1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতীয় রাজনীতিতে আঞ্চলিক দলগুলির গুরুত্ব বাড়ছে

অনিল চট্টোপাধ্যায় নতুনদিল্লি
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সর্বভারতীয় দল বলতে হাতে গোনা কয়েকটি দল৷ তাই কেন্দ্রে ও রাজ্যে সরকার টিকিয়ে রাখতে আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকা অনস্বীকার্য৷ ভারতের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনেও এসব দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা৷

https://p.dw.com/p/35XRA
West Bengal Chef-Ministerin Mamata Bannerjee
ছবি: UNI

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস, উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, পাঞ্জাবে আকালি দল, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, তামিলনাড়ুতে এআইএডিএমকে, ডিএমকে, ওড়িষ্যায় বিজু জনতা দলের মতো আঞ্চলিক দলগুলো অতীতেও বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে৷

কেন্দ্রে বা রাজ্যগুলিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সরকার গঠনের দিন আর নেই৷ শুরু হয়েছে জোট সরকার গঠনের পালা৷ সেজন্য জাতীয় পর্যায়ের দলগুলোর আঞ্চলিক দলগুলির হাত না ধরে উপায় নেই৷ নির্বাচনের আগে বা পরে গাটছড়া বাঁধতে হয়৷ বর্তমানে ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে জোট সরকার তাই একটা দস্তুর৷ পশ্চিমবঙ্গের, অর্থাৎ মমতা বন্দোপাধ্যয়ের তৃণমূল কংগ্রেসের কথাই ধরা যাক৷ পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভেঙ্গে এই দল গঠিত হয় ১৯৯৮ সালের পয়লা জানুয়ারি৷ মমতা বন্দোপাধ্যায় দলেরপ্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ দলের প্রতীক চিহ্ন জোড়া ঘাসফুল৷ দলের মতাদর্শ ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সমাজবাদ৷ দলের শ্লোগান মা-মাটি-মানুষ৷ পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে এককভাবে ১৮৪টি আসন পেলেও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্য বিধানসভার ২২৭ টি আসন নিয়ে সরকার গঠন করে৷ ঐ সময় কেন্দ্রে সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট, ইউপিএ সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ কিন্তু ২০১২ সালে ইউপিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসে সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস৷ ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে সর্বভারতীয় দলের  স্বীকৃতি দেয় নির্বাচন কমিশন৷ ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ২৯৪টি আসনের মধ্যে এককভাবে ২১১টি আসন পেয়ে আবার সরকার গঠন করে৷ এর আগে ২০০৯ সালে সংসদীয় নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে জিতেছিল ২০টি আসনে৷ ১৯৯৯ সালে তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধে৷ ২০১৪ সালে সংসদীয় নির্বাচনে এককভাবে লড়ে পায় ৩৪টি আসন৷

উত্তরপ্রদেশ-কেন্দ্রিক বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)
উত্তরপ্রদেশ-কেন্দ্রিক বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)ছবি: Bahujan Samaj Party

উত্তরপ্রদেশ-কেন্দ্রিক বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) মুখ্যত দলিত ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের পার্টি৷ ভারতীয় সংবিধান রচনার প্রাণপুরুষ, দলিত নেতা ড. বি. আর আম্বেদকরের আদর্শে ১৯৮৪ সালে এই দল গঠন করেন কাঁসিরাম৷ তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে দলের ভার নেন মায়াবতী, ২০০১ সালে৷ বিভিন্ন দলের সমর্থনে চারবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন মায়াবতী৷ রাজ্যের প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী তিনি৷ নির্বাচনী প্রতীক চিহ্ন হাতি৷ ১৯৯৯ সালে মায়াবতী কৌশল বদলান৷ তিনি মনে করেন, বহুজন মানে তো সকলের সমাজ৷ তাই উচ্চবর্ণের হিন্দুদের প্রার্থী করে বাজিমাত করেন৷ মুসলিমদেরও নিজের দলে টানার চেষ্টা করেন৷ নিজের রাজনৈতিক ভিত মজবুত রাখতে রাজনৈতিক আপোষ করতে পিছ পা হননি৷ দর কষাকষির খেলায় মায়াবতী চিরকালই সিদ্ধহস্ত৷ উত্তরপ্রদেশের দুটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি বিজেপিকে হারিয়ে দেন৷ বার্তা দেন, চারটি রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা এবং আগামী বছরের সংসদীয় নির্বাচনে  সম্মানজনক আসন না পেলে তিনি জোটে যাবেন না৷ ছত্তিশগড়ে আসন্ন বিধানসভা ভোটে তিনি হাত মিলিয়েছেন অজিত যোগীর পার্টির সঙ্গে৷ বিএসপি লডবে ৩৫টি আসনে এবং অজিত যোগীর জনতা কংগ্রেস পার্টি ৫৫টি আসনে৷ অন্য আঞ্চলিক দলগুলিও চাইলে আসতে পারে৷ বর্তমানে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিএসপির চারজন এবং নিম্নকক্ষ লোকসভায় একজনও নেই৷

Indien, Wahlparty
উত্তরপ্রদেশের খুবই প্রভাবশালী আঞ্চলিক দল সমাজবাদী পার্টি (এসপি) সমর্থকদের উল্লাস ছবি: picture-alliance

সমাজবাদী পার্টি (এসপি) উত্তরপ্রদেশের খুবই প্রভাবশালী আঞ্চলিক দল৷ মূল জনতা দল ভেঙ্গে গঠিত হয় ১৯৯২ সালে৷ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুলায়েম সিং যাদব৷ দলের মতাদর্শ গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র৷ নির্বাচনী প্রতীক সাইকেল৷ ২০১২ সালের বিধানসভা ভোটে শাসক দল মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টিকে পরাজিত করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে উত্তরপ্রদেশে সরকার গঠন করে৷ মুলায়েম সিং পঞ্চমবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন, কিন্তু তিনি নিজের ছেলেকে বসালেন মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে৷ পরবর্তীকালে রাজনৈতিক পালাবদল নিয়ে শুরু হয় পিতা-পুত্রের পারিবারিক সংঘাত৷ পুরো কর্তৃত্ব নিজের হাতে নেন মুলায়েম পুত্র অখিলেশ যাদব৷ ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে হেরে যায় সমাজবাদী পার্টি৷ সম্প্রতি ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে পিতা-পুত্রের সন্ধি হয়েছে৷ মুলায়েমের ছোট ভাই শিবপাল যাদব সেটা মেনে নিতে পারেননি৷ গত আগস্ট মাসে তিনি নতুন দল গঠন করেন৷ নাম সমাজবাদী সেকুলার পার্টি৷ সংসদের লোকসভা এবং রাজ্যসভাতে সমাজবাদী পার্টির বর্তমান আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৭টি এবং ১৩টি৷ রাজ্য বিধানসভায় ৪০৩টি আসনের মধ্যে ৫৫টি৷

Indien Chief Minister von Punjab, Prakash Singh Badal
পাঞ্জাব ও হরিয়ানার শিখ ও পাঞ্জাবি জাতীয়তাবাদী আঞ্চলিক দল শিরোমণি অকালী দলের নেতা প্রকাশ সিং বাদলছবি: Getty Images/AFP/S. Panthaky

পাঞ্জাব ও হরিয়ানার শিখ ও পাঞ্জাবি জাতীয়তাবাদী আঞ্চলিক দলটির নাম শিরোমণি অকালী দল৷ সব থেকে পুরানো এবং প্রভাবশালী আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল এটি৷ অকালী নামেই বেশি পরিচিত৷ নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা৷ বর্তমান সভাপতি সুখবীর সিং বাদল৷ গুরুদোয়ারার মতো শিখ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি নিয়ন্ত্রণ করে তাঁর দল৷ প্রতিষ্ঠা ১৯২০ সালে৷ স্বাধীনতা সংগ্রামে দলটির গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল৷ ১৯৬৯ সালে একক বৃহত্তম দল হলেও সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি৷ জোট বাঁধে (সাবেক ভারতীয় জনসংঘ) বিজেপির সঙ্গে৷ সেই সরকার বেশি দিন টেঁকেনি৷ ১৯৯৯ সালের বিধানসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে পাঞ্জাবে সরকার গঠন করে৷ মুখ্যমন্ত্রী হন প্রকাশ সিং বাদল৷ এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি৷ কিন্ত ২০১৭-এর বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের কাছে শোচনীয়ভাবে হেরে যায় দলটি৷ বর্তমানে পাঞ্জাবে কংগ্রেস সরকার৷ সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় অকালী দলের সাংসদ মাত্র চারজন৷ রাজ্য বিধানসভায় ১১৭ টি আসনের মধ্যে মাত্র ১৫টি৷

Indien Wahlen in Delhi Aam Admi Party
রাজধানি অঞ্চল দিল্লির আম আদমি পার্টির মিছিলছবি: UNI

আম আদমি পার্টি বর্তমানে কেন্দ্রীয় রাজধানি অঞ্চল দিল্লির শাসক দল৷ ২০১২ সালে দল গঠিত হয়৷ ২০১১ সালে জন লোকপাল বিল পাস করানো নিয়ে দুর্নীতিবিরোধী দুই বিশিষ্ট আন্দোলনকারী আন্না হাজারে এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মধ্যে ‘ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশন' আন্দোলনের রাজনীতিকরণ নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়৷ আন্না হাজারে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে রাখতে চান রাজনীতির বাইরে৷ অন্যদিকে কেজরিওয়াল চান এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক রুপ দিতে৷ ২০১৩ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে নামে আম আদমি পার্টি৷ উঠে আসে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে৷ সরকার গঠন করে কংগ্রেসের শর্তাধীন সমর্থনে৷ অবিলম্বে লোকপাল বিল আনার শর্ত ছিল৷ কিন্তু যখন তা হবার সম্ভাবনা দেখা গেল না, তখন আম আদমি পার্টি সরকার ৪৯ দিনের মাথায় ইস্তফা দেয়৷ ২০১৫ সালের দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিপুলভাবে জয়ী হয়ে ফের ক্ষমতায় আসে তারা৷ বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে আম আদমি পার্টি একাই পায় ৬৬টি আসন৷ পাঞ্জাবেও আম আদমি পার্টি জায়গা করে নিয়েছে৷ পাঞ্জাব বিধানসভার ১১৭টি আসনের মধ্যে আম আদমি পার্টির ঝুলিতে আছে ২০টি আসন৷

Indien Portrait von M.G. Ramachandran
তামিলনাড়ুর নিখিল ভারত আন্না দ্রাবিড় মুনাত্রা কাড়াগাম সংক্ষেপে এআইএডিএমকে দলের প্রতিষ্ঠাতা এম জি রামচন্দ্রনের ছবিতে ফুল দিচ্ছেন প্রয়াত জললিতাছবি: Getty Images/AFP/A. Sankar

নিখিল ভারত আন্না দ্রাবিড় মুনাত্রা কাড়াগাম সংক্ষেপে এআইএডিএমকে বর্তমানে দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ু এবং পুড়ুচেরির শাসক দল৷ এই দল সংসদে তৃতীয় বৃহত্তম দ্রাবিড় আঞ্চলিক পার্টি৷ প্রতিষ্ঠাতা তামিল চলচ্চিত্র জগতের স্বনামধন্য নায়ক এম.জি রামচন্দ্রন৷ রাজ্যের ডিএমকে দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে এই দল গঠন করেন তিনি৷ তাঁর পরলোকগমনের পর হাল ধরেন রামচন্দ্রনের আরেক সহকর্মী তামিল চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা জয়ললিতা৷ তাঁরই নেতৃত্বে ১৯৮৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রাখে এআইএডিএমকে৷ বলা বাহুল্য মুখ্যমন্ত্রী হন তিনিই৷ রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল এআইএডিএমকে৷ সাতের দশকে দুর্নীতির অভিযোগে ডিএমকে দলকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এআইএডিএমকে বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসে৷ নির্বাচনী প্রতীক জোড়া পাতা৷ সি.এন আন্নাদুরাই-এর প্রদর্শিত পথই দলের আদর্শ৷ প্রথম দিকে কংগ্রেসের সঙ্গে একটা আঁতাত হয়৷ পরে তাতে ভাঙ্গন ধরতে থাকে৷

Indischer Präsident Muthuvel Karunanidhi ist tot
তামিলনাড়ুর পুরনো দল দ্রাবিড় মুনাত্রা কাড়াগাম সংক্ষেপে ডিএমকে নেতা করুণানিধির ছবি হাতে এক সমর্থকছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Sankar

দ্রাবিড় মুনাত্রা কাড়াগাম সংক্ষেপে ডিএমকে তামিলনাড়ু রাজ্যের পুরনো আঞ্চলিক দল৷ প্রতিষ্ঠাতা সি.এন আন্নাদুরাই৷ জাস্টিস পার্টি হিসেবে পরিচিত দ্রাবিড় কাড়াগাম পার্টি ভেঙ্গে গঠিত হয় ১৯৪৯ সালে৷ ১৯৬৯ সাল থেকে আমৃত্যু দলের নেতৃত্ব দেন করুণানিধি৷ দলের মতাদর্শ সামাজিক গণতন্ত্র ও আঞ্চলিকতাবাদ৷ রাজনৈতিক অবস্থান মধ্য-বাম৷ বিভিন্ন সময়ে পরিস্থিতি বুঝে আঁতাত হয় কংগ্রেস, বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইউপিএর সঙ্গে৷  দলের প্রতীক চিহ্ন উদীয়মান সূর্য৷ মূল পার্টি দ্রাবিড় কাড়াগামের দুই শীর্ষ নেতা পেরিয়ার এবং আন্নাদুরাইয়ের মধ্যে মতভেদ চরমে উঠলে দল ভেঙ্গে বেরিয়ে যান আন্নাদুরাই৷ মতভেদের মূল কারণ পেরিয়ার বৃদ্ধ বয়সে এক তরুণীকে বিয়ে করে তাঁর হাতেই দলের নেতৃত্ব তুলে দিতে চাওয়া৷

Naveen Patnaik Indien
ওড়িষা রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজু জনতা পার্টির নেতা, ওড়িষার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকছবি: Getty Images/AFP/Strdel

বিজু জনতা দল বর্তমানে ওড়িষা রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল৷ ওড়িষার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়েকের ছেলে নবীন পট্টনায়েক এখন মুখ্যমন্ত্রী৷ পিতার নামেই দলের নাম৷ গঠিত হয় ১৯৯৭ সালে৷ দলের প্রতীক চিহ্ন শঙ্খ৷ ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে আঁতাত৷ এখন কোনো জোটে নেই৷ মূল দল জনতা পার্টির সঙ্গে মতভেদের কারণে বিজু পট্টনায়েকের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে মূলধন করে নবীন পট্টনায়েক ২০০৯ সালের সংসদীয় নির্বাচনে ভোটে দাঁড়ান এবং বিপুল ভোটে জয়ী হন৷ কেন্দ্রে খনি মন্ত্রী হন৷ কিন্তু ২০০০ সালে ওড়িষা বিধানসভা নির্বাচনে বিজু জনতা দল বিপুলভাবে জয়ী হলে নবীন পট্টনায়েক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপদে ইস্তফা দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন৷ তারপর থেকে আরো তিনবার তাঁর দল বিধানসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় নবীন পট্টনায়ক এখন মোট চারবারের মুখ্যমন্ত্রী৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান