাইরার জনজীবন হুমকির মুখে পড়েছে৷ এ থেকে পরিত্রাণ পেতে শহরের মাঝখান দিয়ে যাওয়া নদীতে বাঁধ দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া নতুন খাল তৈরি ও বনায়ন করেও সমস্যার সমাধান খোঁজা হচ্ছে৷

সাহারা মরুভূমির বালু দিন দিন সাব-সাহারা আফ্রিকার আবাদি জমিতে ঢুকে পড়ছে৷ এতে অত্র অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে৷ এই অবস্থায় আফ্রিকার ১১টি দেশ প্রচুর গাছ লাগিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে৷

নাইজারের সুন্না মুসা শতাব্দী পুরনো সেচ ব্যবস্থা প্রয়োগ করে ফসল উৎপাদন করেন৷ এর ফলে মাটির ক্ষয়রোধ সম্ভব হচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞরাও ফসল উৎপাদনের প্রাচীন পদ্ধতি প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন৷

২০৩০ সালের মধ্যে আফ্রিকার সবার জন্য জ্বালানির ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছেন মহাদেশটির ৫৫টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান৷ এই লক্ষ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন উৎসের প্রসার ঘটানো হচ্ছে৷ প্রতিবছর ৩০০ গিগাওয়াট সবুজ জ্বালানি উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে৷

খরচ কমে যাওয়ায় আফ্রিকার মানুষেরা সৌরশক্তি ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছেন৷ ফলে ব্যক্তিগত বাড়ি ছাড়াও হাসপাতাল, স্কুল এসব জায়গায় সৌরশক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে৷

নাইজেরিয়ায় বাড়ি নির্মাণে ইটের বদলে পুরনো প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করছেন অনেকে৷ এতে পরিবেশ রক্ষা হচ্ছে৷ সারা বিশ্বে মিনিটে প্রায় ১০ লাখ প্লাস্টিকের বোতল বিক্রি হয় বলে জানা গেছে৷